Tuesday, November 14, 2017

দ্বীনী প্রশ্নোত্তর /চিকিৎসা, তাবীয ও ঝাড়ফুঁক



No automatic alt text available.



1-কোন মুশরিক বা অমুসলিম এর কাছে ঝাড়ফুঁক করানো বৈধ কি?
না কারণ মহানবী (সঃ) সাহাবা গণকে বলেছিলেন, “তোমরা তোমাদের ঝাড়ফুঁকের মন্ত্র গুলি আমার নিকট পেশ কর। ঝাড়ফুঁক করায় দোষ নেই, যতক্ষণ তাতে শিরক না থাকে।” (মুসলিম)
আর মুশরিক আর অমুসলিমরাতো শিরকী মন্ত্র পরেই ঝাড়ফুঁক করে। 
- ----------------------
2-পানি পড়া বৈধ কি না? পানি পাত্রে ফুঁক দিতে হাদিসে নিষেধ আছে, তাহলে পানি পড়তে ফুঁক দেওয়া কিভাবে বৈধ হতে পারে?
পানি পড়া বৈধ। যেহেতু কুরআন পড়ার বরকত মিশ্রিত ফুঁক ও থুথু, সেহেতু তাতে আরোগ্য লাভের আশা করা যায় এবং তা আপত্তিকর নয়।
-----------
3-ঝাড়ফুঁক করে কি পয়সা নেওয়া বৈধ?
বৈধ। আবু সাইদ খুদরী ল বলেন, নবী (সঃ) এর কিছু সাহাবা আরবের কোন এক বসতিতে এলেন। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা তাঁদেরকে মেহমান রূপে বরন করল না (এবং কোন খাদ্যও পেশ করল না)। অতঃপর তারা সেখানে থাকা অবস্থায় তাঁদের সর্দারকে (বিচ্ছুতে) দংশন করল। তারা বলল, ‘তোমাদের কাছে কি কোন ঔষধ অথবা ঝাড়ফুঁক কারী (ওঝা) আছে?’ তারা বললেন, ‘তোমরা আমাদেরকে মেহমান রূপে বরন করেলে না। সুতরাং আমরাও পারিশ্রমিক ছাড়া (ঝাড়ফুঁক) করব না।’ ফলে তারা এক পাল ছাগল পারিশ্রমিক নির্ধারিত করল। একজন সাহাবি উম্মুল কুরআন (সুরা ফাতিহা) পড়তে লাগলেন থুথু জমা করে (দংশনর জায়গায়) দিতে লাগলেন। সর্দার সুস্থ হয়ে উঠল। তারা ছাগলের পাল হাজির করল। তারা বললেন, ‘আমরা নবী (সঃ) কে জিজ্ঞাসা না করে গ্রহণ করব না।’ সুতরাং তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি হেসে বললেন, “তোমাকে কিসে জানালো যে, ওটি ঝাড়ফুঁকের মন্ত্র?” ! ছাগলগুলি গ্রহণ কর এবং আমার জন্য একটি ভাগ রেখো। “(বুখারিঃ ৫৭৩৬ নং)
------------------------
4-তাবীয দিয়ে পয়সা খাওয়া কি হালাল?
উত্তরঃ ইসলামে যা হারাম, তার ব্যবসা করা এবং তার বিনিময়ে পয়সা খাওয়া হারাম। ইসলামে মদ হারাম, তা বিক্রি করাও হারাম। আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন, “মদ পানকারীকে, মদ পরিবেশনকারীকে, তার ক্রেতা ও বিক্রেতাকে, তার প্রস্তুতকারককে, যার জন্য প্রস্তুত করা হয় তাকে ,তার বাহককে ও যার জন্য বহন করা হয় তাকে আল্লাহ অভিশাপ করেছেন।” (আবু দাউদ ৩৬৭৪, ইবনে মাজাহ ৩৩৮০ নং) (আবু দাউদ ৩৬৭৪, ইবনে মাজাহ ৩৩৮০ নং)
ইবনে মাজার বর্ণনায় আছে, “তা মূল্য ভক্ষণকারী ও (অভিশপ্ত)।”(সহিহুল জা’মে ৫০৯১ নং)
-----------------
5-থুথু দিয়ে মাটি ঘুলে ফোঁড়া বা ব্যথা ইত্যাদিতে লাগিয়ে চিকিৎসা বৈধ কি?
এই চিকিৎসা মহানবী (সঃ) করেছেন। অনেকে বলেছেন, তা তার থুথু ও মদিনার মাটির সাথে সম্পৃক্ত। অনেকে বলেছেন, সবারই থুথু ও সব জায়গার মাটি দ্বারা ঐ চিকিৎসা হতে পারে। তবে তা ঔষধরূপে, তাবাররক স্বরূপ নয়। (ইবনে উসাইমিন) 
-----------------
6-যিনি ঝাড়ফুঁক করবেন, তার কি আলেম, ইমাম বা হুজুর হওয়া জরুরী?
না। আলেম হওয়া জরুরী নয়। যিনি কুরআন ও দুয়া জানেন তিনিই ঝাড়ফুঁক করতে পারেন। পরহেজগার মানুষের ঝাড়ফুঁক তাসির আছে।
-------------------
দ্বীনী প্রশ্নোত্তর /চিকিৎসা, তাবীয ও ঝাড়ফুঁক /আবদুল হামীদ ফাইযী

No comments:

Post a Comment