Friday, October 9, 2015

এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ কিনা?




আস সালামুয়ালাইকুম
--
প্রশ্নঃ সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন মাস দিনকে অশুভ বা কুলক্ষনে মনে করে। এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে মনে করে থাকে। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ কিনা?
--
উত্তরঃ কোন রোগ মাস দিনকে অশুভ বা কুলক্ষন মনে করা এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে মনে করাটা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত !
আইয়ামে জাহেলিয়াতে ছফর মাসকে অশুভ কুলক্ষনে মনে করা হতো। রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভ্রান্ত আক্বীদা বিশ্বাসের মূলোৎপাটন করেন।
প্রসঙ্গে হাদীস
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, ” সংক্রামক বলতে কিছু নেই। তারকার ( উদয় বা অস্ত যাওয়ার) কারনে বৃষ্টি হওয়া ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই !”
[
মুসলিম শরীফকিতাবুস সালাম৩২ নং অনুচ্ছেদহাদীস ৫৫৯৯]
হাদিসে আরো বর্নিত হয়
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন , ” যে কোন বিষয়কেই অশুভ কুলক্ষণে মনে করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বাক্যটি তিনবার উল্লেখ করেছেন!” [মুসনাদে আহমদ ১ম খন্ড ৪৩৮ পৃষ্ঠা]
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ” ছোঁয়াচে এবং অশুভ বলে কিছু নেই !”
[
মুসলিমকিতাবুস সালাম -৩৩নং পরিচ্ছেদ-হাদীস ৫৬০৭ ]
স্মরনীয় যে, চিকিৎসা শাস্ত্রে পাঠ্য সূচীতে ইসলামি জ্ঞান না থাকার কারনে কোন কোন চিকিৎসক গন কিছু কিছু রোগ সম্পর্কে যেমন- চর্মরোগ, খুজলী পাঁচড়া, কুষ্ঠ, কলেরা- বসন্ত ইত্যাদি রোগকে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে থাকে। যেটা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ !!
কাজেই এমন শরীয়ত বিরোধী কুফরী আক্বীদা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ ওয়াজিব !!
তবে ভালো লক্ষন সম্পর্কে ধরনা করার সুযোগ রয়েছে। বরং ভালো লক্ষন ধারনা মুস্তাহাব সুন্নত॥এ প্রসঙ্গে হাদীস বর্নিত আছে
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি শুনেছি যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ” কোন বিষয়কে অশুভ কুলক্ষণে মনে করো না , তবে শুভ লক্ষন আছে। ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন আরজ করলেন, শুভ লক্ষন কি ? তখন তিনি বললেন, উত্তম কথা, যা তোমাদের মধ্যে হতে কেউ শুনতে পায় !”
[
বুখারী শরীফ; মুসলিম শরীফকিতাবুস সালাম- ৩৩ নং অনুচ্ছেদ- হাদীস ৫৬০৪]

No comments:

Post a Comment