প্রিয় পাঠকবৃন্দ!
অনেক সময় আমরা নিজেদেরকে
অনেক সাধু মনে করি। ভাবি যে, আমি
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোজা
রাখি, যাকাত দেই, পরিবারের জন্য
খাটতে খাটতে জীবন শেষ, আমার
আবার গুনাহ কীসের? কিন্তু ভালো
করে খোঁজ নিলে দেখা যাবে: আমরা
জীবনে এত অন্যায় করেছি যে,
আমাদের আমলনামা দেখে ইবলিসও
অনেক সময় লজ্জা পেয়ে যাবে। এক
গীবতের হিসেব যদি করা হয়: শত শত
ফোনে করা গীবত, পার্টিতে
আত্মীয়দের সাথে করা গীবত,
অফিসে নিজের প্রমোশনের জন্য
কলিগদের বিরুদ্ধে করা গীবত, এক
বন্ধুর কাছে অন্য বন্ধুর নামে কথা
লাগিয়ে দেওয়া, স্বামী, স্ত্রী,
সন্তান, শ্বশুর, শাশুড়ির, দেবর, জা,
ননদের নামে গীবত, গল্পচ্ছলে করা
গীবত —এক গীবতের হিসেবেই
আমাদের দফারফা হয়ে যাবে।
অনেক সময় আমরা নিজেদেরকে
অনেক সাধু মনে করি। ভাবি যে, আমি
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোজা
রাখি, যাকাত দেই, পরিবারের জন্য
খাটতে খাটতে জীবন শেষ, আমার
আবার গুনাহ কীসের? কিন্তু ভালো
করে খোঁজ নিলে দেখা যাবে: আমরা
জীবনে এত অন্যায় করেছি যে,
আমাদের আমলনামা দেখে ইবলিসও
অনেক সময় লজ্জা পেয়ে যাবে। এক
গীবতের হিসেব যদি করা হয়: শত শত
ফোনে করা গীবত, পার্টিতে
আত্মীয়দের সাথে করা গীবত,
অফিসে নিজের প্রমোশনের জন্য
কলিগদের বিরুদ্ধে করা গীবত, এক
বন্ধুর কাছে অন্য বন্ধুর নামে কথা
লাগিয়ে দেওয়া, স্বামী, স্ত্রী,
সন্তান, শ্বশুর, শাশুড়ির, দেবর, জা,
ননদের নামে গীবত, গল্পচ্ছলে করা
গীবত —এক গীবতের হিসেবেই
আমাদের দফারফা হয়ে যাবে।
তারপরে যদি আমাদের সম্পত্তির
হিসেব নেওয়া হয়, তাহলে অনেকেরই
সর্বনাশ হয়ে যাবে। লক্ষ টাকার
ট্যাক্স ফাঁকি। লক্ষ টাকার
ব্যাংকের সুদ। ঘুষ দিয়ে হাতানো
চাকরি, প্রমোশন। মামা-চাচা-খালুর
অন্যায় তদবির করে নেওয়া চাকরি,
প্রমোশন। অধীনস্থ কর্মচারীদের
গ্রামে ট্রান্সফার করে তাদের জীবন
বরবাদ করে দিয়ে, নিজের
আত্মীয়স্বজনদের শহরে ট্রান্সফার।
উপর লেভেলের সাথে সম্পর্ক ঠিক
রাখতে গিয়ে প্রজেক্ট যাকে
দেওয়ার কথা, তাকে না দিয়ে, অন্য
কোনো অযোগ্যকে দেওয়া। যাকে
সহ্য করি না, তাকে নানা ধরনের
ফাঁদে ফেলে চাকরি থেকে বের করে
দেওয়া। আর যে আমাকে নিয়মিত
তেল দেয়, তার জন্য নিত্যনতুন
সুযোগের ব্যবস্থা করে প্রমোশন
দেওয়া। —এরকম অনেক বড় বড় অন্যায়
আমরা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি এই
ভেবে যে, “সবাই তো করছে, তাহলে
আমি না করলে আর কী বা যায় আসে?
হিসেব নেওয়া হয়, তাহলে অনেকেরই
সর্বনাশ হয়ে যাবে। লক্ষ টাকার
ট্যাক্স ফাঁকি। লক্ষ টাকার
ব্যাংকের সুদ। ঘুষ দিয়ে হাতানো
চাকরি, প্রমোশন। মামা-চাচা-খালুর
অন্যায় তদবির করে নেওয়া চাকরি,
প্রমোশন। অধীনস্থ কর্মচারীদের
গ্রামে ট্রান্সফার করে তাদের জীবন
বরবাদ করে দিয়ে, নিজের
আত্মীয়স্বজনদের শহরে ট্রান্সফার।
উপর লেভেলের সাথে সম্পর্ক ঠিক
রাখতে গিয়ে প্রজেক্ট যাকে
দেওয়ার কথা, তাকে না দিয়ে, অন্য
কোনো অযোগ্যকে দেওয়া। যাকে
সহ্য করি না, তাকে নানা ধরনের
ফাঁদে ফেলে চাকরি থেকে বের করে
দেওয়া। আর যে আমাকে নিয়মিত
তেল দেয়, তার জন্য নিত্যনতুন
সুযোগের ব্যবস্থা করে প্রমোশন
দেওয়া। —এরকম অনেক বড় বড় অন্যায়
আমরা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি এই
ভেবে যে, “সবাই তো করছে, তাহলে
আমি না করলে আর কী বা যায় আসে?
No comments:
Post a Comment