সালাতে এদিক সেদিক তাকানো
======================
আবু যর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يزال الله عز وجل مقبلا على العبد وهو في صلاته ما لم يلتفت ، فإذا التفت انصرف عنه »
“যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা সালাতে এদিক সেদিক তাকাবে না, আল্লাহ তা‘আলা সে বান্দার দিক চেয়ে থাকেন। অতঃপর যখন সে এদিক সেদিক তাকায় তখন আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন”।
[ আবু দাউদ: ৯০৯ সহীহ আবু দাউদ]
======================
আবু যর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لا يزال الله عز وجل مقبلا على العبد وهو في صلاته ما لم يلتفت ، فإذا التفت انصرف عنه »
“যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা সালাতে এদিক সেদিক তাকাবে না, আল্লাহ তা‘আলা সে বান্দার দিক চেয়ে থাকেন। অতঃপর যখন সে এদিক সেদিক তাকায় তখন আল্লাহ তা‘আলা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন”।
[ আবু দাউদ: ৯০৯ সহীহ আবু দাউদ]
সালাতে এদিক সেদিক তাকানো দুই ধরনের হয়ে থাকে।
এক. অন্তরকে মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর দিকে মনোনিবেশ করা।
দুই. চোখের দ্বারা এদিক সেদিক তাকানো।
উভয় প্রকারের তাকানোই নিষিদ্ধ এবং এতে সালাতের সাওয়াব কমে যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাতে এদিক সেদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন,
«اختلاس يختلسه الشيطان من صلاة العبد»
এটি একটি ছিনতাই, শয়তান বান্দার সালাত থেকে তা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
[বুখারি: কিতাবুল আযান, পরিচ্ছে: সালাতে এদিক সেদিক তাকানো প্রসঙ্গে আলোচনা।]
এক. অন্তরকে মহান আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর দিকে মনোনিবেশ করা।
দুই. চোখের দ্বারা এদিক সেদিক তাকানো।
উভয় প্রকারের তাকানোই নিষিদ্ধ এবং এতে সালাতের সাওয়াব কমে যায়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাতে এদিক সেদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন,
«اختلاس يختلسه الشيطان من صلاة العبد»
এটি একটি ছিনতাই, শয়তান বান্দার সালাত থেকে তা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
[বুখারি: কিতাবুল আযান, পরিচ্ছে: সালাতে এদিক সেদিক তাকানো প্রসঙ্গে আলোচনা।]
হাস্সান ইবন আতিইয়া, “দুই ব্যক্তি একই সালাত আদায় করছে, অথচ তাদের উভয়ের সালাতের মধ্যে ব্যবধান, আসমান ও জমিনের মধ্যের ব্যবধানের সমান। কারণ, তাদের একজন অন্তর দিয়ে আল্লাহর সমীপে নিজেকে পেশ করেছে, আর অপর ব্যক্তি অমনোযোগী ও গাফেল।
[আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেমের আল-ওয়াবিলুস সাইয়্যেব, পৃ: ৩৬]”
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------
তবে প্রয়োজনের সময়, ‘তাকানো’তে কোনো অসুবিধা নেই। ইমাম আবু দাউদ সাহাল ইবনুল হানযালিয়্যাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
(ثُوَّبَ بالصلاة - صلاة الصبح - فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي وهو يلتفت إلى الشعب).
“সালাতের ঘোষণা দেওয়া হলো, অর্থাৎ ফজরের সালাতের ঘোষণা দেয়া হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করছিলেন এবং তিনি পাহাড়ের চুড়ার দিকে তাকাচ্ছিলেন”। ইমাম আবু দাউদ বলেন, (وكان أرسل فارسا من الليل إلى الشعب يحرس) “রাতে তিনি অশ্বারোহীকে পাহাড়ের চুড়ায় পাহারা দেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন”। (অর্থাৎ তিনি সেটার অবস্থা জানার জন্যই তাকাচ্ছিলেন)।
[আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেমের আল-ওয়াবিলুস সাইয়্যেব, পৃ: ৩৬]”
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------
তবে প্রয়োজনের সময়, ‘তাকানো’তে কোনো অসুবিধা নেই। ইমাম আবু দাউদ সাহাল ইবনুল হানযালিয়্যাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
(ثُوَّبَ بالصلاة - صلاة الصبح - فجعل رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي وهو يلتفت إلى الشعب).
“সালাতের ঘোষণা দেওয়া হলো, অর্থাৎ ফজরের সালাতের ঘোষণা দেয়া হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করছিলেন এবং তিনি পাহাড়ের চুড়ার দিকে তাকাচ্ছিলেন”। ইমাম আবু দাউদ বলেন, (وكان أرسل فارسا من الليل إلى الشعب يحرس) “রাতে তিনি অশ্বারোহীকে পাহাড়ের চুড়ায় পাহারা দেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন”। (অর্থাৎ তিনি সেটার অবস্থা জানার জন্যই তাকাচ্ছিলেন)।
আর অনুরূপ হচ্ছে, উমামা বিনতে আবিল আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে সালাতে বহন করা,
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার জন্য সালাত-রত অবস্থায় দরজা খোলা,
মিম্বার থেকে নেমে নেমে সাহাবীদের সালাত শিক্ষা দেয়া,
সালাতুল কুসুফে আগে পিছে যাওয়া,
শয়তানকে বেধে রাখা ও তার গলা চেপে ধরা যখন সে সালাত ভেঙ্গে দিতে চেষ্টা করে,
সালাতে সাপ ও বিচ্ছুকে হত্যা করা,
সালাতের সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে প্রতিহত করা ও তার সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া এবং নারীদেরকে সালাতের মধ্যে হাতের তালি দেয়ার নির্দেশ প্রদান এবং সালাতের মধ্যে কোনো প্রয়োজনীয় ইঙ্গিত প্রদান করা, ইত্যাদি কাজগুলো, যা প্রয়োজনের সময় করার অনুমতি রয়েছে। আর যদি বিনা প্রয়োজনে সালাতে এ ধরনের কোন কাজ করা হয়ে থাকে, তাহলে তা হবে সালাতে অনর্থক ও নিষিদ্ধ কর্ম করা যেগুলো সালাতের মনোযোগকে নষ্ট করে এবং খুশর পরিপন্থী হয়।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার জন্য সালাত-রত অবস্থায় দরজা খোলা,
মিম্বার থেকে নেমে নেমে সাহাবীদের সালাত শিক্ষা দেয়া,
সালাতুল কুসুফে আগে পিছে যাওয়া,
শয়তানকে বেধে রাখা ও তার গলা চেপে ধরা যখন সে সালাত ভেঙ্গে দিতে চেষ্টা করে,
সালাতে সাপ ও বিচ্ছুকে হত্যা করা,
সালাতের সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে প্রতিহত করা ও তার সাথে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া এবং নারীদেরকে সালাতের মধ্যে হাতের তালি দেয়ার নির্দেশ প্রদান এবং সালাতের মধ্যে কোনো প্রয়োজনীয় ইঙ্গিত প্রদান করা, ইত্যাদি কাজগুলো, যা প্রয়োজনের সময় করার অনুমতি রয়েছে। আর যদি বিনা প্রয়োজনে সালাতে এ ধরনের কোন কাজ করা হয়ে থাকে, তাহলে তা হবে সালাতে অনর্থক ও নিষিদ্ধ কর্ম করা যেগুলো সালাতের মনোযোগকে নষ্ট করে এবং খুশর পরিপন্থী হয়।
No comments:
Post a Comment