সওম ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভঃ
======================
ইব্ন ওমর ؓ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
«بنُيَ الإسْلامُ على خمَسْ:ٍ شهَادةِ أنَّ لا إلَه إلَّا اللهُ وأنَّ مُحمَّداً رَسُولُ الله، وإِقَامِ الصَّلاةِ، وإيتَاءِ الزَّكَاة، والحجِّ وَصَومِ رَمَضَانَ» رواه الشيخان.
-ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বস্তুর ওপর রাখা হয়েছে: সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, হজ সম্পাদন করা ও রমযানের সওম পালন করা [ বুখারি হ/৮, মুসলিম হা/১৬]
======================
ইব্ন ওমর ؓ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
«بنُيَ الإسْلامُ على خمَسْ:ٍ شهَادةِ أنَّ لا إلَه إلَّا اللهُ وأنَّ مُحمَّداً رَسُولُ الله، وإِقَامِ الصَّلاةِ، وإيتَاءِ الزَّكَاة، والحجِّ وَصَومِ رَمَضَانَ» رواه الشيخان.
-ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বস্তুর ওপর রাখা হয়েছে: সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, হজ সম্পাদন করা ও রমযানের সওম পালন করা [ বুখারি হ/৮, মুসলিম হা/১৬]
আবু জামরাহ নসর ইব্ন ইমরান (রাহি.) বলেন, একদা আমি ইব্ন আব্বাস ؓ ও শ্রোতাদের মাঝে দোভাষীর কাজ করছিলাম। তিনি বললেন: আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি গ্রুপ রাসূলুল্লাহ ﷺ দরবারে উপস্থিত হন, তিনি তাদের বলেন: কোন গ্রুপ বা কোন সম্প্রদায়ের লোক? তারা বলল: আমরা রাবিয়াহ গোত্রের। তিনি বললেন: স্বাগতম প্রতিনিধি গ্রুপ বা স্বাগতম রাবিয়াহ সম্প্রদায়, তিরষ্কার ও ভর্ৎসনা মুক্ত। তারা বলল,
-আমরা আপনার নিকট আগমন করি অনেক দূর থেকে। আপনার ও আমাদের মাঝে রয়েছে মুদার গোত্রের কাফেরদের এ গ্রাম, এ জন্য হারাম তথা সম্মানিত ও যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাস ব্যতীত আপনার কাছে আমরা আসতে পারি না। অতএব আমাদেরকে উপদেশ দিন, যা আমরা আমাদের রেখে আসা ভাইদের নিকট পৌঁছাব এবং যার ওপর আমল করে আমরা সকলে জান্নাতে যাব। তিনি তাদের নির্দেশ দিলেন চারটি বিষয়ের: নির্দেশ দিলেন এক আল্লাহর ওপর ঈমানের। তিনি বললেন: তোমরা কি জান আল্লাহর ওপর ঈমান কি? তারা বলল: আল্লাহ ও তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বললেন:
«شَهَادَةُ أَنَّ لا إِله إلَّا الله وأَنَّ مُحمداً رَسُولُ الله، وإِقَامُ الصَّلاةِ، وإيتَاءُ الزَّكَاةِ، وصَومُ رَمَضَانَ، وتُعْطُوا الخُمُسَ من المَغْنَم... قال: احْفَظُوهُ وأَخْبِرُوهُ مَنْ وَرَاءَكُم» رواه الشيخان.
-সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, রমযানের সওম পালন করা ও গনিমতের এক পঞ্চমাংশ দান করা... তিনি বললেন: এগুলো মনে রাখ ও তোমাদের রেখে আসা ভাইদের বল। [বুখারি হা/৮৭, মুসলিম হা/১৬]
-আমরা আপনার নিকট আগমন করি অনেক দূর থেকে। আপনার ও আমাদের মাঝে রয়েছে মুদার গোত্রের কাফেরদের এ গ্রাম, এ জন্য হারাম তথা সম্মানিত ও যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাস ব্যতীত আপনার কাছে আমরা আসতে পারি না। অতএব আমাদেরকে উপদেশ দিন, যা আমরা আমাদের রেখে আসা ভাইদের নিকট পৌঁছাব এবং যার ওপর আমল করে আমরা সকলে জান্নাতে যাব। তিনি তাদের নির্দেশ দিলেন চারটি বিষয়ের: নির্দেশ দিলেন এক আল্লাহর ওপর ঈমানের। তিনি বললেন: তোমরা কি জান আল্লাহর ওপর ঈমান কি? তারা বলল: আল্লাহ ও তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বললেন:
«شَهَادَةُ أَنَّ لا إِله إلَّا الله وأَنَّ مُحمداً رَسُولُ الله، وإِقَامُ الصَّلاةِ، وإيتَاءُ الزَّكَاةِ، وصَومُ رَمَضَانَ، وتُعْطُوا الخُمُسَ من المَغْنَم... قال: احْفَظُوهُ وأَخْبِرُوهُ مَنْ وَرَاءَكُم» رواه الشيخان.
-সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, রমযানের সওম পালন করা ও গনিমতের এক পঞ্চমাংশ দান করা... তিনি বললেন: এগুলো মনে রাখ ও তোমাদের রেখে আসা ভাইদের বল। [বুখারি হা/৮৭, মুসলিম হা/১৬]
■ শিক্ষা ও মাসায়েলঃ
==================
✔১). ঈমান ও ইসলামের বর্ণনা, অর্থাৎ ঈমান হচ্ছে অন্তরের স্বীকৃতি আর ইসলাম হচ্ছে আত্মসমর্পণ ও বাহ্যিক আনুগত্য। ঈমান ও ইসলাম একসঙ্গে উল্লেখ হলে এ অর্থ প্রকাশ করে, যদি আলাদা উল্লেখ হয়, তখন একে অপরের অর্থ প্রকাশ করে।
==================
✔১). ঈমান ও ইসলামের বর্ণনা, অর্থাৎ ঈমান হচ্ছে অন্তরের স্বীকৃতি আর ইসলাম হচ্ছে আত্মসমর্পণ ও বাহ্যিক আনুগত্য। ঈমান ও ইসলাম একসঙ্গে উল্লেখ হলে এ অর্থ প্রকাশ করে, যদি আলাদা উল্লেখ হয়, তখন একে অপরের অর্থ প্রকাশ করে।
✔২). মূলত ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ ও তার রাসূলের সাক্ষ্য দেয়া, তবে ইসলামের মৌলিক আমল হিসেবে সালাত, যাকাত, সওম ও হজ তার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।
✔৩). এ পাঁচটি রোকন বা তার আংশিক ত্যাগ করা আল্লাহর অবাধ্যতা প্রমাণ করে।
✔৪). ইসলামে সিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম, তাই সিয়ামকে তার রোকন স্থির করা হয়েছে।
✔৫). দ্বীনের গরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানা জরুরী। ওয়াজিবের ওপর আমল করা, হারাম থেকে বিরত থাকা এবং মানুষের নিকট দ্বীন পৌঁছে দেয়া, যেমন নবী ﷺ তাদেরকে বলেছেন,
-“তোমরা এগুলো মনে রাখ ও তোমাদের রেখে আসা ভাইদের পৌঁছে দাও”।
-“তোমরা এগুলো মনে রাখ ও তোমাদের রেখে আসা ভাইদের পৌঁছে দাও”।
►►আরও দেখুন ইমাম নববী কর্তৃক মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ১/১৪৮
No comments:
Post a Comment