
_______________
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত শেষে দুআ কবুল হওয়ার কথা বহু সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত। তাহলে এ নিয়ে বিতর্ক কেন? আসলে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর দুআ নিয়ে বিতর্ক নয়, বিতর্ক হল এর পদ্ধতি নিয়ে। যে পদ্ধতিতে দুআ করা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা তাঁর সাহাবায়ে কেরাম এভাবে দুআ করেছিলেন কি-না?
_______________
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায়ের পর প্রচলিত মুনাজাত করা এবং না করার ব্যাপারে আমাদের দেশের মানুষ সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত।
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত শেষে দুআ কবুল হওয়ার কথা বহু সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত। তাহলে এ নিয়ে বিতর্ক কেন? আসলে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর দুআ নিয়ে বিতর্ক নয়, বিতর্ক হল এর পদ্ধতি নিয়ে। যে পদ্ধতিতে দুআ করা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা তাঁর সাহাবায়ে কেরাম এভাবে দুআ করেছিলেন কি-না?
_______________
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায়ের পর প্রচলিত মুনাজাত করা এবং না করার ব্যাপারে আমাদের দেশের মানুষ সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত।
▓▒ এক. যারা ছালাম ফিরানোর পর বসে বসে কিছুক্ষণ যিকর-আযকার করেন, যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
▓▒ দুই. যারা ছালাম ফিরানোর পর যিকির-আযকার না করে তাড়াতাড়ি দাঁড়িয়ে যান সুন্নাত নামায আদায়ের জন্য।
▓▒ তিন. যারা ছালাম ফিরানোর পর সর্বদা ইমাম সাহেবের সঙ্গে একত্রে মুনাজাত করেন। এবং মুনাজাত শেষ হওয়ার পর সুন্নাত নামায আদায় করেন।
আর এ তিন ধরনের লোকদেরই এ সকল আমলের সমর্থনে কোনো না কোনো দলীল প্রমাণ রয়েছে। হোক তা শুদ্ধ বা অশুদ্ধ। স্পষ্ট বা অস্পষ্ট।
_______________
#প্রথম_দলের_দলীল_প্রমাণ_স্পষ্ট।
বুখারী ও মুসলিমসহ বহু হাদীসের কিতাবে সালাতের পর যিকির-আযকার অধ্যায়ে বিভিন্ন যিকিরের কথা সহীহ সনদে বর্ণিত আছে, যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবায়ে কেরাম আমল করেছেন। অনেক ইমাম ও উলামায়ে কেরাম এ যিকির-আযকার সম্পর্কে স্বতন্ত্র পুস্তক সংকলন করেছেন।
_______________
#দ্বিতীয়_দলের_প্রমাণ_হল_এই_হাদীস
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ছালাম ফিরাতেন তখন আল্লাহুম্মা আনতাচ্ছালাম ওয়ামিনকাচ্ছালাম তাবারাকতা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম পড়তে যতটুকু সময় লাগে তার চেয়ে বেশি সময় বসতেন না। (তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)
_______________
তারা এ হাদীস দ্বারা বুঝে নিয়েছেন যে, এ যিকিরটুকু আদায় করতে যতটুকু সময় লাগে এর চেয়ে বেশি বসা ঠিক নয়। তাই তাড়াতাড়ি সুন্নাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আসলে এ হাদীস দ্বারা তারা যা বুঝেছেন তা সঠিক নয়।
_______________
হাদীসটির ব্যাখ্যা হল, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু ইমাম ছিলেন তাই তিনি ছালাম ফিরানোর পর এতটুকু সময় মাত্র কেবলামুখী হয়ে বসতেন এরপর তিনি মুসল্লীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতেন। আর তিনি যে প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর মুসল্লীদের দিকে মুখ করে বসতেন তা বহু সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। (মজমু আল ফাতাওয়া : ইমাম ইবনু তাইমিয়া)
_______________
এ হাদীস দ্বারা কখনো প্রমাণিত হয় না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছালাম ফিরিয়ে এ দুআটুকু পড়ে তাড়াতাড়ি দাঁড়িয়ে যেতেন সুন্নাত সালাত আদায়ের জন্য। ফরজ সালাত আদায়ের পর যিকির, তাছবীহ, তাহলীল বর্জন করে তাড়াতাড়ি সুন্নাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া মোটেও সুন্নাত নয়। বরং সুন্নাত হল সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যিকির, দুআ, তাছবীহ, তাহলীল সাধ্যমত আদায় করে তারপর সুন্নাত আদায় করা।
_______________
#তৃতীয়_দল যারা ফরজ নামাযের পর সম্মিলিতভাবে (জামাআতের সঙ্গে) মুনাজাত করেন। তাদের দলীল হল ওই সকল হাদীস যাতে সালাত শেষে দুআ কবুলের কথা বলা হয়েছে এবং দুআ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ সকল হাদীস ছাড়া তাদের এ কাজের সমর্থনে হাদীস থেকে সরাসরি কোনো প্রমাণ নেই। এমন কোনো হাদীস তারা পেশ করতে পারবেন না যাতে দেখা যাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক সালাত জামাআতের সঙ্গে আদায় শেষে সকলকে নিয়ে সর্বদা হাত তুলে মুনাজাত করেছেন।
_______________
তারা যে সকল হাদীস প্রমাণ হিসেবে পেশ করতে চান তার শিরোনাম হল
_______________
#প্রথম_দলের_দলীল_প্রমাণ_স্পষ্ট।
বুখারী ও মুসলিমসহ বহু হাদীসের কিতাবে সালাতের পর যিকির-আযকার অধ্যায়ে বিভিন্ন যিকিরের কথা সহীহ সনদে বর্ণিত আছে, যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবায়ে কেরাম আমল করেছেন। অনেক ইমাম ও উলামায়ে কেরাম এ যিকির-আযকার সম্পর্কে স্বতন্ত্র পুস্তক সংকলন করেছেন।
_______________
#দ্বিতীয়_দলের_প্রমাণ_হল_এই_হাদীস
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ছালাম ফিরাতেন তখন আল্লাহুম্মা আনতাচ্ছালাম ওয়ামিনকাচ্ছালাম তাবারাকতা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম পড়তে যতটুকু সময় লাগে তার চেয়ে বেশি সময় বসতেন না। (তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)
_______________
তারা এ হাদীস দ্বারা বুঝে নিয়েছেন যে, এ যিকিরটুকু আদায় করতে যতটুকু সময় লাগে এর চেয়ে বেশি বসা ঠিক নয়। তাই তাড়াতাড়ি সুন্নাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আসলে এ হাদীস দ্বারা তারা যা বুঝেছেন তা সঠিক নয়।
_______________
হাদীসটির ব্যাখ্যা হল, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু ইমাম ছিলেন তাই তিনি ছালাম ফিরানোর পর এতটুকু সময় মাত্র কেবলামুখী হয়ে বসতেন এরপর তিনি মুসল্লীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসতেন। আর তিনি যে প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর মুসল্লীদের দিকে মুখ করে বসতেন তা বহু সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। (মজমু আল ফাতাওয়া : ইমাম ইবনু তাইমিয়া)
_______________
এ হাদীস দ্বারা কখনো প্রমাণিত হয় না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছালাম ফিরিয়ে এ দুআটুকু পড়ে তাড়াতাড়ি দাঁড়িয়ে যেতেন সুন্নাত সালাত আদায়ের জন্য। ফরজ সালাত আদায়ের পর যিকির, তাছবীহ, তাহলীল বর্জন করে তাড়াতাড়ি সুন্নাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া মোটেও সুন্নাত নয়। বরং সুন্নাত হল সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যিকির, দুআ, তাছবীহ, তাহলীল সাধ্যমত আদায় করে তারপর সুন্নাত আদায় করা।
_______________
#তৃতীয়_দল যারা ফরজ নামাযের পর সম্মিলিতভাবে (জামাআতের সঙ্গে) মুনাজাত করেন। তাদের দলীল হল ওই সকল হাদীস যাতে সালাত শেষে দুআ কবুলের কথা বলা হয়েছে এবং দুআ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ সকল হাদীস ছাড়া তাদের এ কাজের সমর্থনে হাদীস থেকে সরাসরি কোনো প্রমাণ নেই। এমন কোনো হাদীস তারা পেশ করতে পারবেন না যাতে দেখা যাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক সালাত জামাআতের সঙ্গে আদায় শেষে সকলকে নিয়ে সর্বদা হাত তুলে মুনাজাত করেছেন।
_______________
তারা যে সকল হাদীস প্রমাণ হিসেবে পেশ করতে চান তার শিরোনাম হল
الدعاء عقيب الصلوات، الدعاء دبر الصلوات
_______________
তারা মনে করে নিয়েছেন আকীবাস সালাত ও দুবুরাস সালাত অর্থ ছালাম ফিরানোর পর। আসলে তা নয়। এর অর্থ হল সালাতের শেষ অংশে। এ সকল হাদীসে সালাতের শেষ অংশে অর্থাৎ শেষ বৈঠকে দরূদ পাঠ করার পর ছালাম ফিরানোর পূর্বে দুআ করার কথা বলা হয়েছে। পরিভাষায় যা দুআয়ে মাছুরা হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। সালাত শেষে দুআ কবুল সম্পর্কে যত হাদীস এসেছে তা সবগুলো দুআ মাছুরা সম্পর্কে। যার সময় হল ছালাম ফিরানোর পূর্বে। আর দুআ মাছুরা শুধু একটা নয়, অনেক। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সালাতের শেষে দুআ সংক্রান্ত এ সকল হাদীসে বাদাস সালাত বলা হয়নি। হাদীস গ্রন্থে এ সকল দুআকে
_______________
তারা মনে করে নিয়েছেন আকীবাস সালাত ও দুবুরাস সালাত অর্থ ছালাম ফিরানোর পর। আসলে তা নয়। এর অর্থ হল সালাতের শেষ অংশে। এ সকল হাদীসে সালাতের শেষ অংশে অর্থাৎ শেষ বৈঠকে দরূদ পাঠ করার পর ছালাম ফিরানোর পূর্বে দুআ করার কথা বলা হয়েছে। পরিভাষায় যা দুআয়ে মাছুরা হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। সালাত শেষে দুআ কবুল সম্পর্কে যত হাদীস এসেছে তা সবগুলো দুআ মাছুরা সম্পর্কে। যার সময় হল ছালাম ফিরানোর পূর্বে। আর দুআ মাছুরা শুধু একটা নয়, অনেক। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সালাতের শেষে দুআ সংক্রান্ত এ সকল হাদীসে বাদাস সালাত বলা হয়নি। হাদীস গ্রন্থে এ সকল দুআকে
الأدعياء دبر الصلوات أو الدعاء عقيب الصلاة
(সালাত শেষের দুআ) অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে দুটো বিষয়; প্রথমটা হল #সালাত_শেষের_দুআ। দ্বিতীয়টা হল #সালাত_শেষের_যিকির। প্রথমটির স্থান হল ছালাম ফিরানোর পূর্বে। আর দ্বিতীয়টির স্থান হল ছালাম ফিরানোর পর। ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহ.) ইবনুল কায়্যিম (রহ.) প্রমুখ উলামায়ে কেরামের মত এটা-ই।
_______________
এ মতটা কুরআন ও হাদীসের আলোকে বেশি যুক্তিগ্রাহ্য। বান্দা যখন সালাতে থাকে তখন সে আল্লাহর নিকটে অবস্থান করে। দুআ মুনাজাতের সময় তখনই। যখন সালাতের সমাপ্তি ঘোষিত হল তখন নয়। তখন সময় হল আল্লাহর যিকিরের, যেমন আল্লাহ বলেন :
_______________
এ মতটা কুরআন ও হাদীসের আলোকে বেশি যুক্তিগ্রাহ্য। বান্দা যখন সালাতে থাকে তখন সে আল্লাহর নিকটে অবস্থান করে। দুআ মুনাজাতের সময় তখনই। যখন সালাতের সমাপ্তি ঘোষিত হল তখন নয়। তখন সময় হল আল্লাহর যিকিরের, যেমন আল্লাহ বলেন :
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُمْ.
যখন তোমরা সালাত শেষ করলে তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। (আন নিসা : ১০২ )
_______________
এ সম্পর্কিত হাদীসগুলোর ভাষা এবং সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আমলসমূহ গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টিই বুঝে আসে - ছালাম ফিরানোর পরের সময়টা দুআ করার সময় নয়, যিকির করার সময়।
_______________
তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ সালাতের পর কখনো কি দুআ করেননি? হ্যা করেছেন। তবে তা সম্মিলিতভাবে নয়।
_______________
যেমন হাদীসে এসেছে :
_______________
এ সম্পর্কিত হাদীসগুলোর ভাষা এবং সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আমলসমূহ গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টিই বুঝে আসে - ছালাম ফিরানোর পরের সময়টা দুআ করার সময় নয়, যিকির করার সময়।
_______________
তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ সালাতের পর কখনো কি দুআ করেননি? হ্যা করেছেন। তবে তা সম্মিলিতভাবে নয়।
_______________
যেমন হাদীসে এসেছে :
عن البراء بن عازب قال : كنا إذا صلينا خلف رسول الله صلى الله عليه وسلم أحيانا نكون عن يمينه يقبل علينا بوجهه فسمعته يقول : رب قني عذابك بوم تبعث عبادك" (رواه البخاري)
_______________
আল-বারা ইবনু আযেব বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তিনি আমাদের দিকে মুখ করতেন, কখনো কখনো শুনতাম তিনি বলতেন, হে আল্লাহ ! আপনার শাস্তি থেকে আমাকে বাঁচান যেদিন আপনি আপনার বান্দাদের উঠাবেন। (বুখারী)
_______________
জামাআতের সঙ্গে তিনি মুসল্লীদের নিয়ে দুআ করেছেন, এমন কোনো বর্ণনা নেই। যা আছে তা তার বিপরীত। যেমন বর্ণিত হাদীসটির প্রতি লক্ষ্য করুন! সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবচন শব্দ ব্যবহার করেছেন। বলেছেন আমাকে বাঁচান...। সকলকে সঙ্গে নিয়ে দুআটি করলে বলতেন আমাদেরকে বাঁচান।
_______________
আরেকটি হাদীসের প্রতি লক্ষ্য করুন :
_______________
আল-বারা ইবনু আযেব বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তিনি আমাদের দিকে মুখ করতেন, কখনো কখনো শুনতাম তিনি বলতেন, হে আল্লাহ ! আপনার শাস্তি থেকে আমাকে বাঁচান যেদিন আপনি আপনার বান্দাদের উঠাবেন। (বুখারী)
_______________
জামাআতের সঙ্গে তিনি মুসল্লীদের নিয়ে দুআ করেছেন, এমন কোনো বর্ণনা নেই। যা আছে তা তার বিপরীত। যেমন বর্ণিত হাদীসটির প্রতি লক্ষ্য করুন! সেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবচন শব্দ ব্যবহার করেছেন। বলেছেন আমাকে বাঁচান...। সকলকে সঙ্গে নিয়ে দুআটি করলে বলতেন আমাদেরকে বাঁচান।
_______________
আরেকটি হাদীসের প্রতি লক্ষ্য করুন :
قال النبي صلى الله عليه وسلم لمعاذ بن جبل " لا تدعن في دبركل صلاة أن تقول اللهم أعني على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك. )رواه أبو داود و النسائي)
_______________
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুআজ বিন জাবালকে বলেছেন, তুমি অবশ্যই প্রত্যেক সালাতের পর বলবে, হে আল্লাহ! আপনার যিকির, আপনার শোকর, আপনার জন্য উত্তম ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন। (আবু দাউদ, নাসায়ী)
_______________
দেখুন! প্রখ্যাত সাহাবী মুআজ বিন জাবাল (রাঃ) কওমের ইমাম ছিলেন। রাসূল (সাঃ) তাঁকে ইয়েমেনের গভর্ণর, শিক্ষক ও ইমাম হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সালাতে ইমামতি করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে এ দুআটি সকলকে নিয়ে করার নির্দেশ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা দেননি। তিনি তাঁকে একা একা দুআটি করার জন্য বলেছেন। হাদীসের ভাষাই তার প্রমাণ।
_______________
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছালাম ফিরনোর পর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) বলেছেন। তিনি যদি এটা সকলকে নিয়ে করতেন তাহলে নাস্তাগফিরুল্লাহ (আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) বলতেন।
_______________
যারা ফরজ সালাত শেষে কোনো যিকির-আযকার না করে উঠে গেল তারা একটা সুন্নাত (মুস্তাহাব) ছেড়ে দিল। আবার যারা সালাত শেষে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করে উঠে গেল তারা একটা সুন্নাত বাদ দিয়ে সে স্থানে অন্য একটি বিদআত আমল করল।
_______________
তাই সারকথা হল, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের পর সব সময় জামাআতের সঙ্গে মুনাজাত করা একটি বিদআত। যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেন নি, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণ করেছেন বলেও কোনো প্রমাণ নেই।
_______________
ইবাদাতের ব্যাপারে মূলনীতি হল, যা করতে আদেশ করা হয়েছে তা ছাড়া বাকি সব কিছুই নিষিদ্ধ। কোন ইবাদাত যতই ভাল লাগুক না কেন তার পক্ষে যদি কুর’আন এবং সহিহ হাদিস থেকে কোন প্রমাণ না পাওয়া যায় তবে সেটা করা নিষিদ্ধ। কেউ যদি এমন কোন কাজ করে তবে সেটা হবে ‘বিদআত’।
_______________
ইসলামি পরিভাষায় বিদআত হল আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে নতুন করে এমন কিছুর প্রচলন করা যার পক্ষে শরীয়তের কোন সুনির্দিষ্ট দলীল নেই। দলীল বলতে আল কুর’আন এবং সহিহ হাদিস বুঝায়। যঈফ বা দুর্বল হাদিস যেহেতু নিশ্চিতভাবে রসুলের (সাঃ) থেকে এসেছে বলে প্রমাণ করা যায়না সেহেতু সেগুলো কখনো দলিল হতে পারে না।
_______________
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন,
রাসূল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত হও” [সূরা হাশর: ৭]
_______________
তবে যদি কেউ জামাতে সালাত আদায়ের পর একা একা দুআ মুনাজাত করেন তা সুন্নাতের খেলাফ হবে না। এমনিভাবে ইমাম সাহেব যদি সকলকে নিয়ে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে কোনো কোনো সময় দুআ-মুনাজাত করেন তবে তা নাজায়েয হবে না। ইমাম ইবনু তাইমিয়া, ইবনুল কায়্যিম, মুফতীয়ে আজম ফয়জুল্লাহ (রহ.) সহ অনেক আলেম-উলামা এ মত ব্যক্ত করেছেন।
_______________
মূলত তিনটি অজুহাতে মানুষ কুরআন ও সহীহ হাদিসের দাওয়াতকে পরিত্যাগ করে। #বাপ_দাদারা কি এতদিন ভুল করে আসছেন! #অধিকাংশ মানুষই কি ভুল করে আসছে! #এত বড় বড় আলেম তো এভাবেই আমল করে আসছেন ! তারা কি ভুল করে গেছেন ! স্পস্তভাবে জেনে রাখুন “অধিকাংশ” কোন দলীল নয়; দলীল হল কুরআন ও সহীহ হাদীস।
_______________
#অধিকাংশদের_ব্যাপারে_আল্লাহ্_তায়ালা_বলেছেন --
• “অধিকাংশই নির্বোধ” [সূরা মায়িদাহ : ১০৩]
• “অধিকাংশই অজ্ঞ” [সূরা আনআম : ১১১]
• “অধিকাংশই জানে না” [সূরা আরাফ : ১৩১]
• “অধিকাংশ লোকই অবগত নয়” [সূরা আনআম :৩৭]
• “অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়” [ইউসুফ : ৬৮]
_______________
• “তুমি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরন কর তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে, তারা কেবল আন্দাজ-অনুমানের অনুসরন করে চলে; তারা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই করে না” [সূরা আনআম : ১১৬]
• ‘’তাদের অধিকাংশই কেবল ধারনার অনুসরন করে; সত্যের মোকাবেলায় ধারনা কোন কাজে আসে না’’ [সূরা ইউসুফ : ৩৬]
_______________
• “এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআন রূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে কিন্তু ওদের অধিকাংশই (এ কুরআন থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কাজেই ওরা শুনবে না” [সূরা ফুসসিলাত : ১-৪]
_______________
• “তুমি যত প্রবল আগ্রহ ভরেই চাও না কেন, মানুষদের অধিকাংশই ঈমান আনবে না” [সূরা ইউসুফ : ১০৩]
• “আমি তোমার নিকট সুস্পষ্ট আয়াত নাজিল করেছি, ফাসিকরা ছাড়া অন্য কেউ তা অস্বীকার করে না; বরং তাদের অধিকাংশই ঈমান রাখে না” [সূরা বাকারাহ : ৯৯-১০০]
_______________
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেছেনঃ
যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং রসূলের দিকে এসো, তখন তারা বলে, আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। যদি তাদের বাপ দাদারা কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই করবে? সূরা আল মায়েদাহ - ১০৪
_______________
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আমি তোমাদের নিকট দু’টা জিনিষ রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সে জিনিষ দু’টি আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে, তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। এ দু’টা জিনিষ হ’ল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ। মেশকাত শরীফ, ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৭৭
_______________
সুতরাং মুসলিম ভাই ও বোনেরা আসুন আমরা “অধিকাংশের” অজুহাত বাদ দিয়ে ””কুরআন” ও “সহীহ হাদীসের“” অনুসরন করি। হে আল্লাহ্, আমাদেরকে বিদআতমুক্ত হয়ে কুরআন ও সহিহ হাদিস অনুযায়ী আমল করার তওফিক দান করুন। আমীন।।।
_______________
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুআজ বিন জাবালকে বলেছেন, তুমি অবশ্যই প্রত্যেক সালাতের পর বলবে, হে আল্লাহ! আপনার যিকির, আপনার শোকর, আপনার জন্য উত্তম ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন। (আবু দাউদ, নাসায়ী)
_______________
দেখুন! প্রখ্যাত সাহাবী মুআজ বিন জাবাল (রাঃ) কওমের ইমাম ছিলেন। রাসূল (সাঃ) তাঁকে ইয়েমেনের গভর্ণর, শিক্ষক ও ইমাম হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সালাতে ইমামতি করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে এ দুআটি সকলকে নিয়ে করার নির্দেশ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা দেননি। তিনি তাঁকে একা একা দুআটি করার জন্য বলেছেন। হাদীসের ভাষাই তার প্রমাণ।
_______________
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছালাম ফিরনোর পর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) বলেছেন। তিনি যদি এটা সকলকে নিয়ে করতেন তাহলে নাস্তাগফিরুল্লাহ (আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) বলতেন।
_______________
যারা ফরজ সালাত শেষে কোনো যিকির-আযকার না করে উঠে গেল তারা একটা সুন্নাত (মুস্তাহাব) ছেড়ে দিল। আবার যারা সালাত শেষে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করে উঠে গেল তারা একটা সুন্নাত বাদ দিয়ে সে স্থানে অন্য একটি বিদআত আমল করল।
_______________
তাই সারকথা হল, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের পর সব সময় জামাআতের সঙ্গে মুনাজাত করা একটি বিদআত। যা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেন নি, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণ করেছেন বলেও কোনো প্রমাণ নেই।
_______________
ইবাদাতের ব্যাপারে মূলনীতি হল, যা করতে আদেশ করা হয়েছে তা ছাড়া বাকি সব কিছুই নিষিদ্ধ। কোন ইবাদাত যতই ভাল লাগুক না কেন তার পক্ষে যদি কুর’আন এবং সহিহ হাদিস থেকে কোন প্রমাণ না পাওয়া যায় তবে সেটা করা নিষিদ্ধ। কেউ যদি এমন কোন কাজ করে তবে সেটা হবে ‘বিদআত’।
_______________
ইসলামি পরিভাষায় বিদআত হল আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে নতুন করে এমন কিছুর প্রচলন করা যার পক্ষে শরীয়তের কোন সুনির্দিষ্ট দলীল নেই। দলীল বলতে আল কুর’আন এবং সহিহ হাদিস বুঝায়। যঈফ বা দুর্বল হাদিস যেহেতু নিশ্চিতভাবে রসুলের (সাঃ) থেকে এসেছে বলে প্রমাণ করা যায়না সেহেতু সেগুলো কখনো দলিল হতে পারে না।
_______________
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন,
রাসূল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত হও” [সূরা হাশর: ৭]
_______________
তবে যদি কেউ জামাতে সালাত আদায়ের পর একা একা দুআ মুনাজাত করেন তা সুন্নাতের খেলাফ হবে না। এমনিভাবে ইমাম সাহেব যদি সকলকে নিয়ে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে কোনো কোনো সময় দুআ-মুনাজাত করেন তবে তা নাজায়েয হবে না। ইমাম ইবনু তাইমিয়া, ইবনুল কায়্যিম, মুফতীয়ে আজম ফয়জুল্লাহ (রহ.) সহ অনেক আলেম-উলামা এ মত ব্যক্ত করেছেন।
_______________
মূলত তিনটি অজুহাতে মানুষ কুরআন ও সহীহ হাদিসের দাওয়াতকে পরিত্যাগ করে। #বাপ_দাদারা কি এতদিন ভুল করে আসছেন! #অধিকাংশ মানুষই কি ভুল করে আসছে! #এত বড় বড় আলেম তো এভাবেই আমল করে আসছেন ! তারা কি ভুল করে গেছেন ! স্পস্তভাবে জেনে রাখুন “অধিকাংশ” কোন দলীল নয়; দলীল হল কুরআন ও সহীহ হাদীস।
_______________
#অধিকাংশদের_ব্যাপারে_আল্লাহ্_তায়ালা_বলেছেন --
• “অধিকাংশই নির্বোধ” [সূরা মায়িদাহ : ১০৩]
• “অধিকাংশই অজ্ঞ” [সূরা আনআম : ১১১]
• “অধিকাংশই জানে না” [সূরা আরাফ : ১৩১]
• “অধিকাংশ লোকই অবগত নয়” [সূরা আনআম :৩৭]
• “অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়” [ইউসুফ : ৬৮]
_______________
• “তুমি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরন কর তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে, তারা কেবল আন্দাজ-অনুমানের অনুসরন করে চলে; তারা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই করে না” [সূরা আনআম : ১১৬]
• ‘’তাদের অধিকাংশই কেবল ধারনার অনুসরন করে; সত্যের মোকাবেলায় ধারনা কোন কাজে আসে না’’ [সূরা ইউসুফ : ৩৬]
_______________
• “এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআন রূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে কিন্তু ওদের অধিকাংশই (এ কুরআন থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কাজেই ওরা শুনবে না” [সূরা ফুসসিলাত : ১-৪]
_______________
• “তুমি যত প্রবল আগ্রহ ভরেই চাও না কেন, মানুষদের অধিকাংশই ঈমান আনবে না” [সূরা ইউসুফ : ১০৩]
• “আমি তোমার নিকট সুস্পষ্ট আয়াত নাজিল করেছি, ফাসিকরা ছাড়া অন্য কেউ তা অস্বীকার করে না; বরং তাদের অধিকাংশই ঈমান রাখে না” [সূরা বাকারাহ : ৯৯-১০০]
_______________
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেছেনঃ
যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং রসূলের দিকে এসো, তখন তারা বলে, আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। যদি তাদের বাপ দাদারা কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই করবে? সূরা আল মায়েদাহ - ১০৪
_______________
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আমি তোমাদের নিকট দু’টা জিনিষ রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সে জিনিষ দু’টি আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে, তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। এ দু’টা জিনিষ হ’ল আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাহ। মেশকাত শরীফ, ১ম খন্ড, হাদীস নং- ১৭৭
_______________
সুতরাং মুসলিম ভাই ও বোনেরা আসুন আমরা “অধিকাংশের” অজুহাত বাদ দিয়ে ””কুরআন” ও “সহীহ হাদীসের“” অনুসরন করি। হে আল্লাহ্, আমাদেরকে বিদআতমুক্ত হয়ে কুরআন ও সহিহ হাদিস অনুযায়ী আমল করার তওফিক দান করুন। আমীন।।।
No comments:
Post a Comment