Sunday, July 26, 2015

যে সমস্ত গুণাবলীর কারনে মেয়েদের বিবাহ করা হয়ঃ




যে সমস্ত গুণাবলীর কারনে মেয়েদের বিবাহ করা হয়ঃ
===============================
১-আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত নাবী(সাঃ) বলেছেনঃ চারটি কারনে রমণীকে বিয়ে করা হয়ে থাকে।
তার সম্পদের জন্যে, বংশ মর্যাদার জন্যে, সৌন্দর্যের কারনে এবং তার দ্বীনদারের
জন্যে সুতরাং তুমি দ্বীনদারী নারীকে বিবাহ করে সৌভাগ্যবান হও( সফলতা লাভ কর)। 
তোমার হাত দুটি ধুলিময় হোক।
(বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবু দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ
২৮৫৮, আহমাদ ৯২৩৭, দারেমী ২১৭০)
ব্যাখ্যাঃ এ হাদিস থেকে জানা গেল যে, মোটকথা বিবাহের জন্য দ্বীনদার রমণী নির্বাচন
করা উচিত। কারও ধন দৌলত, কারও সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া ঠিক নয়। কেননা রমণী শুধুমাত্র
স্ত্রীই হবে না শিশুর মাতাও হবে। সে সন্তানদের তরবিয়ত সঠিকভাবে তখনই করতে পারবে যখন নিজে সে সতী সধবী ও দ্বীনদার হবে। “তোমার হাত দুটি ধুলিময় হোক” এখানে দুয়ার জন্যে নয়; বরং এই জায়গায় চেষ্টা ও তদবির করার জন্যে উত্তেজিত ও উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে।
------------
২-আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ “সমস্ত
দুনিয়াটা উপকারী বস্তু আর সর্বোত্তম উপকারী বস্তু হচ্ছে সৎ স্ত্রী।(মুসলিম ১৪৬৭)
তিনি আরোও বলেনঃ “তোমাদের প্রত্যেকের শুকরকারী অন্তর ও যিকিরকারী জিব্বাহ হওয়া উচিত। আর এমন স্ত্রী গ্রহন করা উচিত, যে তার আখিরাতের
কাজে সহায়তা করবে।”( সিলসিলা সহিহা ২১৭৬)
---
সুতরাং এমন পাত্রী পছন্দ করা উচিত, যে হবে পুণ্যময়ী, সুশীলা, সচ্চরিত্রা, দ্বীনদার, পর্দানশীন,
যাকে দেখলে মন খুশীতে ভরে উঠে, যাকে আদেশ করলে সত্বর পালন করে, স্বামীর
বাইরে গেলে নিজের দেহ, সৌন্দর্য ও ইজ্জতের এবং স্বামীর ধন- সম্পদের যথার্থ রক্ষণা-বেক্ষণ করে।(নাসায়ী ৩২৩১, আহমাদ ২/২৫১)
মহান আল্লাহ বলেনঃ “সুতরাং সাধ্বী নারী তো তারা, যারা(তাদের স্বামীদের অনুপস্থিতিতে ও লোক
চক্ষুর আড়ালে) অনুগতা এবং নিজেদের ইজ্জত রক্ষাকারিণী; আল্লাহর হিফাযতে(তৌফিকে) তারা তা হিফাযত করে।”( সুরা নিসা আয়াত ৩৪)

No comments:

Post a Comment