Tuesday, June 9, 2015

'নাওআইতুওয়্যান আছুমা গাদাং.. ’ এভাব নিয়ত পড়া হলো কথার বিদ’আত।




'নাওআইতুওয়্যান আছুমা গাদাং.. ’ এভাব নিয়ত পড়া হলো কথার বিদ’আত।
এভাব নিয়ত জীবনে কোনদিন আল্লাহর নবী ﷺ করেন নাই, সাহাবীরা করেন নাই। তাবেঈ, তাবে-তাবেঈন, ৪ ইমামগণ কেউ এইভাবে নিয়ত পড়েন নাই।
নিয়ত করতে হয়, নিয়ত পড়তে হয় না। নিয়ত পড়া হলো কথার বিদ’আত!
আমি ওই ঈমাম ও মোয়াজ্জেন কে বলছি তারা কোথা থেকে পেল এই নিয়ত।
১. এই নিয়ত কি আল্লাহ ওহীর করে পাঠিয়ে ছেন ?
২. রাসূল(সাঃ) কি এই নিয়ত পরেছেন ও আমাদের কে পরতে বলেছেন ?
৩. এই মুখে বলার নিয়ত কি কোন কুরআন ও সহীহ হাদিসে আছে ?
আমাদের দেশে বহু প্রচলিত কিছু বিদ'আত। যা ভাল মনে করে করা হয়। অথচ প্রিয় নবী সাঃ বলেছেনঃ মান আ'মিলা আ'মাল লাইসা আ'লাইহি আমরুনা ফাহুয়া রদ্দুন। অর্থাৎ যে ব্যক্তি এমন আমল করবে, যার পক্ষে আমার কোন নির্দেশনা নেই, তবে তা প্রত্যাখ্যাত। মুসলিম শরীফ।
নিয়াত আরবী শব্দ,এর বাংলা সংকল্প করা বা মন থেকে কোন কিছু ইচ্ছা করা!!!
একটা উদাহারন দেইঃ-
আপনার বাবা মা আপনাকে রোযা রাখতে বলছে কিন্তু আপনার মন থেকে ইচ্ছা নাই। আপনি সারা দিন আরবী নিয়ত মুখে পড়লে বা না খেয়ে থাকলেও আপনার রোযা হবে না!!!!!
ঠিক তেমনি আপনি রোযা রাখতে চান কিন্তু আপনার বাবা মা রাখতে দিবে না,কিন্তু মনে মনে নিয়ত করলে আপনি রোযা রাখবেন কিন্তু বাবা মা কে বললেন রাখবেন না। আপনার নিয়ত হয়ে গেছে!!!
কারন নিয়ত করা ফরজ(বুখারী ১/১)
কিন্তু মুখে বলা বেদাত

No comments:

Post a Comment