খুতবা শোনা ওয়াজেব হলেও তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামাযের গুরুত্ব দিয়েছেন খোদ রাসুলুল্লাহ (সাঃ)।
একবার খুতবা চলাকালে এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বসে পড়লে তিনি তাকে বললেন,
“তুমি নামায পড়েছ কি?” লোকটা বলল, না। তিনি বললেন, “ওঠ এবংহাল্কা করে ২ রাকআত পড়ে নাও।” বুখারী ৯৩০,
মুসলিম,
আবূদাঊদ, সুনান ১১১৫-১১১৬,
তিরমিযী, সুনান ৫১০নং।
একবার খুতবা চলাকালে এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বসে পড়লে তিনি তাকে বললেন,
“তুমি নামায পড়েছ কি?” লোকটা বলল, না। তিনি বললেন, “ওঠ এবংহাল্কা করে ২ রাকআত পড়ে নাও।” বুখারী ৯৩০,
মুসলিম,
আবূদাঊদ, সুনান ১১১৫-১১১৬,
তিরমিযী, সুনান ৫১০নং।
তারপর তিনি সকলের জন্য চিরস্থায়ী একটি বিধান দেওয়ার উদ্দেশ্যে লোকেদেরকে সম্বোধন করে বললেন, “তোমাদের কেউ যখন ইমামের খুতবা দেওয়া কালীন সময়ে উপস্থিত হয়, সে যেন (সংক্ষেপে) ২ রাকআত নামায পড়ে নেয়।”
বুখারী, ১১৭০,
মুসলিম, ৮৭৫,
আবূদাঊদ, সুনান ১১১৭নং।
বুখারী, ১১৭০,
মুসলিম, ৮৭৫,
আবূদাঊদ, সুনান ১১১৭নং।
অতএব,এই সময়ে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে তার জন্য হাল্কা করে ২ রাকআত নামায পড়তে হবে।
এবং কাউকে নামায না পড়ে বসতে দেখলে খতীবের উচিৎ তাকে ঐ নামায পড়তে আদেশ করা।
তবে খুতবা চলাকালে মসজিদে উপস্থিত ব্যক্তির জন্য নামায নিষিদ্ধ।
এবং কাউকে নামায না পড়ে বসতে দেখলে খতীবের উচিৎ তাকে ঐ নামায পড়তে আদেশ করা।
তবে খুতবা চলাকালে মসজিদে উপস্থিত ব্যক্তির জন্য নামায নিষিদ্ধ।
একবার হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) মসজিদ প্রবেশ করলেন। তখন মারওয়ান খুতবা দিচ্ছিলেন।
তিনি নামায পড়তে শুরু করলে প্রহ্রীরা তাঁকে বসতে আদেশ করল। কিন্তু তিনি তাদের কথা না শুনেই নামায শেষ করলেন। নামায শেষে লোকেরা তাকে বলল, আল্লাহ আপনাকে রহ্ম করুন।
এক্ষনি ওরা যে আপনার অপমান করত। উত্তরে তিনি বললেন, আমি সে নামায ছাড়ব কেন,
যে নামায পড়তে নবী (সাঃ)-কে আদেশ করতে দেখেছি।
তিরমিযী, সুনান ৫১১নং।
তিনি নামায পড়তে শুরু করলে প্রহ্রীরা তাঁকে বসতে আদেশ করল। কিন্তু তিনি তাদের কথা না শুনেই নামায শেষ করলেন। নামায শেষে লোকেরা তাকে বলল, আল্লাহ আপনাকে রহ্ম করুন।
এক্ষনি ওরা যে আপনার অপমান করত। উত্তরে তিনি বললেন, আমি সে নামায ছাড়ব কেন,
যে নামায পড়তে নবী (সাঃ)-কে আদেশ করতে দেখেছি।
তিরমিযী, সুনান ৫১১নং।
বলা বাহুল্য, খুতবা শুরু হলে লাল বাতি জ্বেলে দেওয়া, অথবা কাউকে ঐ ২ রাকআত নামায পড়তে দেখে চোখ লাল করা, অথবা তার জামা ধরে টান দেওয়া, অথবা খোদ খতীব সাহেবের মানা করা সুন্নাহ্-বিরোধী তথা বিদআত কাজ।
জুমআর আযানের সময় মসজিদে এলে দাঁড়িয়ে থেকে আযানের উত্তর না দিয়ে, তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ে খুতবা শোনার জন্য বসে যাওয়া বাঞ্ছনীয়।
(ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৩৩৫, ৩৪৯)
(ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৩৩৫, ৩৪৯)
প্রকাশ থাকে যে, আযানের উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব।
(তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ৩৪০পৃ:)
আর খুতবা শোনা ওয়াজেব। সুতরাং আযানের সময় পার করে খুতবা শুরু হলে নামায পড়া বৈধ নয়। তাহিয়্যাতুল মাসজিদ ওয়াজেব না হলেও ঐ সময় মহানবী (সাঃ)-এর মহা আদেশ পালন করা জরুরী।
(তামামুল মিন্নাহ্, আলবানী ৩৪০পৃ:)
আর খুতবা শোনা ওয়াজেব। সুতরাং আযানের সময় পার করে খুতবা শুরু হলে নামায পড়া বৈধ নয়। তাহিয়্যাতুল মাসজিদ ওয়াজেব না হলেও ঐ সময় মহানবী (সাঃ)-এর মহা আদেশ পালন করা জরুরী।
No comments:
Post a Comment