মাযহাব বড়, নাকি সুন্নত বড়?
=====================
►হানাফী মাযহাব মতে মেয়েরা তাদের ‘ওয়ালী’ ছাড়া বিয়ে করলে বিয়ে হয়ে যাবে। কিন্তু, মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বালি – এই ৩ মাযহাব মতে মেয়েদের ওয়ালী ছাড়া বিয়ে বাতিল। তাদেরকে নতুন করে মেয়ের ওয়ালী নিয়ে বিয়ে করতে হবে, নয়তো তারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে পারবেনা।
=====================
►হানাফী মাযহাব মতে মেয়েরা তাদের ‘ওয়ালী’ ছাড়া বিয়ে করলে বিয়ে হয়ে যাবে। কিন্তু, মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বালি – এই ৩ মাযহাব মতে মেয়েদের ওয়ালী ছাড়া বিয়ে বাতিল। তাদেরকে নতুন করে মেয়ের ওয়ালী নিয়ে বিয়ে করতে হবে, নয়তো তারা স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে পারবেনা।
► হানাফী মাযহাব মতে রাতের শেষ বিতির নামায ৩ রাকাত, এর কম বা বেশি কোনোটাই পড়া যাবেনা এবং তাদের মতে ১ রাকাত কোন নামায-ই শুদ্ধ নয় অথচ অন্য মাযহাব অনুযায়ী বিতির নামায ১, ৩, ৫, ৭ রাকাত পড়া যাবে।
► হানাফী মাযহাব মতে মাগরিবের ফরয নামাযের আগে দুই রাকাত নামায পড়া যাবেনা, এই নামায পড়লে কোন সওয়াব পাওয়া যাবেনা। অন্য মাযহাব অনুযায়ী মাগরিবের ফরয নামাযের আগে ২ রাকাত নামায পড়া যাবে।
► হানাফী মাযহাব মতে জামায়াতে ফজরের ফরজ সালাত আরম্ভ হয়ে গেলেও আগে সুন্নাত পড়েত হবে, অথচ সহীহ হাদীসে আছে ইকামত হয়ে গেলে কোন সালাত নাই।
► হানাফী মাযহাব মতে জামায়াতে সালাতের সময় সুরা ফাতেহা পড়তে হবে না, অথচ অন্য মাযহাব ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী সুরা ফাতেহা ছাড়া সালাত হয় না।
► হানাফী মাযহাব অনুযায়ী নারীরা ঈদের দুই রাকাত নামাজ পড়তে পারবেনা, তাদের জন্য ঈদের মাঠে যাওয়া ঠিকনা। সহীহ হাদীস ও অন্য মাযহাব মতে নারীদেরকে ঈদের মাঠে নিতে হবে, তাদের মতে নারীদেরকে ঈদের মাঠে নিয়ে যাওয়া ‘ওয়াজিব’!
► হানাফী মাযহাব মতে কোন লোক মৃত স্ত্রী লোকের অথবা চতুষ্পদ জন্তুর স্ত্রী অঙ্গে বা অন্য কোন ভাবে সিয়ামরত অবসন্থায় ধর্ষণ করে তাহেল তার সিয়াম নষ্ট হবে না, অথচ সহীহ হাদীসে আছে যেকোন প্রকারে বীর্য বের হলেই সিয়াম ভেঙ্গে যায়।
► হানাফী মাযহাব মতে বাদশাহ যদি যিনা করে তার কোন হদ বা শাস্তি নেই অথচ সহীহ হাদীসে জিনার সাস্তির অধ্যায়ে বাদশাহ এর জন্য কোন ছাড় দেওয়া হয় নাই!
মাযহাবের প্রায় ৯৫টি সহীহ হাদীস বিরোধী ফতোয়া থেকে আমি উপরে ৭টি মাত্র উল্লেখ করলাম। এখন জ্ঞানী ভাই ও বোনদের কাছে আজকে আমাদের প্রশ্নঃ
উপরের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আপনারা কার কথা মানবেন? মাযহাবের নাকি সহীহ হাদীসের?
আর যারা বলছেন ৪ মাযহাবই ঠিক, তাহলে কিভাবে ৪টা মাযহাবই এক সাথে ঠিক হয়?
এখানে একদল আরেকদলের ফতোয়াই মানছেন না। হানাফীরা বলতেছে ওয়ালী ছাড়া বিয়ে হবে, বাকি ৩ মাযহাব বলতেছে বিয়ে হবেনা, সেটা জিনা-ব্যভিচার হবে। হানাফীরা বলেছে ১ রাকআত কোন সালাত জায়েজ নাই, অথচ অন্য মাযহাবীরা দেদারছে ১ রাক’আত বিতর আদায় করছেন। মেয়েদের মসজিদে যাওয়া হানাফীরা নাজায়েজ বলেন, অথচ অন্য মাযহাবীরা মেয়েদের জন্য আলাদা ফ্লোর পর্যন্ত তৈরী করছেন, ইত্যাদি কত উল্টা চিত্র এক মাযহাবের সাথে আর এক মাযহাবের!
এখানে একদল আরেকদলের ফতোয়াই মানছেন না। হানাফীরা বলতেছে ওয়ালী ছাড়া বিয়ে হবে, বাকি ৩ মাযহাব বলতেছে বিয়ে হবেনা, সেটা জিনা-ব্যভিচার হবে। হানাফীরা বলেছে ১ রাকআত কোন সালাত জায়েজ নাই, অথচ অন্য মাযহাবীরা দেদারছে ১ রাক’আত বিতর আদায় করছেন। মেয়েদের মসজিদে যাওয়া হানাফীরা নাজায়েজ বলেন, অথচ অন্য মাযহাবীরা মেয়েদের জন্য আলাদা ফ্লোর পর্যন্ত তৈরী করছেন, ইত্যাদি কত উল্টা চিত্র এক মাযহাবের সাথে আর এক মাযহাবের!
এসকল ক্ষেত্রে কি করে ৪ মাযহাব-ই কে সাথে ঠিক থাকলো?
এইরকম আরও বহু বিষয় আছে, এর চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তাশীলদের জন্য আমি কয়েকটি তুলে ধরলাম মাত্র।
এইরকম আরও বহু বিষয় আছে, এর চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তাশীলদের জন্য আমি কয়েকটি তুলে ধরলাম মাত্র।
এরপরও আপনারা চিন্তাভাবনা না করেই যদি বলেন,
“এইটা ঠিক, ঐটাও ঠিক” -তাহলে তা হবে ইসলামী শরীয়ত নিয়ে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়!
“এইটা ঠিক, ঐটাও ঠিক” -তাহলে তা হবে ইসলামী শরীয়ত নিয়ে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়!
No comments:
Post a Comment