মুসলমানদের উপর যে নির্যাতন চলছে, তার কারণ কি?
_____________________________________
“আসুন! নাবি (সঃ) এর একটি হাদিস বুঝার চেষ্টা করি”
প্রশ্ন (২/৩৬২) : বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের উপর যে নির্যাতন চলছে, তার কারণ কি? এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি?
- হযরত শেখ, হলদী, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
উত্তরঃ প্রথমতঃ এটা মুসলমানদের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ বলেন -
“তোমাদের যেসব বিপদ-আপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল।”
শূরা ৪২/৩০।
_____________________________________
“আসুন! নাবি (সঃ) এর একটি হাদিস বুঝার চেষ্টা করি”
প্রশ্ন (২/৩৬২) : বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের উপর যে নির্যাতন চলছে, তার কারণ কি? এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি?
- হযরত শেখ, হলদী, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
উত্তরঃ প্রথমতঃ এটা মুসলমানদের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ বলেন -
“তোমাদের যেসব বিপদ-আপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল।”
শূরা ৪২/৩০।
রাসূল (ছাঃ) বলেন,
“তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে।
১. যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে প্লেগ মহামারী আকারে রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। (
“তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে।
১. যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে প্লেগ মহামারী আকারে রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। (
২. যখন কোন জাতি ওযন ও মাপে কারচুপি করে, তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন দারিদ্র্য এবং শাসকদের নিষ্ঠুর নিপীড়ন। (
৩. যখন কোন জাতি তাদের ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করে না, তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকত, তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হত না।
৪. যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়।
৫. যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।
ইবনু মাজাহ হা/৪০১৯, হাদীস সহীহ, ছহীহাহ হা/১০৬-০৭।
ইবনু মাজাহ হা/৪০১৯, হাদীস সহীহ, ছহীহাহ হা/১০৬-০৭।
দ্বিতীয়তঃ দলে দলে বিভক্ত হওয়া। আল্লাহ বলেনঃ
“তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং পরস্পর ঝগড়া করো না, তাহলে তোমরা সাহসহারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে।”
আনফালঃ ৪৬।
“তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং পরস্পর ঝগড়া করো না, তাহলে তোমরা সাহসহারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে।”
আনফালঃ ৪৬।
তৃতীয়তঃ মুমিন বান্দাদের উপর বিপদ-আপদ আপতিত হয় পরীক্ষা স্বরূপ। আল্লাহ বলেনঃ
“আর আমরা তোমাদের পরীক্ষা নেব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-শস্যাদি বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ হল ধৈর্যশীলদের জন্য।”
বাক্বারাহ ২/১৫৫।
“আর আমরা তোমাদের পরীক্ষা নেব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-শস্যাদি বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ হল ধৈর্যশীলদের জন্য।”
বাক্বারাহ ২/১৫৫।
চতুর্থতঃ আমর বিল মা‘রূফ (সৎ কাজের আদেশ) ও নাহী ‘আনিল মুনকার (অসত কাজের নিষধ) এর দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেনঃ
“মানুষ যখন কোন অন্যায় হতে দেখে, অতঃপর তারা তা প্রতিরোধ করে না, তখন সত্বর আল্লাহ তাদেরকে ব্যাপক গযবের দ্বারা পাকড়াও করেন।”
তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫১৪২।
“মানুষ যখন কোন অন্যায় হতে দেখে, অতঃপর তারা তা প্রতিরোধ করে না, তখন সত্বর আল্লাহ তাদেরকে ব্যাপক গযবের দ্বারা পাকড়াও করেন।”
তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫১৪২।
মুসলমান তাদের এ দায়িত্ব যেন ভুলে গেছে। ফলে আল্লাহর গযব ব্যাপকতা লাভ করছে।
সুতরাং মুসলমানদের উপর সকল নির্যাতনের মূলে রয়েছে, ওয়াহীর বিধান (ক্বুরান ও সুন্নাহ) থেকে দূরে সরে যাওয়া। এক্ষণে মুসলমানদের একমাত্র করণীয় হল, ওয়াহীর বিধানের দিকে প্রত্যাবর্তন করা এবং তার আলোকে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজ গড়ে তোলা।
No comments:
Post a Comment