আস সালামুয়ালাইকুম, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদ।
------
আগামীকাল সূর্যগ্রহণ। আসুন এই ব্যপারে করনীয় জেনে নেই।
সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ আল্লাহ্র অপার কুদরতের অন্যতম নিদর্শন। অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, এর মাধ্যমে আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের ভয় দেখিয়ে থাকেন।
#সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণে করনীয়------------
১-সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ কালে যে নফল ছালাত আদায় করা হয়, তাকে ছালাতুল কুসূফ ও খুসূফ বলা হয়।
যে সব দেশে সূর্য বা চন্দ্র গ্রহন দেখা যাবে তারা এই গ্রহণ শুরু হ’লে আল্লাহ্র প্রতি গভীর আনুগত্য ও ভীতি সহকারে এর ক্ষতি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে জামা‘আত সহ দু’রাক‘আত ছালাত দীর্ঘ ক্বিরাআত ও ক্বিয়াম সহকারে আদায় করবে এবং শেষে খুৎবা দি বে।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪৮২-৮৩, ‘চন্দ্র গ্রহণের ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৫০। ]
এই ছালাতের বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। যাতে দু’রাক‘আত ছালাতে (২+২) ৪টি রুকূ হয় এবং এটিই সর্বাধিক বিশুদ্ধ।[ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪৮০, ৮২, টীকা-আলবানী দ্রঃ পৃঃ ১/৪৬৯; মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৮৫। ]
২- পৃথিবীর যেখানেই সূর্য বা চন্দ্র গ্রহন হউকনা কেন , এই সময় বেশি বেশি আল্লাহকে ডাকবে, তাকবীর দিবে।
৩- রাসুল সা বলেছেন, এর মাধ্যমে আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের ভয় দেখিয়ে থাকেন তাই যখন তোমরা সূর্য গ্রহণ দেখবে, তখন ভীত হয়ে আল্লাহ্র যিকর, দো‘আ ও ইস্তেগফারে রত হবে।
[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪৮২-৮৪। ]
৪- বেশি বেশি ছাদাক্বা করবে। ...
#মহিলারা ঘরেও এই নামায পড়তে পারবে যদি তারা গ্রহন দেখতে পায়।
#সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের ছালাত পদ্ধতি :
==========
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সময়ে একবার সূর্য গ্রহণ হ’লে আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) ছালাত আদায় করেন ও লোকেরাও তাঁর সাথে ছালাত আদায় করে।
প্রথমে তিনি ছালাতে দাঁড়ালেন এবং সূরা বাক্বারাহ্র মত দীর্ঘ ক্বিরাআত করলেন।
অতঃপর (১) দীর্ঘ রুকূ করলেন। তারপর মাথা তুলে ক্বিরাআত করতে লাগলেন।
তবে প্রথম ক্বিরাআতের চেয়ে কিছুটা কম ক্বিরাআত করে
(২) রুকূতে গেলেন। এবারের রুকূ প্রথম রুকূর চেয়ে কিছুটা কম হ’ল।
তারপর তিনি রুকূ থেকে মাথা তুলে সিজদা করলেন। অতঃপর সিজদা শেষে তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং লম্বা ক্বিরাআত করলেন। তবে প্রথমের তুলনায় কিছুটা ছোট।
এরপর তিনি (৩) রুকূ করলেন, যা আগের রুকূর চেয়ে কম ছিল। রুকূ থেকে মাথা তুলে পুনরায় ক্বিরাআত করলেন। যা প্রথমের তুলনায় ছোট ছিল।
অতঃপর তিনি (৪) রুকূ করলেন ও মাথা তুলে সিজদায় গেলেন। পরিশেষে সালাম ফিরালেন।
ইতিমধ্যে সূর্য উজ্জ্বল হয়ে গেল। অতঃপর ছালাত শেষে দাঁড়িয়ে তিনি খুৎবা দিলেন এবং হামদ ও ছানা শেষে বললেন যে, সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি বিশেষ নিদর্শন। কারু মৃত্যু বা জন্মের কারণে এই গ্রহণ হয় না। যখন তোমরা ঐ গ্রহণ দেখবে, তখন আল্লাহকে ডাকবে, তাকবীর দিবে, ছালাত আদায় করবে ও ছাদাক্বা করবে। ... আল্লাহ্র কসম! আমি যা জানি, তা যদি তোমরা জানতে, তাহ’লে তোমরা অল্প হাসতে ও অধিক ক্রন্দন করতে’।
‘কুসূফ’ ও ‘খুসূফ’-এর ছালাত আদায়ের মাধ্যমে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের ক্ষতিকর প্রভাব হ’তে আল্লাহ্র নিকটে পানাহ চাওয়া হয়। এই ছালাতের অন্যতম উদ্দেশ্য হ’ল, আল্লাহ্র এই সব সৃষ্টিকে পূজা না করা এবং ভয় না করা।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চন্দ্রকেও না। বরং সিজদা কর আল্লাহকে, যিনি এগুলি সৃষ্টি করেছেন। যদি তোমরা সত্যিকার অর্থে তাঁরই ইবাদত করে থাক’ (হা-মীম সাজদাহ/ফুছছিলাত ৪১/৩৭)।
No comments:
Post a Comment