Friday, November 10, 2017

হানাফি ভাইদের জন্যে জরুরী কথা:



Image may contain: text


হানাফি ভাইদের জন্যে জরুরী কথা:
হানাফি মাযহাব একটি ভুল প্রচলিত নাম মাত্র। এই জন্য যে, আমাদের ইমাম আবু হানীফাহ(র:) কাউকে হানাফি হতে বলেন্নাই, (তাই উনার ছাত্ররাও নিজেকে হানাফি বলেন্নাই এবং উনার অনেক ফতওয়া রদ করেছেন মানেন্নাই, হিদায়াহ কিতাবে এর প্রমাণ পাওয়াযায়) রবং বলেছেন:
إذا صح الحديث فهو مذهبي
"যখন সহীহ হাদীস (প্রমাণিত হবে) তো ঐটি আমার মাযহাব"
সুতরাং এই উসূল মেনেই আহলে হাদীস ভাইয়েরা চলে।

আমাদের ইমাম আবু হানীফাহ(র:) কেনো বল্লেন্নাই? হাদীস আমার মাযহাব, বরং বল্লেন: "সহীহ হাদীস আমার মাযহাব"
কেনোনা উনি দেখেছেন মানুষ নবীর(স:) নামে মিথ্যা কথা বানিয়ে হাদীস বলে চালিয়ে দেয়। তাই জাল জঈফ (নবীর স: নামে বানানো মিথ্যা কথা) ছেড়ে, নবীর স: থেকে প্রমাণিত কথা(সহীহ হাদীস) মেনে চলতে হবে।

মানুষ যেমন নবীর(স:) নামে মিথ্যা কথা বানিয়েছে তমনি আমাদের ইমাম আবু হানীফাহ(র:) নামেও মিথ্যা কথা বানিয়ে ফিকহার কিতাবে যা ইচ্ছা তাই লিখেছে। যেমন:
# আঙ্গুল ও স্ত্রীলোকের স্তন, মল-মূত্র দ্বারা নাপাক হয়ে গেলে, তিনবার জিবদিয়ে চেটে দিলেই পাক হয়ে যাবে। (দুররে মুখতারের ৩৬ পৃষ্ঠায় বাবুল আনজাস) (নাউযু বিল্লাহ)
# যদি কেউ তার পিতার কৃতদাসীর সাথে সহবাস (যৌন মিলন) করে তবে কোন শাস্তি নাই। (হিদায়াহ ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৫১৫ পৃঃ) (নাউযু বিল্লাহ)
# কোনো স্ত্রীর স্বামী মারা গেলে এবং মারা যাওয়ার দুই বৎসর পর সেই স্ত্রীর সন্তান হলে, তবে সেই সন্তান তার মৃত স্বামীরই হবে। (হিদায়াহ ১৪০১হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৩৩১পৃঃ)
(নাউযু বিল্লাহ) এধরণের আরো অনেক কথা লেখা আছে।

(ভুল প্রচলিত) হানাফি সমাজে শির্ক আছে যেমন: কবরে সিজদাহ করা, মান্নত করা।
(ভুল প্রচলিত) হানাফি সমাজে জেনা ব্যবিচার আছে যেমন: তালাক প্রপ্তা মহিলাকে আর এক পুরুষের কাছে এক রাতের জন্যে দিয়ে দেয়, এক রাত্র মজা নিয়ে ছেড়ে দিব এই নিয়েতে তো বিয়ে হয়না। বরং এটি জিনা ব্যবিচার করা হয়। বিয়ে হয় তাকে জীবন সাথী বউ বানিয়ে রাখার নিয়েতে।
(ভুল প্রচলিত) হানাফিদের অধিকাংশ নামাজ ও ঠিক হয়না, যেমন: রুকু থেকে উঠে ইস্থির হয়ে দাড়ানো ওয়াজিব এবং দুআ পড়া সুন্নাত তা তারা করেনা,
এবং এক সিজদাহ করার পর উঠে ইস্থির হয়ে বসা ওয়াজিব এবং দুআ পড়া সুন্নাত তাও তারা করেনা।
আমি 30 বসর ঐ ভুল প্রচলিত হানাফি ছিলাম অনেক জায়গা অনেক মসজিদে নামাজ পড়েছি প্রয়ায় ৯৯% (ভুল প্রচলিত) হানাফিদের এই অবস্থা।

এই কারণে শত শত হানাফি আলিমকে মুহাম্মদী-সালাফী-আহলে হাদীস হতে দেখেছি। এবং যে নিজেকে আহলে হাদীস বলে তাকে কখনো মাজারে সিজদাহ করতে পাবেন্না।
#মুহাম্মাদী-সালাফী-আহলে হাদীসদের দাওয়াত হলো;
ইসলাম মানার ব্যপারে প্রথমে কুরআন ও সুন্নাতের দলীল দেখতে হবে বা চেষ্টা
করতে হবে, এবং সেটিকে ঐভাবে বুঝতে হবে ও মানতে হবে যেভাবে নবী(স:) ও সাহাবা কিরম বুঝেছেন মেনেছেন,।
এরপর যদি কোনো নতূন মাসআলা দেখাদেয় যা কুরঅান ও সুন্নাতে নাই সেটির ব্যপারেও কুরঅান ও সুন্নাহ থেকেই ইজতিহাদ (কিয়াস) করতে হবে
যদি নিজের কাছে যোগ্যতা না থকে তাহলে চার ইমাম সহ আরো যত কুরঅান সুন্নাতের বিশেষজ্ঞ গবেষক আছেন তাদের কাছথেকে জানতে হবে
যেমন আল্লাহপাক বলেছেন:
...فاسألوا أهل الذكر إن كنتم لا تعلمون ، بالبينت والزبر ...(سورة النحل: الآية 44-43 ) 
...জিজ্ঞেস করো জ্ঞানীদেরকে যদি তোমরা না জানো, দলীল এবং কিতাবের সাথে...।
দেখুন! আয়াতে বলা হয়েছে জিজ্ঞেস করো জ্ঞানীদেরকে, মাত্র একজন জ্ঞানীকে নয়, এবং অন্ধ তাকলীদ নয় বরং দলীল নাও কিতাব থেকে।

সুতরাং বর্তমান পৃথবীর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো বড়ো আলিম কুরঅান ও সুন্নাতের গবেশক মদীনা শরীফে আছেন, তারা পুরা কুরঅানের তাফসীর ও সুন্নাত(নবীর স: হাদীস) ও তাফসীর সব মুখস্থ করেছেন,।
তাই আমরা আহলে হাদীস মদীনা শরীফের কুরঅান ও সুন্নাতের গবেশক আলিমদেরকে প্রধান্য দেই । নবী(স:) মদীনার ফজীলতে অনেক হাদীস বলেছেন,।
তার মধ্যে একটি সহীহ আল বুখারীতে হাদীস নম্বর 1876 দেখুন!

No comments:

Post a Comment