পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনাকে যারা সম্মান করবে তারা জান্নাতী
আরবী বছরের প্রথম মাস পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ। আরবী বারোটি মাসের মধ্যে যে চারটি মাসকে হারাম বা সম্মানিত বলে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে, পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনার মধ্যে অন্যতম। আসমান-যমীন সৃষ্টিকাল হতেই এ মাসটি বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে আসছে।
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল র্মুসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনাকে এবং এর মধ্যস্থিত পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে সম্মান কর। যে ব্যক্তি পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনাকে তথা পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে সম্মান করবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সম্মানিত জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।”
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল র্মুসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনাকে এবং এর মধ্যস্থিত পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে সম্মান কর। যে ব্যক্তি পবিত্র মুহররম শরীফ মাস উনাকে তথা পবিত্র আশূরা শরীফ উনাকে সম্মান করবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সম্মানিত জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।”
পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম শরীফ মুসলমানগণ উনাদের জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রহমত, বরকত, সাকীনা ও মাগফিরাত মুবারক উনার মাস। চন্দ্র মাসের প্রথম মাস পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ এবং পবিত্র মাস উনাদের একটি। এ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য মুসলমানগণ আগে খুব একটা জানতো না। মানুষ ধারণা করতো এই মাসটি মাতম করার মাস এবং বাতিল ফিরক্বা শিয়া সম্প্রদায়ের বিশেষ মাস। নাঊযুবিল্লাহ!
এই পবিত্র মাস পবিত্র মুহররম শরীফ উনার দশ তারিখে সংঘটিত হয় নানা বরকত, রহমত ও সাকীনাপূর্ণ ঘটনা। পৃথিবীর শুরু এবং শেষ এই পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিনে। অনেক নছীহতপূর্ণ ঘটনা ঘটে এই পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিনে।
উলামায়ে ‘সূ’ যাদের অন্তর গালিজে পরিপূর্ণ তারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনাদের জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে না বুঝার কারণে উল্টা দিকে ঘুরিয়ে আওয়ামুন্নাস বা সাধারণ মানুষদের মধ্যে ভ্রান্তি ছড়িয়ে ঈমান ও আক্বীদা ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনারা পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা পরিচালিত হন এবং উনারা সকলেই মাছুম।
মুসলমানগণ উনাদের ইতিহাসের যতগুলো হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হদয় বিদারক ঘটনা হলো ৬১ হিজরী সনের ১০ই মুহররম শরীফ মাসে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নৃশংসতম ঘটনা, সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শাহাদাতবরণ। এই হৃদয় বিদারক ঘটনার মধ্যে রয়েছে মুসলমানগণ উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত। মাতম করে এই ঘটনার বদলা শোধ করা যাবে না বা কাফ্ফারা আদায় করা যাবে না।
পবিত্র কারবালা উনার প্রান্তরের হৃদয় বিদারক করুণ ঘটনা আমাদের কি শিক্ষা দেয়- “শির দেগা, নেহি দেগা আমামা’। মুসলমান কোনো বাতিল শক্তির কাছে হার মেনে বশ্যতা শিকার করতে পারে না। পাপিষ্ঠ কাট্টা কাফির ইয়াযীদ চেয়েছিলো হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট থেকে বাইয়াত গ্রহণ ও বশ্যতা স্বীকার করার। এভাবে ইয়াযীদের সিংহাসন নিরঙ্কুশ হবে তার ধারণা ছিলো। যাঁর শিরায় বইছে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক, তিনি তো ইয়াযীদের নিকট বাইয়াত গ্রহণ করতে পারেন না।
উলামায়ে ‘সূ’ যাদের অন্তর গালিজে পরিপূর্ণ তারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনাদের জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে না বুঝার কারণে উল্টা দিকে ঘুরিয়ে আওয়ামুন্নাস বা সাধারণ মানুষদের মধ্যে ভ্রান্তি ছড়িয়ে ঈমান ও আক্বীদা ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনারা পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা পরিচালিত হন এবং উনারা সকলেই মাছুম।
মুসলমানগণ উনাদের ইতিহাসের যতগুলো হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হদয় বিদারক ঘটনা হলো ৬১ হিজরী সনের ১০ই মুহররম শরীফ মাসে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নৃশংসতম ঘটনা, সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শাহাদাতবরণ। এই হৃদয় বিদারক ঘটনার মধ্যে রয়েছে মুসলমানগণ উনাদের জন্য ইবরত ও নছীহত। মাতম করে এই ঘটনার বদলা শোধ করা যাবে না বা কাফ্ফারা আদায় করা যাবে না।
পবিত্র কারবালা উনার প্রান্তরের হৃদয় বিদারক করুণ ঘটনা আমাদের কি শিক্ষা দেয়- “শির দেগা, নেহি দেগা আমামা’। মুসলমান কোনো বাতিল শক্তির কাছে হার মেনে বশ্যতা শিকার করতে পারে না। পাপিষ্ঠ কাট্টা কাফির ইয়াযীদ চেয়েছিলো হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট থেকে বাইয়াত গ্রহণ ও বশ্যতা স্বীকার করার। এভাবে ইয়াযীদের সিংহাসন নিরঙ্কুশ হবে তার ধারণা ছিলো। যাঁর শিরায় বইছে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক, তিনি তো ইয়াযীদের নিকট বাইয়াত গ্রহণ করতে পারেন না।
মহিলা ও শিশুসহ মাত্র ৭২ জন সঙ্গী নিয়ে কূফার পথে আক্রান্ত হন এক বিশাল বাহিনী দ্বারা। বীর বিক্রমে জিহাদ করে শাহাদাতবরণ করে শাহাদাতের মাক্বামকে সম্মানিত করেছেন। কিন্তু নাহক্ব স্বীকার করেননি। ‘মুসলমান বাতিলের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে না’- এই মূলনীতি নিয়ে আমরাও এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। মুসলমানগণ যখন এই হৃদয় বিদারক ঘটনা স্মরণ করে দুঃখিত হবে তখন তাদের গুনাহ মাফ হতে থাকবে। এই ঘটনার জন্য দুঃখ পাওয়া হবে রহমত, বরকত ও সাকীনা মুবারক উনার কারণ।
No comments:
Post a Comment