বহুল প্রচলিত কিছু জাল হাদিস।
লোকে মুখে প্রচলিত হাজার হাজার জাল
হাদিসকে আজকাল আমরা ধর্মের অংশ
বলে মানা শুরু করে দিয়েছি। এই জাল
হাদিসগুলো যে ইসলাম সম্পর্কে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন
মানুষরাই শুধু প্রচার করে যাচ্ছে তা নয়,
এমনকি কিছু মসজিদের অপ্রাপ্ত
প্রশিক্ষণ নেওয়া ইমাম, বিভিন্ন ওয়াজ-
মাহফিলে আসা কিছু “আলেমকেও”
দেখবেন সেই হাদিসগুলোর সত্যতা যাচাই
না করে ব্যপক হারে প্রচার করে যাচ্ছেন।
হাদিসকে আজকাল আমরা ধর্মের অংশ
বলে মানা শুরু করে দিয়েছি। এই জাল
হাদিসগুলো যে ইসলাম সম্পর্কে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন
মানুষরাই শুধু প্রচার করে যাচ্ছে তা নয়,
এমনকি কিছু মসজিদের অপ্রাপ্ত
প্রশিক্ষণ নেওয়া ইমাম, বিভিন্ন ওয়াজ-
মাহফিলে আসা কিছু “আলেমকেও”
দেখবেন সেই হাদিসগুলোর সত্যতা যাচাই
না করে ব্যপক হারে প্রচার করে যাচ্ছেন।
এরকম বহুল প্রচলিত কয়েকটি জাল হাদিস
এখানে তুলে ধরলাম এবং সঠিক হাদিস
চিহ্নিত করার প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি
ব্যাখ্যা করলাম।
এখানে তুলে ধরলাম এবং সঠিক হাদিস
চিহ্নিত করার প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি
ব্যাখ্যা করলাম।
জাল হাদিসঃ নবী ﷺ এর
নাম ব্যবহার করে প্রচারিত বানোয়াট
হাদিস। এধরনের হাদিসের
বর্ণনাকারিদের মধ্যে এক বা একাধিক
জন প্রতারক এবং কুখ্যাত হাদিস
জালকারি বলে স্বীকৃত। অনেক সময়
বর্ণনাকারিদের নামগুলোও মিথ্যা
বানানো। এছাড়াও হাদিসটি কোন
স্বীকৃত হাদিস গ্রন্থে পাওয়া যায়নি।
অনেক সময় এধরনের হাদিস পীর, দরবেশ,
আলেমরা নিজেরাই বানিয়ে প্রচার
করেছেন কোন বিশেষ স্বার্থে।
মুহাম্মাদ ﷺ এর নামে
প্রচারিত জাল হাদিস
যেই হাদিস বিশারদরা জাল প্রমাণ
করেছেন
জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যেতে
হলেও যাও।
ইবন জাওযি, ইবন হিব্বান, নাসিরুদ্দিন
আলবানি
জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের
চেয়ে বেশি পবিত্র।
আল-খাতিব আল-বাগদাদি—হিস্টরি অফ
বাগদাদ
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
আস-সাগানি, নাসিরুদ্দিন আলবানি
নিজের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ
সর্বোত্তম জিহাদ।
ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবন বাআয।
সবুজ গাছপালা, শস্যর দিকে তাকিয়ে
থাকলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আয-যাহাবি
আল্লাহ সেই বান্দাকে ভালবাসেন যে
তাঁর ইবাদতে ক্লান্ত, নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
আদ-দারকুতনি
সুদ খাওয়ার ৭০ পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা
আছে, এর মধ্যে আল্লাহর দৃষ্টিতে
সবচেয়ে ছোট অপরাধ হচ্ছে মায়ের সাথে
ব্যভিচার করা।
ইবন জাওযি, আল হুয়ায়নি (দুর্বল বা জাল
হাদিস)
মুহাম্মাদকে ﷺ সৃষ্টি না
করলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন
না। মুহাম্মাদ ﷺ—এর নূর
থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়েছে।
আয-যাহাবি, ইবন হিব্বান, নাসিরুদ্দিন
আলবানি
যে শুক্রবার মুহাম্মাদ ﷺ এর
প্রতি ৮০বার দুরুদ পাঠাবে তার ৮০ বছরের
গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
আল্লামা সাখায়ি, আলবানি
আযানের মধ্যে আঙ্গুল চুম্বন করে চোখে
মোছা।
আস-সুয়ুতি, আলবানি
এক ঘণ্টা গভীরভাবে চিন্তা করা ৬০ বছর
ইবাদতের সমান।
ইবন জাওযি
যারা মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয়
এবং মানুষকে ইসলাম গ্রহন করায় তাদের
জন্য জান্নাত নিশ্চিত।
আস-সাগানি
সুরা ইয়াসিন কু’রআনের হৃদয়। একবার সুরা
ইয়াসিন পড়লে দশবার কু’রআন খতম
দেওয়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
ইবন আবি হাতিম, আলবানি
মৃতের জন্য সুরা ইয়াসিন পড়।
আদ-দার কুদনি
আরবদেরকে ভালোবাসো, কারণ আমি
একজন আরব, কু’রআন আরবিতে নাজিল
হয়েছে এবং জান্নাতের ভাষা হবে
আরবি।
আবি হাতিম—জারহ ওয়া তাদিল
পাগড়ী পরে নামায পড়লে ১৫টি পাগড়ী
ছাড়া নামায পড়ার সমান সওয়াব।
ইবন হাজার—লিসানুল মিজান
আমি জ্ঞানের শহর এবং আলি তার দরজা
ইমাম-বুখারি
প্রত্যেক নবীর একজন উত্তরসূরি আছে।
আমার উত্তরসূরি আলি।
ইবন জাওযি, ইবন হিব্বান, ইবন মাদিনি
আমার উম্মতের আলেমরা বনি
ইসরাইলিদের নবীদের সমান।
আলেমদের ইজমা দ্বারা স্বীকৃত
আমার পরিবার, সাহাবীরা আকাশের
তারার মত, তাদের মধ্যে যাকেই তোমরা
অনুসরণ করবে, তোমরা সঠিক পথে থাকবে।
আহমাদ হানবাল, আয-যাহাবি, আলবানি
বিশ্বাসীর অন্তরে আল্লাহ ﷻ
থাকেন।
আয-যারকাশি, ইবন তাইমিয়া
যে নিজেকে জেনেছে, সে আল্লাহকেও
ﷻ জেনেছে।
আস-সুয়ুতি, ইমাম নাওয়ায়ি
আমি তোমাদেরকে দুটি উপশম বলে
দিলাম—মধু এবং কু’রআন।
আলবানি
যদি আরবদের অধঃপতন হয়, তাহলে
ইসলামেরও অধঃপতন হবে।
ইবন আবি হাতিম
যে কু’রআন শেখানোর জন্য কোন
পারিশ্রমিক নেয়, সে কু’রআন শিখিয়ে
আর কোন সওয়াব পাবে না।
আয-যাহাবি
বিয়ে কর, আর কখনও তালাক দিয়ো না,
কারণ তালাক দিলে আল্লাহর ﷻ
আরশ কাঁপে।
ইবন জাওযি
যে বরকতের আশায় তার ছেলের নাম
মুহাম্মাদ রাখবে সে এবং তার ছেলে
জান্নাত পাবে।
ইবন জাওযি
যে হজ্জের উদ্দেশে মক্কায় গেছে কিন্তু
মদিনায় গিয়ে আমার কবর জিয়ারত
করেনি সে আমাকে অপমান করেছে।
আস-সাগানি, ইবন জাওযি, আশ-শাওকানি
যে আমার (মুহম্মাদ ﷺ) কবর
জিয়ারত করে তার জন্য সুপারিশ করা
আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়।
আলবানি
যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি না নিয়ে
ঘরের বাইরে যায়, সে ফেরত না আসা
পর্যন্ত আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে থাকবে বা
যতক্ষন না তার স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট
হয়।
আলবানি
যদি নারী জাতি না থাকতো, তাহলে
আল্লাহর ﷻ যথাযথ ইবাদত হতো।
নাম ব্যবহার করে প্রচারিত বানোয়াট
হাদিস। এধরনের হাদিসের
বর্ণনাকারিদের মধ্যে এক বা একাধিক
জন প্রতারক এবং কুখ্যাত হাদিস
জালকারি বলে স্বীকৃত। অনেক সময়
বর্ণনাকারিদের নামগুলোও মিথ্যা
বানানো। এছাড়াও হাদিসটি কোন
স্বীকৃত হাদিস গ্রন্থে পাওয়া যায়নি।
অনেক সময় এধরনের হাদিস পীর, দরবেশ,
আলেমরা নিজেরাই বানিয়ে প্রচার
করেছেন কোন বিশেষ স্বার্থে।
মুহাম্মাদ ﷺ এর নামে
প্রচারিত জাল হাদিস
যেই হাদিস বিশারদরা জাল প্রমাণ
করেছেন
জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যেতে
হলেও যাও।
ইবন জাওযি, ইবন হিব্বান, নাসিরুদ্দিন
আলবানি
জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের
চেয়ে বেশি পবিত্র।
আল-খাতিব আল-বাগদাদি—হিস্টরি অফ
বাগদাদ
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
আস-সাগানি, নাসিরুদ্দিন আলবানি
নিজের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ
সর্বোত্তম জিহাদ।
ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবন বাআয।
সবুজ গাছপালা, শস্যর দিকে তাকিয়ে
থাকলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
আয-যাহাবি
আল্লাহ সেই বান্দাকে ভালবাসেন যে
তাঁর ইবাদতে ক্লান্ত, নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
আদ-দারকুতনি
সুদ খাওয়ার ৭০ পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা
আছে, এর মধ্যে আল্লাহর দৃষ্টিতে
সবচেয়ে ছোট অপরাধ হচ্ছে মায়ের সাথে
ব্যভিচার করা।
ইবন জাওযি, আল হুয়ায়নি (দুর্বল বা জাল
হাদিস)
মুহাম্মাদকে ﷺ সৃষ্টি না
করলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন
না। মুহাম্মাদ ﷺ—এর নূর
থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়েছে।
আয-যাহাবি, ইবন হিব্বান, নাসিরুদ্দিন
আলবানি
যে শুক্রবার মুহাম্মাদ ﷺ এর
প্রতি ৮০বার দুরুদ পাঠাবে তার ৮০ বছরের
গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
আল্লামা সাখায়ি, আলবানি
আযানের মধ্যে আঙ্গুল চুম্বন করে চোখে
মোছা।
আস-সুয়ুতি, আলবানি
এক ঘণ্টা গভীরভাবে চিন্তা করা ৬০ বছর
ইবাদতের সমান।
ইবন জাওযি
যারা মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয়
এবং মানুষকে ইসলাম গ্রহন করায় তাদের
জন্য জান্নাত নিশ্চিত।
আস-সাগানি
সুরা ইয়াসিন কু’রআনের হৃদয়। একবার সুরা
ইয়াসিন পড়লে দশবার কু’রআন খতম
দেওয়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
ইবন আবি হাতিম, আলবানি
মৃতের জন্য সুরা ইয়াসিন পড়।
আদ-দার কুদনি
আরবদেরকে ভালোবাসো, কারণ আমি
একজন আরব, কু’রআন আরবিতে নাজিল
হয়েছে এবং জান্নাতের ভাষা হবে
আরবি।
আবি হাতিম—জারহ ওয়া তাদিল
পাগড়ী পরে নামায পড়লে ১৫টি পাগড়ী
ছাড়া নামায পড়ার সমান সওয়াব।
ইবন হাজার—লিসানুল মিজান
আমি জ্ঞানের শহর এবং আলি তার দরজা
ইমাম-বুখারি
প্রত্যেক নবীর একজন উত্তরসূরি আছে।
আমার উত্তরসূরি আলি।
ইবন জাওযি, ইবন হিব্বান, ইবন মাদিনি
আমার উম্মতের আলেমরা বনি
ইসরাইলিদের নবীদের সমান।
আলেমদের ইজমা দ্বারা স্বীকৃত
আমার পরিবার, সাহাবীরা আকাশের
তারার মত, তাদের মধ্যে যাকেই তোমরা
অনুসরণ করবে, তোমরা সঠিক পথে থাকবে।
আহমাদ হানবাল, আয-যাহাবি, আলবানি
বিশ্বাসীর অন্তরে আল্লাহ ﷻ
থাকেন।
আয-যারকাশি, ইবন তাইমিয়া
যে নিজেকে জেনেছে, সে আল্লাহকেও
ﷻ জেনেছে।
আস-সুয়ুতি, ইমাম নাওয়ায়ি
আমি তোমাদেরকে দুটি উপশম বলে
দিলাম—মধু এবং কু’রআন।
আলবানি
যদি আরবদের অধঃপতন হয়, তাহলে
ইসলামেরও অধঃপতন হবে।
ইবন আবি হাতিম
যে কু’রআন শেখানোর জন্য কোন
পারিশ্রমিক নেয়, সে কু’রআন শিখিয়ে
আর কোন সওয়াব পাবে না।
আয-যাহাবি
বিয়ে কর, আর কখনও তালাক দিয়ো না,
কারণ তালাক দিলে আল্লাহর ﷻ
আরশ কাঁপে।
ইবন জাওযি
যে বরকতের আশায় তার ছেলের নাম
মুহাম্মাদ রাখবে সে এবং তার ছেলে
জান্নাত পাবে।
ইবন জাওযি
যে হজ্জের উদ্দেশে মক্কায় গেছে কিন্তু
মদিনায় গিয়ে আমার কবর জিয়ারত
করেনি সে আমাকে অপমান করেছে।
আস-সাগানি, ইবন জাওযি, আশ-শাওকানি
যে আমার (মুহম্মাদ ﷺ) কবর
জিয়ারত করে তার জন্য সুপারিশ করা
আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়।
আলবানি
যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি না নিয়ে
ঘরের বাইরে যায়, সে ফেরত না আসা
পর্যন্ত আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে থাকবে বা
যতক্ষন না তার স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট
হয়।
আলবানি
যদি নারী জাতি না থাকতো, তাহলে
আল্লাহর ﷻ যথাযথ ইবাদত হতো।
No comments:
Post a Comment