Saturday, October 27, 2018

➖অকাল_মৃত্যু_বলে_কিছু_নেই:➖



Image may contain: text


অকাল_মৃত্যু_বলে_কিছু_নেই:

মিডিয়ার বদৌলতে আজকাল অকাল মৃত্যু শব্দের সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। মিডিয়ায় শব্দটির ব্যবহার এতই অবিরল যে সচেতন অনেক মুসলিমও শব্দটি অবচেতনে উচ্চারণ করে বসেন। কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কোনো অঙ্গনের তারকার অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে বা অপরিণত বয়সে মারা গেলেই সেটাকে অকাল মৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মানুষকে যে মরতে হবে এ বিষয়ে কোনো ধর্মের অনুসারীই এমনকি নাস্তিক বা ধর্মহীন ব্যক্তিও দ্বিমত করেন না।
আল্লাহ তা‘আলা যেমন ইরশাদ করেন,
﴿ كُلُّ نَفۡسٖ ذَآئِقَةُ ٱلۡمَوۡتِۖ ثُمَّ إِلَيۡنَا تُرۡجَعُونَ ٥٧ ﴾ [العنكبوت: ٥٧]
‘প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তারপর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে’।
📚{সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত : ৫৭}
একই বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে আরও একটি আয়াতে।
 ইরশাদ হয়েছে,
﴿ كُلُّ نَفۡسٖ ذَآئِقَةُ ٱلۡمَوۡتِۗ وَنَبۡلُوكُم بِٱلشَّرِّ وَٱلۡخَيۡرِ فِتۡنَةٗۖ وَإِلَيۡنَا تُرۡجَعُونَ ٣٥ ﴾ [الانبياء: ٣٥]
‘প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে; আর ভালো ও মন্দ দ্বারা আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমার কাছেই তোমাদেরকে ফিরে আসতে হবে’।
📚{সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ৩৫}
মৃত্যু সুনিশ্চিত জানার পর এখন আমাদের আলোচনা করা দরকার, অকাল মৃত্যু বলতে কী বুঝায়? যে মৃত্যু তার কালে তথা যথাসময়ে হয়নি তাকেই অকাল মৃত্যু হিসেবে গণ্য করা হয়। অকাল মৃত্যু শব্দটি ইসলামী চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কারণ, প্রতিটি মানুষের মৃত্যুর মতো তার মৃত্যুক্ষণও অবধারিত ও সুনির্দিষ্ট। সাধারণ বিবেচনায় কোনো মৃত্যু অকালে ঘটলেও বাস্তবে কিন্তু কোনো মৃত্যুই অকালে ঘটে না। প্রতিটি মৃত্যুই বরং স্বকালে অর্থাৎ তার নিজস্ব কাল বা সময়েই ঘটে। মানুষের জন্মের অনেক আগেই তার এ মৃত্যুক্ষণ লিখিত হয়েছে। সুনির্ধারিত ওই সময়ের এক সেকেন্ড আগে কিংবা এক মুহূর্ত পরেও কারো মৃত্যু হয় না।
 পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা যেমন ইরশাদ করেন,
﴿ وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٞۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمۡ لَا يَسۡتَأۡخِرُونَ سَاعَةٗ وَلَا يَسۡتَقۡدِمُونَ ٣٤ ﴾ [الاعراف: ٣٤]
‘আর প্রত্যেক জাতির রয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়। অতঃপর যখন তাদের সময় আসবে, তখন তারা এক মুহূর্ত বিলম্ব করতে পারবে না এবং এগিয়েও আনতে পারবে না’। 📚{সূরা আল-‘আরাফ, আয়াত : ৩৪}
 অন্য সূরায় আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
﴿ وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا ٱلۡوَعۡدُ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٢٩ قُل لَّكُم مِّيعَادُ يَوۡمٖ لَّا تَسۡتَٔۡخِرُونَ عَنۡهُ سَاعَةٗ وَلَا تَسۡتَقۡدِمُونَ ٣٠ ﴾ [سبا: ٢٩، ٣٠]
‘আর তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে’? বল, ‘তোমাদের জন্য রয়েছে একটি দিনের ওয়াদা যা থেকে তোমরা মুহূর্তকাল বিলম্বিত করতে পারবে না আর তরান্বিতও করতে পারবে না’। 📚{সূরা সাবা’, আয়াত : ২৯-৩০}
 আল্লাহ তা‘আলা আরও ইরশাদ করেন,
﴿ قُل لَّآ أَمۡلِكُ لِنَفۡسِي ضَرّٗا وَلَا نَفۡعًا إِلَّا مَا شَآءَ ٱللَّهُۗ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌۚ إِذَا جَآءَ أَجَلُهُمۡ فَلَا يَسۡتَٔۡخِرُونَ سَاعَةٗ وَلَا يَسۡتَقۡدِمُونَ ٤٩ ﴾ [يونس: ٤٩]
‘বল, ‘আমি নিজের ক্ষতি বা উপকারের অধিকার রাখি না, তবে আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন’। প্রত্যেক উম্মতের রয়েছে নির্দিষ্ট একটি সময়। যখন এসে যায় তাদের সময়, তখন এক মুহূর্ত পিছাতে পারে না এবং এগোতেও পারে না’। 📚{সূরা ইউনুস, আয়াত : ৪৯}
 অন্যত্র আল্লাহ বলেন,
﴿ وَلَوۡ يُؤَاخِذُ ٱللَّهُ ٱلنَّاسَ بِظُلۡمِهِم مَّا تَرَكَ عَلَيۡهَا مِن دَآبَّةٖ وَلَٰكِن يُؤَخِّرُهُمۡ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمّٗىۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمۡ لَا يَسۡتَٔۡخِرُونَ سَاعَةٗ وَلَا يَسۡتَقۡدِمُونَ ٦١ ﴾ [النحل: ٦١]
‘আর আল্লাহ যদি মানবজাতিকে তাদের যুলমের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে তাতে (যমীনে) কোনো বিচরণকারী প্রাণীকেই ছাড়তেন না। তবে আল্লাহ তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় চলে আসে, তখন এক মুহূর্তও পেছাতে পারে না, এবং আগাতেও পারে না’।
📚{সূরা নাহল, আয়াত : ৬১}
 আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন,
﴿ وَٱللَّهُ خَلَقَكُم مِّن تُرَابٖ ثُمَّ مِن نُّطۡفَةٖ ثُمَّ جَعَلَكُمۡ أَزۡوَٰجٗاۚ وَمَا تَحۡمِلُ مِنۡ أُنثَىٰ وَلَا تَضَعُ إِلَّا بِعِلۡمِهِۦۚ وَمَا يُعَمَّرُ مِن مُّعَمَّرٖ وَلَا يُنقَصُ مِنۡ عُمُرِهِۦٓ إِلَّا فِي كِتَٰبٍۚ إِنَّ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٞ ١١ ﴾ [فاطر: ١١]
‘আর আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে তারপর শুক্রবিন্দু থেকে তারপর তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন এবং নারী তার গর্ভে যা ধারণ করে আর যা প্রসব করে তা আল্লাহর জ্ঞাতসারেই হয়। আর কোনো বয়স্ক ব্যক্তির বয়স বাড়ানো হয় না কিংবা কমানো হয় না কিন্তু তা তো রয়েছে কিতাবে; নিশ্চয় তা আল্লাহর জন্য সহজ’। 📚{সূরা আল-ফাতির, আয়াত : ১১}
 আল্লাহ তা‘আলা আরও ইরশাদ করেন,
﴿ هُوَ ٱلَّذِي خَلَقَكُم مِّن تُرَابٖ ثُمَّ مِن نُّطۡفَةٖ ثُمَّ مِنۡ عَلَقَةٖ ثُمَّ يُخۡرِجُكُمۡ طِفۡلٗا ثُمَّ لِتَبۡلُغُوٓاْ أَشُدَّكُمۡ ثُمَّ لِتَكُونُواْ شُيُوخٗاۚ وَمِنكُم مَّن يُتَوَفَّىٰ مِن قَبۡلُۖ وَلِتَبۡلُغُوٓاْ أَجَلٗا مُّسَمّٗى وَلَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ ٦٧ ﴾ [غافر: ٦٧]
‘তিনিই তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তারপর শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর ‘আলাকা’থেকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করে আনেন। তারপর যেন তোমরা তোমাদের যৌবনে পদার্পণ কর, অতঃপর যেন তোমরা বৃদ্ধ হয়ে যাও। আর তোমাদের কেউ কেউ এর পূর্বেই মারা যায়। আর যাতে তোমরা নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে যাও। আর যাতে তোমরা অনুধাবন কর’। 📚{সূরা আল-মু‘মিন/গাফির, আয়াত : ৬৭}
এ আয়াতগুলো থেকে বুঝা যায় প্রতিটি মানুষের মৃত্যুক্ষণ সুনির্ধারিত। যিনি যখন যেভাবেই মারা যান না কেন আল্লাহর জ্ঞানে তা সুনির্দিষ্ট। অতএব সব মৃত্যুই সঠিক সময়ে হয়। কোনো মৃত্যুই অকালে হয় না। যে মৃত্যুগুলোকে আমরা বলছি ‘অকালমৃত্যু’, বড় জোর সেগুলোকে আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রত্যাশিত মৃত্যু বলতে পারি। যদিও একজন পরিপূর্ণ মু‘মিন এবং আল্লাহর জন্য পুরোপুরি নিবেদিত জীবনের কাছে এ মৃত্যু অপ্রত্যাশিত তো নয়-ই বরং প্রত্যাশিত। কারণ তিনি আল্লাহর সাক্ষাতের প্রত্যাশায় তেমনি উদগ্রীব থাকেন যেমন ব্যাকুল থাকি আমরা ইহধামে বেঁচে থাকার জন্যে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, পবিত্র কুরআনে ‘যখন তাদের সময় আসবে......’ এই সময়ে সংঘটিতব্য মৃত্যুর ধরনও কি আল্লাহ সবসময় নির্ধারণ করে দেন? নাকি সেই ব্যক্তি বা তার পাশের ব্যক্তির কর্মের ফল হয় এই সময় বা পদ্ধতি? এর উত্তরে বলতে হয়, মৃত্যুর সময় যেমন আল্লাহর কাছে সুনির্ধারিত। তেমনি আল্লাহর ইলমে (জ্ঞানে) তার মৃত্যুর ধরনও নির্দিষ্ট। আল্লাহর ইলমের কোনো কাল নেই। তাঁর কাছে ভূত-ভবিষ্যত সমান। যা হাজার বছর পরে ঘটবে তাও তিনি জানেন। তাই তিনি তাঁর ইলম দিয়ে জানেন ওই ব্যক্তির মৃত্যু এতদিন পর এভাবে হবে।
 আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
﴿ وَكَانَ أَمۡرُ ٱللَّهِ قَدَرٗا مَّقۡدُورًا ٣٨ ﴾ [الاحزاب: ٣٨]
‘আর আল্লাহ্‌র বিধান সুনির্দিষ্ট, অবধারিত’। 📚{আল-আহযাব ৩৮}
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবন কাছীর রহ. বলেন, অর্থাৎ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত বিষয় অবশ্যই ঘটবে, এর সামান্যতম কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। তিনি যা চান, তা ঘটে। আর যা তিনি চান না, তা ঘটে না [তাফসীর ইবন কাছীর : ৬/৪২৭।]
 আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন,
﴿ وَعِندَهُۥ مَفَاتِحُ ٱلۡغَيۡبِ لَا يَعۡلَمُهَآ إِلَّا هُوَۚ وَيَعۡلَمُ مَا فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِۚ وَمَا تَسۡقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعۡلَمُهَا وَلَا حَبَّةٖ فِي ظُلُمَٰتِ ٱلۡأَرۡضِ وَلَا رَطۡبٖ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَٰبٖ مُّبِينٖ ٥٩ ﴾ [الانعام: ٥٩]
‘তাঁর কাছেই গায়েবী বিষয়ের চাবিসমূহ রয়েছে; এগুলি তিনি ছাড়া কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা কিছু আছে, তিনিই জানেন। তাঁর জানার বাইরে (গাছের) কোনো পাতাও ঝরে না। তাকদীরের লিখন ছাড়া কোনো শস্যকণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোনো আর্দ্র ও শুষ্ক দ্রব্যও পতিত হয় না’।
📚{সূরা আল-আন‘আম, আয়াত : ৫৯}
 অপর আয়াতে তিনি ইরশাদ করেন,
﴿ إِنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥ عِلۡمُ ٱلسَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ ٱلۡغَيۡثَ وَيَعۡلَمُ مَا فِي ٱلۡأَرۡحَامِۖ وَمَا تَدۡرِي نَفۡسٞ مَّاذَا تَكۡسِبُ غَدٗاۖ وَمَا تَدۡرِي نَفۡسُۢ بِأَيِّ أَرۡضٖ تَمُوتُۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرُۢ ٣٤ ﴾ [لقمان: ٣٤]
‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোথায় সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত’। 📚{সূরা লুক্বমান, আয়াত : ৩৪}
এটি মূলত তাকদীরের অংশ। আর বলাবাহুল্য যে তাকদীরে ঈমান আনা জরুরী। তাকদীরে বিশ্বাস না রাখলে কেউ মু‘মিন হতে পারবে না।
 আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবনিল আছ (রা:) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি,
«كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلاَئِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ -قَالَ- وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ»
‘আসমান-যমীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর আগে আল্লাহ সব কিছুর তাকদীর লিখে রেখেছেন। তিনি বলেন, আর তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে’।
📚[মুসলিম : ২৬৫৩]
 তাঊস রহ. বলেন, আমি অনেকজন সাহাবীকে পেয়েছি, যাঁরা বলতেন, সবকিছু তাকদীর অনুযায়ীই হয়।
 তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:)কে বলতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, ‘সবকিছু তাকদীর মোতাবেকই ঘটে থাকে, এমনকি অপারগতা এবং বিচক্ষণতাও, অথবা বিচক্ষণতা ও অপারগতাও।
 অন্য এক হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
« لَا يُؤْمِنُ الْمَرْءُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ »
‘তাকদীরের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত কেউ মুমিন হতে পারবে না’। 📚[মুসনাদে আহমাদ : ৬৭০৩]
এ ধরনের আরো বহু আয়াত এবং হাদীস আছে, যেগুলি অকাট্যভাবে তাকদীরের প্রতি ঈমান আনার অপরিহার্যতা প্রমাণ করে। এছাড়া মুসলিম আলেমগণ সর্বসম্মতিক্রমে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, তাকদীরের ভালো-মন্দের প্রতি ঈমান আনা অপরিহার্য।
আল্লাহ আমাদের সকলকে তাঁর প্রতি পরিপূর্ণরূপে ও সঠিকভাবে ঈমান আনার তাওফীক দান করুন। আমীন।

No comments:

Post a Comment