Saturday, October 18, 2014

একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কিংবদন্তি হয়ে ওঠার গল্প।




একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কিংবদন্তি হয়ে ওঠার গল্প। আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দামী চাকরি ছেড়ে মাটির টানে তিনি চলে এসেছিলেন স্বদেশে। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনার ফাঁকে ফাঁকে টকশোতে কথা বলতে শুরু করলেন বছর তিনেক আগে। সেদিন কেউ চিনত না তাঁকে, কিন্তু আজ পিয়াস করিমকে সবাই চিনে। চারিদিকে যখন ছিল কাপুরুষদের ভীড়, এমন দুঃসময়ে তিনি ছিলেন সেই গুটিকতক মানুষদের একজন, যারা সাহস করে সত্য কথাগুলো বলতে পেরেছিলেন প্রকাশ্যে।
প্রতি মধ্যরাতে টিভি চ্যানেলে পিয়াস করিমের মুখে সে কথাগুলোই শোনা যেতো, যেটা বাংলার গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষ বলতে চাইত। নির্যাতিত মানুষের প্রাণের কথাটি খুব স্পষ্ট করে বলতে পেরেছিলেন পিয়াস করিম। সরকারী রক্তচক্ষু, গোয়েন্দা সংস্থার হুমকি, বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, টেলিফোনে হত্যার হুমকি ধামকি, কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারেনি। রাজনীতিক না হয়েও খুব অল্প সময়ে যে জনমর্থন আজ পিয়াস করিমের, তা প্রথম শ্রেনীর কোনো রাজনীতিকের চেয়ে কম নয়। তাইতো, স্বৈরাচারের কাছে জীবিত পিয়াস করিমের চেয়ে মৃত পিয়াস করিম হয়ে উঠেছেন বড় আতঙ্কের।
মাত্র ৫৬ বছরের জীবনের শেষ তিন বছরে বাংলাদেশকে দিয়ে গেছেন অনেক কিছু, তরুন সমাজকে দিয়ে গেছেন একটি স্বপ্ন- বাংলাদেশকে বদলাতে হবে। যিনি একদা ছিলেন বামপন্থী, মাত্র তিন বছরে তিনি পরিণত হয়েছেন সকল ডানপন্থীদের মধ্যমনি- হয়ে উঠেছেন বাংলার নিপিড়িত জনতার প্রতিবাদের প্রতীকে। এ এক বিস্ময়!

No comments:

Post a Comment