Wednesday, August 12, 2015

বিষয়ঃ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রী



তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও's photo.

বিষয়ঃ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রী
একবার এক ভাই আমাকে বলেছিলেন, তার স্ত্রী তার কথা শোনেনা, অন্য পুরুষের সাথে কথা বলে, ঘুরতে বাইরে যায়। স্ত্রীর স্বাধীনতায় বাঁধা দিলে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি করে। আরেক ভাই অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রীর কথামতো না চললে তার থেকে আলাদা হয়ে যেতে দাবী জানাচ্ছে। আজ আরেক ভাই অভিযোগ করেছেন, আমাদের পেইজ পড়ে এমন একজন নারী সামান্য কারণে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিচ্ছে। তিনি আমাদেরকে অনুরোধ করেছেন এটা নিয়ে কিছু লেখার জন্যে। সুতরাং আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের আলোকে এনিয়ে আমার কিছু কথা আপনাদের সামনে পেশ করছি।
বিনীত,
- আনসারুস সুন্নাহ। 
________________________
আজকাল টিভিতে হিন্দী সিরিয়াল দেখে তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, বাজে পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পড়ে অন্তরকে কলুষিত করে, অথবা দুষ্ট মা-বোন বা বান্ধবীর কূট চালের শিকার হয়ে, অথবা অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে অনেক স্ত্রীরা স্বামীদের হক্ক আদায় করছেনা। তাদের স্বামীদেরকে তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তাদেরকে উপযুক্ত সম্মান দেয়না, ভালোবাসেনা। স্বামীর আনুগত্য করাকে অনেক মহিলা নিজের জন্য অসম্মানের বিষয় মনে করে, তাদের মতে এইগুলো হচ্ছে ব্যকডেটেড চিন্তা-ভাবনা। আধুনিক যুগের অনেক মেয়েরা মনে করে, আমি উপার্জন করি, স্বাধীনভাবে চলি, আমার কি দরকার পড়েছে স্বামীর কথা মতো চলার? 
________________________
যাইহোক, স্বামীর প্রতি একজন নারী কতটুকু সম্মান করবে, ভালোবাসবে ও তার প্রতি আনুগত্য করবে, নিচের এই একটি মাত্র ‘সহীহ হাদীস’ থেকে খুব সহজেই বোঝা যায়। 
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।’’ [তিরমিযিঃ ১১৫৯]
________________________
নফল রোযা আল্লাহর কাছে কত প্রিয় একটি আমল। অথচ স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখা, তার হক্ক আদায় করারজন্যে একজন নারীকে এতো বেশি তাকীদ দেওয়া হয়েছে যে, স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোন নারী নফল রোযা (যেমন শাওয়ালের রোযা, আশুরার রোযা, যিলহজ্জ মাসের রোযা ইত্যাদি) রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “স্বামী (বাড়িতে) উপস্থিত থাকা অবস্থায় কোন মহিলা যেন তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোন (নফল) রোযা না রাখে।” [আবু দাউদ, ইবনে, মাজাহ, মিশকাত]
________________________
শরিয়ত সম্মত কারণ ছাড়াই যে নারী তালাক চাইবে তার পরিণতি সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“যে মহিলা তার স্বামীর কাছ থেকে কোন ক্ষতির আশংকা ছাড়াই তালাক চায়, তাহলে সেই নারী জান্নাতের সুগন্ধিও পাবেনা।”
তিরমিযীঃ ১১৮৭, আবু দাউদঃ ২২২৬, ইমাম আয-যাহবী, ইমাম ইবনে হিব্বান ও ইমাম হাকেম হাদীসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন। 
________________________
ক্বুরান হাদীসের কথা অস্বীকার করে নিজের খেয়াল খুশি মতো চললে আর যাই হোক, নিজেকে পূর্ণ ঈমানদার বলে দাবী করা যাবেনা। মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
“(যারা ঈমানদার) তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম।” 
[সুরা বাক্বারাহঃ ২৮৫] 
তিনি আরো বলেছেন, “আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে। (যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ অমান্য করে) সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়।” [সুরা আল-আহজাবঃ ৩৬] 
________________________
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
“তোমাদের মধ্যে কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি যা নিয়ে এসেছি (ক্বুরান ও হাদীসের আদেশ ও নিষেধ, হালাল ও হারাম এর বিধি বিধান) তার প্রতি তার ইচ্ছা-আকাঙ্খা অনুগত না হয়ে যায়।”
[ইমাম নববীর ৪০ হাদীস, হাদীসটি হাসান]

No comments:

Post a Comment