::: ধূমপান এবং সকল নেশাদার দ্রবের পূর্ণ ইসলামিক বিধান :::
আমরা সকলে জানি ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। কথাটা অনেকে সেচ্ছায় বলেন অনেকে বলেন বাধ্য হয়ে। যাই হোক ধুমপানের ক্ষতির তুলনায় শ্লোগানটা খুবই হাল্কা। কারণ ধূমপান শুধু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর, আত্নার জন্য ক্ষতিকর, স্বভাব-চরিত্রের জন্য ক্ষতিকর, পরিবার-পরিজন প্রতিবেশী সমাজ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমার কাছে এর চেয়ে বড় ক্ষতির দিক হলো ধুমপানের মাধ্যমে ইসলামের নীতি আদর্শ লংঘন। আমি অনেক ধর্মপ্রান লোকজনকে দেখেছি তারা ধূমপান করেন। এমনকি বাংলাদেশের এক শহরের এক মসজিদে দেখেছি ইমাম সাহেব নামাজের ইমামতি শেষে মসজিদে বসেই সিগারেট ধরিয়ে পান করলেন। ঐ অঞ্চলের এক ইমাম সাহেবকে দেখেছি জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে বসে বক্তৃতা দিচ্ছেন আর সিগারেট টানছেন। এ সকল ধর্মপ্রান মানুষ ও ধর্মীয় নেতাদের যখন আপনি বলবেন ধূমপান জায়েজ নয় তখন তারা তা মানতে চান না। অনেক যুক্তির সাথে তারা এটাও বলেন মক্কা শরীফের মত পবিত্র স্থানেও ধূমপান করতে দেখেছি, যদি জায়েযই না হতো তা হলে কি ..। মুলত এদের উদ্দেশ্যেই আমার এ লেখা।
তারা বলেন : আল-কুরআনে তো বলা হয়নি ‘তোমরা ধূমপান করো না।’ হাদীসে রাসূলে কোথাও নেই যে, ‘ধূমপান করা যাবে না’, তা হলে ধূমপান ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ হলো কিভাবে?
এ প্রশ্নটির সন্তোষজনক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবে এ প্রবেন্ধ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ. (الأعراف : ১৫৭)
“তিনি তোমাদের জন্য হালাল করে দেন ভাল ও উত্তম বস্তু আর হারাম করে দেন খারাপ ও ক্ষতিকর বস্তু।” (সুরা আল-আরাফ : ১৫৭)
এ প্রশ্নটির সন্তোষজনক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবে এ প্রবেন্ধ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন-
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ. (الأعراف : ১৫৭)
“তিনি তোমাদের জন্য হালাল করে দেন ভাল ও উত্তম বস্তু আর হারাম করে দেন খারাপ ও ক্ষতিকর বস্তু।” (সুরা আল-আরাফ : ১৫৭)
এ আয়াতের ভিত্তিতে এমমন বহু জিনিষ আছে যা হারাম হয়েছে অথচ তা কুরআন- হাদীসে নাম ধরে বলা হয়নি। আমরা সাপ খাই না। কেন খাই না। কুরআন- হাদীসে কোথাও কি আছে তোমরা সাপ খেয়ো না ? নেই ঠিকই, কিন্তু উক্ত আয়াতের ভিত্তিতে তা হারাম হয়ে গেছে। কেননা তা ক্ষতিকর ও খারাপ। ধূমপান ক্ষতিকর ও খারাপ। এ ব্যাপারে দুনিয়ার সুস্থ বিবেক সম্পন্ন সকল মানুষ একমত। কোন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী দ্বি-মত পোষণ করেননি। তারপরও যদি কেহ বলেন, ধূমপান শরীয়তের নিষিদ্ধ বস্তুর মধ্যে পড়ে না তা হলে তাকে ঐ ডায়াবেটিস রোগীর সাথে তুলনা করা যায় যিনি ডাক্তারের নির্দেশ মত চিনি ত্যাগ করলেন ঠিকই কিন্তু রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ সবই খেলেন আর বললেন কই ডাক্তার তো এ গুলো নিষেধ করেননি!
আল-কুরআনের আলোকে :
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন :
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ (الأعراف : ১৫৭)
“তিনি তোমাদের জন্য পবিত্র ও ভাল (তাইয়েবাত) বস্তু হালাল করেন আর ক্ষতিকর- নোংড়া ( খাবায়িস) জিনিষ হারাম করেন। (সূরা আল-আরাফ :১৫৭)
আর ধূমপান নিশ্চয়ই খাবায়িস এর অন্তর্ভুক্ত, তাই তা পান করা বৈধ (হালাল) নয়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন:
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ. (البقرة : ১৯৫)
“তোমরা নিজেদের জীবন ধংশের সম্মুখীন করো না।” (সূরা আল-বাকারা : ১৯৫)
এ আয়াতের দাবীতেও ধূমপান নিষেধ।)কেননা ধুমপানের কারনে অনেক জীবন বিধংসী রোগ ব্যধি হয়ে থাকে।
وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ (الأعراف : ১৫৭)
“তিনি তোমাদের জন্য পবিত্র ও ভাল (তাইয়েবাত) বস্তু হালাল করেন আর ক্ষতিকর- নোংড়া ( খাবায়িস) জিনিষ হারাম করেন। (সূরা আল-আরাফ :১৫৭)
আর ধূমপান নিশ্চয়ই খাবায়িস এর অন্তর্ভুক্ত, তাই তা পান করা বৈধ (হালাল) নয়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন:
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ. (البقرة : ১৯৫)
“তোমরা নিজেদের জীবন ধংশের সম্মুখীন করো না।” (সূরা আল-বাকারা : ১৯৫)
এ আয়াতের দাবীতেও ধূমপান নিষেধ।)কেননা ধুমপানের কারনে অনেক জীবন বিধংসী রোগ ব্যধি হয়ে থাকে।
আল্লাহ তাআলা মদ ও জুয়া হারাম করতে যেয়ে বলেন :
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِنْ نَفْعِهِمَا. (البقرة : ২১৯)
“তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, উভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর তার মধ্যে মানুষের জন্য উপকারিতাও আছে। তবে এগুলোর পাপ উপকারের চেয়ে বড়।” (সূরা আল-বাকারা:২১৯)
আল্লাহ তাআলার এ বানী দ্বারা বুঝে আসে মদ জুয়ার মধ্যে উপকারিতা থাকা সত্বেও তা হারাম করেছেন। তাহলে ধূমপান তো মদ জুয়ার চেয়েও জঘন্য। কারন তাতে কোন ধরনের উপকার নেই। বরং একশ ভাগই ক্ষতি।
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِنْ نَفْعِهِمَا. (البقرة : ২১৯)
“তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, উভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর তার মধ্যে মানুষের জন্য উপকারিতাও আছে। তবে এগুলোর পাপ উপকারের চেয়ে বড়।” (সূরা আল-বাকারা:২১৯)
আল্লাহ তাআলার এ বানী দ্বারা বুঝে আসে মদ জুয়ার মধ্যে উপকারিতা থাকা সত্বেও তা হারাম করেছেন। তাহলে ধূমপান তো মদ জুয়ার চেয়েও জঘন্য। কারন তাতে কোন ধরনের উপকার নেই। বরং একশ ভাগই ক্ষতি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জাহান্নামীদের খাদ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন :
لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِنْ جُوعٍ
“এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুধা ও নিবারণ করবে না।” (সূরা আল-গাশিয়াহ : ৭)
ধুমপানের মধ্যে এ বৈশিষ্ট্যই রয়েছে যে তা পান কারীর পুষ্টির যোগান দেয় না, ক্ষুধাও নেভায় না। ধুমপানের তুলনা জাহান্নামী খাবারের সাথেই করা যায়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ
“তোমরা অপচয় করো না। অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।” (সুরা আল-ইসরা :২৭)
ধূমপান একটি অপচয়। অনেক এমন অপচয় আছে যাতে মানুষের লাভ-ক্ষতি কিছু নেই। এগুলো সকলের কাছে অন্যায় ও সর্বসম্মতভাবে তা অপচয় বলে গণ্য। কিন্তু ধূমপান এমন একটি অপচয় যাতে শুধুই মানুষের ক্ষতি। কোন লাভই নেই।
হাদীসের আলোকে :
لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِنْ جُوعٍ
“এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবে না ক্ষুধা ও নিবারণ করবে না।” (সূরা আল-গাশিয়াহ : ৭)
ধুমপানের মধ্যে এ বৈশিষ্ট্যই রয়েছে যে তা পান কারীর পুষ্টির যোগান দেয় না, ক্ষুধাও নেভায় না। ধুমপানের তুলনা জাহান্নামী খাবারের সাথেই করা যায়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ
“তোমরা অপচয় করো না। অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।” (সুরা আল-ইসরা :২৭)
ধূমপান একটি অপচয়। অনেক এমন অপচয় আছে যাতে মানুষের লাভ-ক্ষতি কিছু নেই। এগুলো সকলের কাছে অন্যায় ও সর্বসম্মতভাবে তা অপচয় বলে গণ্য। কিন্তু ধূমপান এমন একটি অপচয় যাতে শুধুই মানুষের ক্ষতি। কোন লাভই নেই।
হাদীসের আলোকে :
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :
إن الله كره لكم ثلاثا : قيل وقال وكثرة السؤال وإضاعة المال.
“আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাদের তিনটি বিষয় ঘৃণা করেন। ১-ভিত্তিহীন ও সনদ-সুত্র বিহীন কথা-বার্তা। ২- অধিকহারে প্রশ্ন করা। ৩- সম্পদ নষ্ট করা।” (বুখারী ও মুসলিম)
ধূমপানকারী ধূমপান করে সম্পদ নষ্ট করে এ ব্যাপারে কারো দ্বি-মত নেই।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন :
من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فلا يؤذي جاره
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।”
(বুখারী)
ধূমপানকারী তার ধুমপানের দ্বারা স্ত্রী-পরিজন, সহযাত্রী, বন্ধু ু বান্ধব ও আশে-পার্শের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে থাকে। অনেকে নীরবে কষ্ট সহ্য করে মনে মনে ধূমপান কারীকে অভিশাপ দেন। আবার দু একজন প্রতিবাদ করে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যান। আমি বাসে ও ট্রেনে বসে অনেক ধূমপানকারীকে আদবের সাথে বলেছি ভাই সিগারেটটা শেষ করুন। আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এতে তিনি আমার উপর প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে বকাবকি করেছেন, আমাকে একটা গাড়ী বা ট্রেন কিনে তাতে আলাদা ভাবে চলাফেরা করার হুকুম দিয়েছেন। আবার এও বলেছেন “মনে হয় গাড়ীটা উনি কিনেই নিয়েছেন”।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় ও প্রমানিত ধূমপানকারীর প্রতিবেশী শারিরিকভাবে অনুরূপ ক্ষতিগ্রস্থ হন যে রূপ ধূমপানকারী হয়ে থাকেন।
إن الله كره لكم ثلاثا : قيل وقال وكثرة السؤال وإضاعة المال.
“আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তোমাদের তিনটি বিষয় ঘৃণা করেন। ১-ভিত্তিহীন ও সনদ-সুত্র বিহীন কথা-বার্তা। ২- অধিকহারে প্রশ্ন করা। ৩- সম্পদ নষ্ট করা।” (বুখারী ও মুসলিম)
ধূমপানকারী ধূমপান করে সম্পদ নষ্ট করে এ ব্যাপারে কারো দ্বি-মত নেই।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন :
من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فلا يؤذي جاره
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।”
(বুখারী)
ধূমপানকারী তার ধুমপানের দ্বারা স্ত্রী-পরিজন, সহযাত্রী, বন্ধু ু বান্ধব ও আশে-পার্শের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে থাকে। অনেকে নীরবে কষ্ট সহ্য করে মনে মনে ধূমপান কারীকে অভিশাপ দেন। আবার দু একজন প্রতিবাদ করে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে যান। আমি বাসে ও ট্রেনে বসে অনেক ধূমপানকারীকে আদবের সাথে বলেছি ভাই সিগারেটটা শেষ করুন। আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এতে তিনি আমার উপর প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়ে বকাবকি করেছেন, আমাকে একটা গাড়ী বা ট্রেন কিনে তাতে আলাদা ভাবে চলাফেরা করার হুকুম দিয়েছেন। আবার এও বলেছেন “মনে হয় গাড়ীটা উনি কিনেই নিয়েছেন”।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় ও প্রমানিত ধূমপানকারীর প্রতিবেশী শারিরিকভাবে অনুরূপ ক্ষতিগ্রস্থ হন যে রূপ ধূমপানকারী হয়ে থাকেন।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন :
إن الحلال بين وإن الحرام بين وبينهما أمور مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس، فمن اتقى الشبهات فقد استبرأ لدينه وعرضه، ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام . . .
“হালাল স্পষ্ট, এবং হারাম স্পষ্ট। এ দুয়ের মাঝে আছে সন্দেহ জনক বিষয়াবলী। (তা হালাল না হারাম ) অনেক মানুষই জানে না। যে ব্যক্তি এ সন্দেহ জনক বিষয়গুলো পরিহার করল, সে তার ধর্ম ও স্বাস্থ্য রক্ষা করল। আর যে এ সন্দেহ জনক বিষয়গুলোতে লিপ্ত হল সে প্রকারান্তরে হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ল .. .. (বুখারী ও মুসলিম)
তাই যারা ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়ার কোন প্রমাণাদি পাচ্ছেন না তাদের কমপক্ষে এ হাদীসটির প্রতি দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
من حسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه
“যে সকল কথা ও কাজ মানূষের কোন উপকারে আসে না, তা পরিহার করা তার ইসলামের সৌন্দর্য।” (মুসলিম)
(লেখক : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান)
إن الحلال بين وإن الحرام بين وبينهما أمور مشتبهات لا يعلمهن كثير من الناس، فمن اتقى الشبهات فقد استبرأ لدينه وعرضه، ومن وقع في الشبهات وقع في الحرام . . .
“হালাল স্পষ্ট, এবং হারাম স্পষ্ট। এ দুয়ের মাঝে আছে সন্দেহ জনক বিষয়াবলী। (তা হালাল না হারাম ) অনেক মানুষই জানে না। যে ব্যক্তি এ সন্দেহ জনক বিষয়গুলো পরিহার করল, সে তার ধর্ম ও স্বাস্থ্য রক্ষা করল। আর যে এ সন্দেহ জনক বিষয়গুলোতে লিপ্ত হল সে প্রকারান্তরে হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ল .. .. (বুখারী ও মুসলিম)
তাই যারা ইসলামের দৃষ্টিতে ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়ার কোন প্রমাণাদি পাচ্ছেন না তাদের কমপক্ষে এ হাদীসটির প্রতি দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
من حسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه
“যে সকল কথা ও কাজ মানূষের কোন উপকারে আসে না, তা পরিহার করা তার ইসলামের সৌন্দর্য।” (মুসলিম)
(লেখক : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান)
::::::: আরও কিছু হাদিস থেকে আমরা জেনে নেই কিছু প্রস্ন উত্তরঃ :::::::
::: কুরআন এ মদ পান করা হারাম বলা হয়েছে, কিন্তু ধূমপান কি নেশাদার দ্রব্য বা মদ এর মধ্যে পরে ? দেখি আমরা রাসুল (সঃ) এই বিষয় কি বলেছেনঃ
ইবনু ওমর রাঃ বলেন , রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ 'সব নেশাদার দ্রব্য হচ্ছে মদ। যে বেক্তি সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পান করে এবং তউবা বিহিন অবস্থায় মারা যাবে সে পরকালে সুস্বাদু পানিয় পান করতে পারবেনা।' (মুসলিম ১/১৬৭)
এখানে আমরা পেলাম যে প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্য হচ্ছে মদ। আর যারা তউবা ছাড়া মারা যাবে তাঁরা পরকালে সুস্বাদু পানিয় খেতে পারবেনা। আর আমরা জানি যে যাদের ভিতর ইসলাম এর পুরনাঙ্গ ঈমান নেই তারাই কেবল নেশাদার দ্রব্য ত্যাগ করতে পারেনা। এবং তাঁরা ঠিকমত ইসলাম পালন করেনা, সালাত আদায় করেনা। আর তাদের তউবা করার সুযোগ থাকেনা। কারন তাঁরা বুঝতে পারেনা তাঁরা কত বড় পাপ করছে।
ইবনু ওমর রাঃ বলেন , রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ 'সব নেশাদার দ্রব্য হচ্ছে মদ। যে বেক্তি সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পান করে এবং তউবা বিহিন অবস্থায় মারা যাবে সে পরকালে সুস্বাদু পানিয় পান করতে পারবেনা।' (মুসলিম ১/১৬৭)
এখানে আমরা পেলাম যে প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্য হচ্ছে মদ। আর যারা তউবা ছাড়া মারা যাবে তাঁরা পরকালে সুস্বাদু পানিয় খেতে পারবেনা। আর আমরা জানি যে যাদের ভিতর ইসলাম এর পুরনাঙ্গ ঈমান নেই তারাই কেবল নেশাদার দ্রব্য ত্যাগ করতে পারেনা। এবং তাঁরা ঠিকমত ইসলাম পালন করেনা, সালাত আদায় করেনা। আর তাদের তউবা করার সুযোগ থাকেনা। কারন তাঁরা বুঝতে পারেনা তাঁরা কত বড় পাপ করছে।
***রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াদা করেছেনঃ 'নেশাদার দ্রব্য পানকারীকে আল্লাহ ''ত্তিনাতে খাবাল'' খাওয়বেন। জিজ্ঞাস করা হল, হে আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) ''ত্তিনাতে খাবাল'' কি জিনিস ? রাসুল (সঃ) বললেন জাহান্নামিদের শরীর থেকে গলে পড়া রক্তপুজ মিস্রিত এক প্রকার তরল পদার্থ। ' (মুসলিম ২/১৬৭)
::: এবার দেখি নেশাদার দ্রব্য পান করা সম্পর্কে রাসুল (সঃ) আরও ভয়ানক কি বলেছেনঃ
রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী মূর্তি পুজকের নেয় অপরাধী !' (ইনবু মাজাহ হা/৩৩৭৫)
::: এবার দেখি নেশাদার দ্রব্য পান করা সম্পর্কে রাসুল (সঃ) আরও ভয়ানক কি বলেছেনঃ
রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী মূর্তি পুজকের নেয় অপরাধী !' (ইনবু মাজাহ হা/৩৩৭৫)
::: আমি নিজে বেক্তিগতভাবে যেই হাদিসগুলো শুনে সেইদিন থেকেই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম সেটা নিচে শেয়ার করলাম , আশা করি একজন মুসলিম এর জন্য এই হাদিসগুলো যথেষ্ট হবে। আর এর পরেও যদি আপনি বলেন সিগারেট এর কথা বা জর্দা, গুল, হেরইন, গাঁজা, ইত্যাদি নেশাদার দ্রবের কথা কুরআন হাদিসে কথায় আছে ! তাহলে আল্লাহ্র সামনে জবাব দিতে প্রস্তুত থাকেন যেদিন কোন মানুষ কোন মানুষের কোন কাজে আসবে। শুধু একমাত্র বিচারের মালিক থাকবেন আল্লাহ ! আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দিন। আমীন ।
***আবু দারদা রাঃ বলেন,রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা বলেছেনঃ
'সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবেনা।' (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৬) তাহলে প্রতিদিন সিগারেট,জর্দা অথবা অন্যকোন নেশাদার দ্রব্য খেয়ে জান্নাতে যেতে আশা করবেন কীভাবে ? রাসুল (সঃ) এর কথা অমান্য করে ? নিজেই ভেবে দেখুন !
:::
আম্মার ইবনু ইয়াসার রাঃ বলেন, রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
''তিন শ্রেণীর মানুষ কখনো জান্নাতে যাবেনা !!! ১/ বাড়িয়ে পরিবারে বেয়াহাপনার সুযোগ দেয়। ২/ পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান। ৩/ নিয়মিত নেশাদারদ্রব্য পানকারী !'' (তাবরানী, তারগিব হা/৩৩৮১) এই একটা হাদিস আমাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্। এখানে ৩ নাম্বার শ্রেণীতে নেশাদার দ্রব্য পানকারী চলে এসেছে।
:::
***আবদুল্লাহ ইবনু ওমর রাঃ বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ
যে বেক্তি নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লাহ তার ৪০ দিন সালাত কবুল করবেন না ! যদি এই অবস্থায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে যাবে। যদি তউবা করে আল্লাহ তার তউবা কবুল করবেন। আবার নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লাহ তার ৪০ দিন সালাত কবুল করবেন না ! যদি এই অবস্থায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে যাবে। যদি তউবা করে আল্লাহ তার তউবা কবুল করবেন। আবার নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লাহ তার ৪০ দিন সালাত কবুল করবেন না ! যদি এই অবস্থায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে যাবে। যদি তউবা করে আল্লাহ তার তউবা কবুল করবেন। চতুর্থবার যদি সে মদ পান করে তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে 'রাগাতুল খাবাল' পান করাবেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাস করলেন, 'রাগাতুল খাবাল' কি ? তখন রাসুল (সঃ) বলেন, আগুনের তাপে জাহান্নামীদের শরীর হতে গলে পরা রক্তপুজ মিস্রিত গরম তরল পদার্থ !'' (তিরমিজি, হাদিস সহিহ। মিশকাত হা/২৭৭৬) কত ভয়ানক এই হাদিস !
তারমানে যে মদ পান করবে বা নেশাদার দ্রব্য পান করবে তার ইবাদাত ৪০ দিন কবুল হবেনা। এবং সে এই অবস্থায় মারা গেলে জাহান্নামে যাবে এটা আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) বলেছেন । এবার আমরা দেখি আসলেই কি সিরারেট, বিড়ী, জর্দা, গাঁজা, ইত্যাদি সবগুল মদ ?
***ইবনু ওমর রাঃ বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ ''প্রত্যেক ঐ বস্তু যা বিবেকের ক্ষতি করে তাই হচ্ছে মদ।আর সব ধরনের মদই হারাম।'' (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৯০) তাহলে এইটা বুঝলাম যে যে বস্তু খেলে বিবেক এর ক্ষতি করে সেই সব বস্তু মদ হিসেবেই ধরা হয়। তাহলে সিগারেট, গাঁজা, জর্দা কি বিবেক এর ক্ষতি করে ? আপনি যদি একসাথে ২০-৩০ তা অথবা তারও কম বেশী সিগারেট খান তাহলে কেমন লাগে ? আপনি কি এক কৌটা জর্দা এমনিতেই চিবিয়ে খেতে পারেন ? অবশ্যই না। মাথা ঘুরিয়ে পরে যাবেন। আর গাঁজা সম্পর্কে আর অন্য বিষয় সম্পর্কে নাই বললাম। এইটা সবাই জানি যে এগুলা খেলে মাথা ঠিক থাকেনা। এবার দেখি যে একটা সিগারেট খেলে কি হারাম হবে ? কারন একটা সিগারেট খেলে তো বিবেক এর ক্ষতি হয়না বা মাথা ঘুরায়না তাইনা ? এর উত্তর নিচের হাদিসেই আছেঃ
**জাবের ইবনু আবদুল্লাহ রাঃ বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেন, 'যে বস্তু বেশী পরিমান খেলে বিবেকের ক্ষতি হয়,তার কমও হারাম।' (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৯৩)
:::এবার পরিষ্কার হয়েছে বিষয়টা ? যেটা বেশী খেলে হারাম হবে সেটা অল্পও হারাম। আর এইটা আমরা সকলেই জানি যে কোন খারাপ বস্তু বেশী খেলেও হারাম আর কম খেলেও হারাম। তারপএর আমরা বিভিন্ন বাহানা দেই হারাম বস্তু হালাল করার জন্য। এই জন্যই আজকের এই পোস্ট। আশা করি এর পরে সিরারেট মুখে দেয়ার আগে এই হাদিসগুলো মনে পরবে। আর এর পরেও যারা আল্লাহ্র আয়াত ও রাসুল (সঃ) কে অমান্য করবে তাঁরা কীভাবে ক্ষমা পাবে সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। আমরা জানি কেউ একজন মুসলিম হতে হলে কালেমা পরে ঈমান আনতে হয়। আর কালেমার মূল শর্ত হচ্ছে 'শুধুমাত্র আল্লাহ্র ইবাদাত এবং আদেশ নিষেধ মেনে চলতে হবে এবং রাসুল (সঃ) এর আনুগত্য করতে হবে।' আল্লাহ বলেছেন, রাসুল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহন কর আর যা নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক।এবার আপনি রাসুলের (সঃ) আদেশ মানবেন নাকি আপনার নিজের মনমত চলবেন আপনি জানেন। তবে মৃত্যু একদিন হুট করে চলে আসলে বুঝতে পারবেন আর তখন কোন পথ থাকবেনা। আমার মুসলিম ভাইবোন আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান এবং আজকেই আল্লাহ্র কাছে তউবা করুণ যে আর জিবনেও নেশাদার দ্রব্য পান করবোনা ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ আমাদের সব মুসলিম ভাইবোনকে সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুণ আমীন।
'সর্বদা নেশাদার দ্রব্য পানকারী জান্নাতে যাবেনা।' (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৭৬) তাহলে প্রতিদিন সিগারেট,জর্দা অথবা অন্যকোন নেশাদার দ্রব্য খেয়ে জান্নাতে যেতে আশা করবেন কীভাবে ? রাসুল (সঃ) এর কথা অমান্য করে ? নিজেই ভেবে দেখুন !
:::
আম্মার ইবনু ইয়াসার রাঃ বলেন, রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
''তিন শ্রেণীর মানুষ কখনো জান্নাতে যাবেনা !!! ১/ বাড়িয়ে পরিবারে বেয়াহাপনার সুযোগ দেয়। ২/ পিতা মাতার অবাধ্য সন্তান। ৩/ নিয়মিত নেশাদারদ্রব্য পানকারী !'' (তাবরানী, তারগিব হা/৩৩৮১) এই একটা হাদিস আমাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ্। এখানে ৩ নাম্বার শ্রেণীতে নেশাদার দ্রব্য পানকারী চলে এসেছে।
:::
***আবদুল্লাহ ইবনু ওমর রাঃ বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ
যে বেক্তি নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লাহ তার ৪০ দিন সালাত কবুল করবেন না ! যদি এই অবস্থায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে যাবে। যদি তউবা করে আল্লাহ তার তউবা কবুল করবেন। আবার নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লাহ তার ৪০ দিন সালাত কবুল করবেন না ! যদি এই অবস্থায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে যাবে। যদি তউবা করে আল্লাহ তার তউবা কবুল করবেন। আবার নেশাদার দ্রব্য পান করবে আল্লাহ তার ৪০ দিন সালাত কবুল করবেন না ! যদি এই অবস্থায় মারা যায় তাহলে জাহান্নামে যাবে। যদি তউবা করে আল্লাহ তার তউবা কবুল করবেন। চতুর্থবার যদি সে মদ পান করে তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে 'রাগাতুল খাবাল' পান করাবেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাস করলেন, 'রাগাতুল খাবাল' কি ? তখন রাসুল (সঃ) বলেন, আগুনের তাপে জাহান্নামীদের শরীর হতে গলে পরা রক্তপুজ মিস্রিত গরম তরল পদার্থ !'' (তিরমিজি, হাদিস সহিহ। মিশকাত হা/২৭৭৬) কত ভয়ানক এই হাদিস !
তারমানে যে মদ পান করবে বা নেশাদার দ্রব্য পান করবে তার ইবাদাত ৪০ দিন কবুল হবেনা। এবং সে এই অবস্থায় মারা গেলে জাহান্নামে যাবে এটা আল্লাহ্র রাসুল (সঃ) বলেছেন । এবার আমরা দেখি আসলেই কি সিরারেট, বিড়ী, জর্দা, গাঁজা, ইত্যাদি সবগুল মদ ?
***ইবনু ওমর রাঃ বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ ''প্রত্যেক ঐ বস্তু যা বিবেকের ক্ষতি করে তাই হচ্ছে মদ।আর সব ধরনের মদই হারাম।'' (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৯০) তাহলে এইটা বুঝলাম যে যে বস্তু খেলে বিবেক এর ক্ষতি করে সেই সব বস্তু মদ হিসেবেই ধরা হয়। তাহলে সিগারেট, গাঁজা, জর্দা কি বিবেক এর ক্ষতি করে ? আপনি যদি একসাথে ২০-৩০ তা অথবা তারও কম বেশী সিগারেট খান তাহলে কেমন লাগে ? আপনি কি এক কৌটা জর্দা এমনিতেই চিবিয়ে খেতে পারেন ? অবশ্যই না। মাথা ঘুরিয়ে পরে যাবেন। আর গাঁজা সম্পর্কে আর অন্য বিষয় সম্পর্কে নাই বললাম। এইটা সবাই জানি যে এগুলা খেলে মাথা ঠিক থাকেনা। এবার দেখি যে একটা সিগারেট খেলে কি হারাম হবে ? কারন একটা সিগারেট খেলে তো বিবেক এর ক্ষতি হয়না বা মাথা ঘুরায়না তাইনা ? এর উত্তর নিচের হাদিসেই আছেঃ
**জাবের ইবনু আবদুল্লাহ রাঃ বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেন, 'যে বস্তু বেশী পরিমান খেলে বিবেকের ক্ষতি হয়,তার কমও হারাম।' (ইবনু মাজাহ হা/৩৩৯৩)
:::এবার পরিষ্কার হয়েছে বিষয়টা ? যেটা বেশী খেলে হারাম হবে সেটা অল্পও হারাম। আর এইটা আমরা সকলেই জানি যে কোন খারাপ বস্তু বেশী খেলেও হারাম আর কম খেলেও হারাম। তারপএর আমরা বিভিন্ন বাহানা দেই হারাম বস্তু হালাল করার জন্য। এই জন্যই আজকের এই পোস্ট। আশা করি এর পরে সিরারেট মুখে দেয়ার আগে এই হাদিসগুলো মনে পরবে। আর এর পরেও যারা আল্লাহ্র আয়াত ও রাসুল (সঃ) কে অমান্য করবে তাঁরা কীভাবে ক্ষমা পাবে সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। আমরা জানি কেউ একজন মুসলিম হতে হলে কালেমা পরে ঈমান আনতে হয়। আর কালেমার মূল শর্ত হচ্ছে 'শুধুমাত্র আল্লাহ্র ইবাদাত এবং আদেশ নিষেধ মেনে চলতে হবে এবং রাসুল (সঃ) এর আনুগত্য করতে হবে।' আল্লাহ বলেছেন, রাসুল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহন কর আর যা নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক।এবার আপনি রাসুলের (সঃ) আদেশ মানবেন নাকি আপনার নিজের মনমত চলবেন আপনি জানেন। তবে মৃত্যু একদিন হুট করে চলে আসলে বুঝতে পারবেন আর তখন কোন পথ থাকবেনা। আমার মুসলিম ভাইবোন আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যান এবং আজকেই আল্লাহ্র কাছে তউবা করুণ যে আর জিবনেও নেশাদার দ্রব্য পান করবোনা ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ আমাদের সব মুসলিম ভাইবোনকে সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুণ আমীন।
No comments:
Post a Comment