
শাবানের মধ্যরজনীর ফযীলত সম্পর্কিত জঈফ হাদীস!
=====================================
-
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَالْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ لَقِيتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، أَبِيكَ يَذْكُرُهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . قَالَ نَعَمْ . حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَكَرَ شَهْرَ رَمَضَانَ فَقَالَ " شَهْرٌ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ "
-আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি এক রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বিছানায় পেলাম না তাই আমি তাকে খুঁজতে বের হলাম, ‘বাকী’ নামক কবরস্থানে তাকে পেলাম, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। তিনি ﷺ বললেন, হে আয়েশা তুমি কি আশংকা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার সাথে অবিচার করবেন?
আয়েশা (রাঃ) বললেন, তা নয়, আমি মনে করেছি আপনি আপনার অন্য কোন স্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকতবর্তী আকাশে অবতরণ করেন, অতঃপর কালব গোত্রের
মেশপালকের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন।
[তিরমিযী হা/৭৩৯; ইবনে মাজাহ হা/১৩৮৯; নাসাঈ হা/২০৩৭; আহমাদ ২৫৪৮৭; মিশকাত হা/১২৯৯]
-
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، وَالْقَاسِمُ بْنُ الْفَضْلِ الْحُدَّانِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ النَّضْرِ بْنِ شَيْبَانَ، قَالَ لَقِيتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ حَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ، سَمِعْتَهُ مِنْ، أَبِيكَ يَذْكُرُهُ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . قَالَ نَعَمْ . حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَكَرَ شَهْرَ رَمَضَانَ فَقَالَ " شَهْرٌ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ صِيَامَهُ وَسَنَنْتُ لَكُمْ قِيَامَهُ فَمَنْ صَامَهُ وَقَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ "
-আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি এক রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বিছানায় পেলাম না তাই আমি তাকে খুঁজতে বের হলাম, ‘বাকী’ নামক কবরস্থানে তাকে পেলাম, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। তিনি ﷺ বললেন, হে আয়েশা তুমি কি আশংকা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার সাথে অবিচার করবেন?
আয়েশা (রাঃ) বললেন, তা নয়, আমি মনে করেছি আপনি আপনার অন্য কোন স্ত্রীর কাছে গিয়েছেন। তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকতবর্তী আকাশে অবতরণ করেন, অতঃপর কালব গোত্রের
মেশপালকের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন।
[তিরমিযী হা/৭৩৯; ইবনে মাজাহ হা/১৩৮৯; নাসাঈ হা/২০৩৭; আহমাদ ২৫৪৮৭; মিশকাত হা/১২৯৯]
■ হাদীসের তাহক্বীকঃ
==============
এই হাদীসের তাহক্বীকে আলবানী বলেছেনঃ এটি জঈফ হাদীস!
==============
এই হাদীসের তাহক্বীকে আলবানী বলেছেনঃ এটি জঈফ হাদীস!
এই হাদীস সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেন,
আয়িশা (রাঃ) এর এই হাদীস আমি হাজ্জাজের বর্ণিত সনদ (সূত্র) ছাড়া অন্য কোনভাবে চিনি না। আমি মুহাম্মাদকে (ইমাম বুখারী) বলতে শুনেছি যে, তিনি হাদীসটিকে দুর্বল বলতেন। তিরমিযী আরও (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবনে কাসীর উরওয়াহ থেকে হাদীস শুনেননি এবং মুহাম্মদ (ইমাম বুখারী) বলেছেন হাজ্জাজ ইয়াহ্ইয়াহ ইবনে কাসীর থেকে শুনেননি।
এ হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইমাম তিরমিযীর মন্তব্যে প্রমাণিত হয় যে, হাদীসটি দুটো দিক থেকে মুনকাতি অর্থাৎ উহার সূত্র থেকে বিচ্ছিন্ন।
আয়িশা (রাঃ) এর এই হাদীস আমি হাজ্জাজের বর্ণিত সনদ (সূত্র) ছাড়া অন্য কোনভাবে চিনি না। আমি মুহাম্মাদকে (ইমাম বুখারী) বলতে শুনেছি যে, তিনি হাদীসটিকে দুর্বল বলতেন। তিরমিযী আরও (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবনে কাসীর উরওয়াহ থেকে হাদীস শুনেননি এবং মুহাম্মদ (ইমাম বুখারী) বলেছেন হাজ্জাজ ইয়াহ্ইয়াহ ইবনে কাসীর থেকে শুনেননি।
এ হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইমাম তিরমিযীর মন্তব্যে প্রমাণিত হয় যে, হাদীসটি দুটো দিক থেকে মুনকাতি অর্থাৎ উহার সূত্র থেকে বিচ্ছিন্ন।
অপর দিকে এ হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হাজ্জাজ ইবনে আরতাহ মুহাদ্দিসীনদের নিকট দুর্বল বলে পরিচিত। তার সম্পর্কে ইয়াহিয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু নির্ভরযোগ্য নয়। তিনি আমর থেকে হাদীস বর্ণনায় তাদলীস করেছেন।
আবু যুরআহ আর-রাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু দূর্বলদের থেকে তাদলীস করেন।
আলী ইবনুল মাদানী বলেন, আমি তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্ণনা করেছি।
আবু যুরআহ আর-রাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু দূর্বলদের থেকে তাদলীস করেন।
আলী ইবনুল মাদানী বলেন, আমি তাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্ণনা করেছি।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! যারা শবে বরাতের বেশী বেশী ফাযীলাত বয়ান করতে অভ্যস্ত তারা তিরমিযী বর্ণিত এ হাদীসটি খুব গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করেন অথচ যারা হাদীসটির অবস্থা সম্পর্কে ভাল জানেন তাদের এ মন্তব্যটুকু গ্রহণ করতে চাননা। এ হাদীসটি ‘আমলের ক্ষেত্রে পরিত্যাজ্য হওয়ার জন্য ইমাম তিরমিযীর এ মন্তব্যটুকু কি যথেষ্ট নয়? যদি তর্কের খাতিরে এ হাদীসটিকে বিশুদ্ধ বলে ধরে নেয়া হয় তাহলে কি প্রমাণিত হয়? আমরা যারা ঢাকঢোল পিটিয়ে মাসজিদে একত্র হয়ে যেভাবে শবে বরাত উদযাপন করি তাদের ‘আমলের সাথে এ হাদীসটির মিল কোথায়?
বরং এ হাদীসে দেখা গেল রাসূলুল্লাহ ﷺ বিছানা ছেড়ে চলে গেলেন, আর পাশে শায়িত আয়িশা (রাঃ) কে ডাকলেন না। ডাকলেন না অন্য কাউকে। তাকে জাগালেন না বা সালাত আদায় করতে বললেন না। অথচ আমরা দেখতে পাই যে, রামাযানের শেষ দশকে আল্লাহর রাসূল ﷺ নিজে রাত জেগে ইবাদাত-বন্দেগী করতেন এবং পরিবারের সকলকে জাগিয়ে দিতেন। বেশী পরিমাণে ইবাদাত-বন্দেগী করতে বলতেন। যদি ১৫ শাবানের রাতে কোন ইবাদাত করার ফাযীলাত থাকত তাহলে আল্লাহর রাসূল ﷺ কেন আয়িশাকে (রাঃ) বললেন না? কেন রামাযানের শেষ দশকের মত সকলকে জাগিয়ে দিলেন না, তিনি তো নেক কাজের প্রতি মানুষকে আহ্বান করার ক্ষেত্রে আমাদের সকলের চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি তো কোন অলসতা বা কৃপণতা করেননি।
এখন এ হাদীসকে সত্য হিসাবে ধরে নেওয়া হলে রাসুল ﷺ কে অপমান করা হবে, তাঁর প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হবে, আয়েশা (রাঃ) কে রাসুল ﷺ এর প্রতি কু-ধারনা পোষনকারী ভাবা হবে!!!
এমনকি ভেবে দেখুন, এ হাদীসকে সত্য হিসাবে আমল করা হলে রাসুল ﷺ কে খিয়ানতকারী, স্বার্থপরও ভাবা হবে, তাই নয় কি? [নাউযুবিল্লাহ!]
এমনকি ভেবে দেখুন, এ হাদীসকে সত্য হিসাবে আমল করা হলে রাসুল ﷺ কে খিয়ানতকারী, স্বার্থপরও ভাবা হবে, তাই নয় কি? [নাউযুবিল্লাহ!]
No comments:
Post a Comment