★ সুন্নাত না পড়তে পাড়লে তা কখন আদায় করতে হবে তাও বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে....
সমস্ত প্রশংসা একমাএ আল্লাহ সুবাহানু তাআলার জন্য।
★★★ ফজরের সুন্নাতের গুরুত্ব ★★★
ফজরের সুন্নাতের ফজিলত:-
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত এর মত কোন নফল নামাযকে এত হিফাযত ও গুরুত্ব প্রদানকারী ছিলেন না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১১১৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-২৪৬৩}
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে তা থেকে ফজরের দুই রাকাত উত্তম।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৭২১, তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১৬৫০, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১১০৭}
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ অশ্বারোহী বাহিনী তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করলেও তোমরা ফজরের দুই রাকাত [সুন্নত] ছেড়ো না।
{তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-১৬৪৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৬০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪২৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৫৩}
★★★ফরজ সালাত চলাকালীন আমরা সুন্নাত পড়ে থাকি তা শরীয়ত কি বলে....??? ★★★
বিস্তারিত হাদীস সহ উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি:-
একামত হয়ে গেলে ফরজ নামাজ ছাড়া আর কোন নামাজ নেই।
আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সলাতের ইকামাত দেয়া হলে ফারয (ফরয) সলাত ছাড়া অন্য কোন সলাতের নিয়্যাত করা যাবে না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৫১৪, ইসলামীক সেন্টার ১৫২৩)
হাদিসের মানঃ সহীহ মুসলিম- ১৫২৯
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة)
হাদিস নম্বরঃ ১১৫৩
৩/১১৫৩। আবদুল্লাহ ইবনু মালিক ইবনু বুহাইনা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায/নামাজ)রত এক ব্যক্তিকে অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। তখন ফজরের সালাতের ইকামত হয়ে গেছে। তিনি তাকে কী যেন বললেন যা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। সে সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করলে আমরা তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কী বলেছেন? লোকটি বললো, তিনি আমাকে বললেনঃ অচিরেই তোমাদের কেউ ফজরে চার রাকআত (ফরয) পড়বে।
হাদিসের মানঃ সহিহ
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان)
হাদিস নম্বরঃ ৬৬৩
৬৬৩. ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মালিক ইব্নু বুহাইনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গেলেন। অন্য সূত্রে ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, ‘আবদুর রহমান (রহ.)....হাফ্স ইব্নু আসিম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মালিক ইব্নু বুহাইনাহ নামক আয্দ গোত্রীয় এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করতে দেখলেন। তখন ইক্বামাত হয়ে গেছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করলেন, লোকেরা সে লোকটিকে ঘিরে ফেলল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন ঃ ফজর কি চার রাক‘আত? ফাজ্র কি চার রাক‘আত?* (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৬২৩)
গুনদার ও মু‘আয (রহ.) শু‘বা (রহ.) সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ইবনু ইসহাক (রহ.) সাদ (রহ.)-এর মাধ্যমে সে হাফ্স (রহ.) হতে হাদীসটি বর্ণনা করতে গিয়ে ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু বুহাইনাহ (রহ.) হতে বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন। (এ বর্ণনাটিই সঠিক) তবে হাম্মাদ (রহ.) সাদ (রহ.)-এর মাধ্যমে তিনি হাফ্স (রহ.) হতে হাদীসটি বর্ণনা করতে গিয়ে মালিক ইবনু বুহাইনাহ (রহ.) হতে বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন। (মুসলিম ৬/৯, হাঃ ৭১১, আহমাদ ২১৩০) ( ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৩০
কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইবনু বুহায়নাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ফাজরের সলাতের ইকামাত দেয়া হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, মুয়াযযিন ইকামাত দিচ্ছে আর সে লোকটি সলাত আদায় করছে। তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তুমি কি ফাজরের (ফরয) সলাত চার রাকাআত আদায় করবে? (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ১৫২০ [১৫২৩], ইসলামীক সেন্টার ১৫২৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ মুসলিম-১৫৩৫
আবূ কামিল আল জাহদারী, হামিদ ইবনু উমার আল বাকরাব, ইবনু নুমায়র, যুহায়র ইবনু হারব শব্দগুলো তার (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মসজিদে আসল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সময় ফজরের সলাত আদায় করেছিলেন। লোকটি মসজিদের এক পাশে গিয়ে দু' রাকাআত সলাত আদায় করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সলাতে শামিল হ'ল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফেরার পর তাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে অমুক! তুমি কোন দু' রাকাআত সলাতকে ফারয (ফরয) সলাতরূপে গণ্য করলে? একাকী যে দু' রাকাআত আদায় করলে সে দু রাকাআতকে, না আমাদের সাথে যে দু' রাকাআত আদায় করলে সে দু' রাকাআতকে*? (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ১৫২১, ইসলামীক সেন্টার ১৫২৮)
* ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস ইকামাতের পর কোন সলাত আদায় না করার দলীল যদিও ইমামের সাথে সলাতে গিয়ে মিলিত হতে পারে এবং যে ব্যক্তি বলে প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাআত ইমামের সাথে পেলে সুন্নাত আদায় করা যাবে- এ হাদীস তার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছে।
(সুফলিন শারহে নাবাবী- ১ম খণ্ড ২৪৭ পৃষ্ঠা) হাদিসের মানঃ সহিহ মুসলিম-১৫৩৬
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]-৪২১
অধ্যায়ঃ ২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ)
হাদিস
এ অনুচ্ছেদে ইবনু বুহাইনা, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আবদুল্লাহ ইবনু সারজিস, ইবনু আব্বাস ও আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ আবু হুরাইরার হাদীসটি হাসান। আইউব, ওয়ারাকা ইবনু উমার, যিয়াদ ইবনু সা’দ, ইসমাঈল ইবনু মুসলিম এবং মুহাম্মাদ ইবনু জুহাদা সম্মিলিতভাবে এ হাদীসটি আমর ইবনু দীনার হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। হাম্মাদ ইবনু যায়িদ ও সুফিয়ান ইবনু উআইনা তাদের সনদ পরম্পরায় আমর ইবনু দীনার-এর সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তারা মারফু' হিসাবে বর্ণনা করেননি। তবে মারফু' হিসাবে বর্ণিত হাদীসটিই আমাদের মতে বেশি সহীহ।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী ও অন্যান্যরা এ হাদীস অনুসারে আমল করেছেন। তারা বলেছেন, নামাযের জন্য ইকামাত দেওয়া হলে কোন ব্যক্তিই ফরয নামায ব্যতীত অন্য কোন নামায আদায় করবে না। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও একই রকম কথা বলেছেন। আরো কয়েকটি সূত্রে আবু হুরাইরার নিকট হতে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। 'আইয়্যাশ ইবনু আব্বাস আবু সালামা হতে তিনি আবু হুরাইরা হতে তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত]
অধ্যায়ঃ ২/ রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে নামাযের সময়সূচী (كتاب الصلاة عن رسول الله ﷺ)
হাদিস নম্বরঃ ৪২২
আবু ঈসা বলেনঃ সা’দ ইবনু সাঈদের হাদীসের মাধ্যমেই কেবল আমরা মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীমের হাদীসটি এভাবে জেনেছি। সুফিয়ান ইবনু উআইনা বলেন, আতা ইবনু আবু রাবাহ এ হাদীসটি সা’দ ইবনু সাঈদের নিকট শুনেছেন। এ হাদীসটি মুরসাল হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। মক্কাবাসী আলিমদের একদল ফরয নামাযের পর সূর্য উঠার পূর্বে ফাওত হওয়া সুন্নাত দুই রাক’আত আদায় করতে কোন অপরাধ মনে করেন না।
অপর এক বর্ণনায় আছেঃ
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة)
হাদিস নম্বরঃ ১১৫১
১/১১৫১ (১) মাহমূদ ইবনু গাইলান, ইয়াযীদ ইবনু হারূন, হাম্মাদ ইবনু যায়দ, আইউব, আমর ইবনু দ্বীনার, আতা ইবনু ইয়াসার, আবূ হুরাইরাহ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ُ
নাফে রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. (ফজরের সময়) মসজিদে প্রবেশ করে দেখেন জামাত শুরু হয়ে গেছে। তিনি ফজরের সুন্নত না পড়েই জামাতে শরিক হয়ে গেলেন। নামায শেষে তিনি মসজিদে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। অতপর সূর্যোদয় হয়ে গেলে তিনি দুই রাকাত সুন্নত কাযা করে নেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ২/৪৪৩; রদ্দুল মুহতার ২/৫৭; মাআরিফুস সুনান
★★★ ঈমাম বোখারী, মুসলিম,
সহিহ হিব্বান, মুসনাদে আহমদ,
তিরমিযী, আবু-দাঊদ, ইবনে মাজাহ,
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক
উপোরোক্ত ইমামগণ স্ব স্ব গ্রন্থে উপরোক্ত হাদীস সমূহ সহীহ হিসাবে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
★★★ ফজরের সুন্নাত ছুটে গেলে তা ফরজ নামাজ পড়ে আদায় করা......★★★
মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম হতে তাঁর দাদা ক্কাইস (রাঃ)
তিনি (ক্কাইস) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (নিজের ঘর হতে) বেরিয়ে আসলেন, অতঃপর নামাযের ইক্কামাত দেওয়া হল। আমি তাঁর সাথে নামায আদায় করলাম। নামায হতে অবসর হয়ে তিনি আমাকে নামাযরত অবস্থায় দেখলেন। তিনি বললেনঃ হে ক্কাইস, থামো! তুমি কি দুই নামায একত্রে আদায় করছ? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ফজরের দুই রাক’আত (সুন্নাত) আদায় করতে পারিনি। তিনি বললেনঃ তাহলে কোন দোষ নেই (পড়ে নাও)।
সহীহ। ইবনু মাজাহ-(১১৫১)
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৪২২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৫/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন (كتاب إقامة الصلاة والسنة)
হাদিস নম্বরঃ ১১৫৪
১/১১৫৪। কায়স ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে ফজরের সালাতের পর দু রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখে বলেনঃ ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) কি দুবার? লোকটি তাঁকে বললো, আমি ফজরের পূর্বের দু রাকআত পড়তে পারিনি, সেই দু রাকআত পড়লাম। রাবী বলেন, তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব থাকলেন।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ৪২২, আবূ দাঊদ ১২৬৭, আহমাদ ২৩২৪৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১১৫১। হাদিসের মানঃ সহিহ
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (كتاب الصلاة)
হাদিস নম্বরঃ ১২৬৭
[1] তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ কারো ফজরের পূর্বে দু’ রাক‘আত সুন্নাত ছুটে গেলে, হাঃ ৪২২), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ কেউ ফাজরের পূর্বে দু’ রাক‘আত সুন্নাত না পড়তে পারলে তা কখন ক্বাযা করবে, হাঃ ১১৫৪), আহমাদ (৫/৪৪৭), হুমাইদী ‘মুসনাদ’ (হাঃ ৮৬৮) সকলে সাঈদ ইবনু সাঈদ হতে। হাদিসের মানঃ সহিহ
★★★ ফজরের সুন্নাত ছুটে গেলে সূর্য উদয় হলে আদায় করা....★★★
হযরত ইমাম মালেক রহ: বলেন, আমি জেনেছি যে, আবদুল্লাহ বিন ওমর রা: এর ফজরের দুই রাকাআত ছুটে গিয়েছিল। তিনি তা সূর্যোদয়ের পর আদায় করেন। (মুয়াত্তা মালিক-৪৫, হাদীস নং-৪২২)
ُ
হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬, হাদীস নং-৪২৩)
★★★ মোদ্দাকথা হলো রাসূল ( সাঃ) ফজরের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন এবং তার সাথে সাথে জানিয়েও দিয়েছেন যে,
ফরজ শুরু হলে মানে একামত হয়ে গেলে আর অন্য কোন নামাজ নেই...
আমরা উপরোক্ত হাদীসে রাসূল ( সা:)
এর নিজেরি আছর পাচ্ছি ও স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে উনি কঠোরভাবেই নিষেধ করেছেন এবং সুন্নাত পরে আদায় করার বিষয়েও জানিয়ে দিয়েছেন।
★★★ আল্লাহ অধিক ভাল জানেন
★ ইনশাআল্লাহ আমরা সহীহ আমল জানার ও করার চেষ্টা করব...... ★
আস্সালামু আলাইকুম....
বিদ্র:- ভাল আলেম ও নিজে হাদীস গ্রন্থ সমূহের সাথে মিলিয়ে নিন ...
★★★ আল্লাহ হাফেজ ★★★
No comments:
Post a Comment