Friday, October 9, 2015

সূরা ইব্রাহিম আয়াত ৪০- ৪১





আপনার সন্তান সন্তুতি এবং পরিবার পরিজন এবং বংশধরদের কে নামাজি বানাতে চেষ্টা করুন এবং সেই সাথে এই দুয়া বেশি বেশি করুন।
---
সূরা ইব্রাহিমের ৪০ ও ৪১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন,

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ (40) رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ (41)
"হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এবং আমার বংশধরদের কিছুকে যথাযথ নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী করো। হে আমার প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা গ্রহণ কর।” (১৪:৪০)
“হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।" (১৪:৪১)
আল্লাহর নবী ইব্রাহিম (আ.) যখন তাঁর স্ত্রী বিবি হাজেরা ও সন্তান ইসমাঈলকে শুষ্ক মরুভূমিতে বসবাসের জন্য রেখে যান,
তখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন, তিনি এবং তার বংশধররা নামাজ কায়েমকারীদের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং আল্লাহ যেন তার দুয়া কবুল করেন। আল্লাহ প্রেরিত নবী রাসূলগণ কেবল তাদের নিজেদের নামাজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন না, সেই সঙ্গে তারা সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং নামাজের সংস্কৃতি চালু রাখার জন্য প্রবলভাবে দায়িত্ববোধ করতেন। যদি সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠিত করা যায় অর্থাৎ মানুষ শুধু নামাজ পড়বে না সেই সঙ্গে আল্লাহর সকল নির্দেশাবলী নিজেদের জীবনে বাস্তবায়িত করবে, পরিবার ও সমাজের সাথে নিজের আচরণ সংশোধন করবে, স্বেচ্ছাচারিতা ও অহঙ্কার পরিত্যাগ করে বিনয়ী হবে।
এরপর ইব্রাহিম আঃ নিজের, নিজের পিতামাতা এবং সকল বিশ্বাসী লোকের জন্য দোয়া করেন যা থেকে বোঝা যায় তিনি গোটা সমাজকে নিয়েই চিন্তা করতেন। ইসলামে এ বিষয়ে বারবার গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিজের চেয়ে অন্যের কল্যাণ কামনা করে বেশী বেশী দোয়া করো। কাজেই দেখা যাচ্ছে, আল্লাহর খাঁটি বান্দাগণের দোয়ার মধ্যে মহান আল্লাহর বিশালত্ব এবং তাঁর তুলনায় মানুষের অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে। এছাড়া আমাদের উচিত দোয়া করার সময় আমাদের পূর্ববর্তী বংশধরদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি অনাগত সন্তানদের কল্যাণ কামনা করা।

No comments:

Post a Comment