আস সালামুয়ালাইকুম
--
প্রশ্নঃ সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন মাস ও দিনকে অশুভ বা কুলক্ষনে মনে করে। এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে মনে করে থাকে। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ কিনা?
--
উত্তরঃ কোন রোগ মাস ও দিনকে অশুভ বা কুলক্ষন মনে করা এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে মনে করাটা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত !
আইয়ামে জাহেলিয়াতে ছফর মাসকে অশুভ ও কুলক্ষনে মনে করা হতো। রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাসের মূলোৎপাটন করেন।
এ প্রসঙ্গে হাদীস —
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, ” সংক্রামক বলতে কিছু নেই। তারকার ( উদয় বা অস্ত যাওয়ার) কারনে বৃষ্টি হওয়া ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই !”
[ মুসলিম শরীফ – কিতাবুস সালাম – ৩২ নং অনুচ্ছেদ – হাদীস ৫৫৯৯]
--
প্রশ্নঃ সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা বিভিন্ন মাস ও দিনকে অশুভ বা কুলক্ষনে মনে করে। এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে মনে করে থাকে। এটা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ কিনা?
--
উত্তরঃ কোন রোগ মাস ও দিনকে অশুভ বা কুলক্ষন মনে করা এবং রোগ ব্যাধিকে সংক্রামক এবং ছোঁয়াচে মনে করাটা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত !
আইয়ামে জাহেলিয়াতে ছফর মাসকে অশুভ ও কুলক্ষনে মনে করা হতো। রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাসের মূলোৎপাটন করেন।
এ প্রসঙ্গে হাদীস —
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, ” সংক্রামক বলতে কিছু নেই। তারকার ( উদয় বা অস্ত যাওয়ার) কারনে বৃষ্টি হওয়া ভিত্তিহীন এবং ছফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই !”
[ মুসলিম শরীফ – কিতাবুস সালাম – ৩২ নং অনুচ্ছেদ – হাদীস ৫৫৯৯]
হাদিসে আরো বর্নিত হয় —
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন , ” যে কোন বিষয়কেই অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি এ বাক্যটি তিনবার উল্লেখ করেছেন!” [মুসনাদে আহমদ ১ম খন্ড ৪৩৮ পৃষ্ঠা]
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ননা করেন , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন , ” যে কোন বিষয়কেই অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তিনি এ বাক্যটি তিনবার উল্লেখ করেছেন!” [মুসনাদে আহমদ ১ম খন্ড ৪৩৮ পৃষ্ঠা]
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ”
ছোঁয়াচে এবং অশুভ বলে কিছু নেই !”
[মুসলিম – কিতাবুস সালাম -৩৩নং পরিচ্ছেদ-হাদীস ৫৬০৭ ]
[মুসলিম – কিতাবুস সালাম -৩৩নং পরিচ্ছেদ-হাদীস ৫৬০৭ ]
স্মরনীয় যে, চিকিৎসা শাস্ত্রে পাঠ্য সূচীতে ইসলামি জ্ঞান না থাকার কারনে কোন কোন চিকিৎসক গন কিছু কিছু রোগ সম্পর্কে যেমন- চর্মরোগ, খুজলী পাঁচড়া, কুষ্ঠ, কলেরা- বসন্ত ইত্যাদি রোগকে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে থাকে। যেটা শরীয়তে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ !!
কাজেই এমন শরীয়ত বিরোধী কুফরী আক্বীদা থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ ও ওয়াজিব !!
তবে ভালো লক্ষন সম্পর্কে ধরনা করার সুযোগ রয়েছে। বরং ভালো লক্ষন ধারনা মুস্তাহাব সুন্নত॥এ প্রসঙ্গে হাদীস বর্নিত আছে —
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি শুনেছি যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ” কোন বিষয়কে অশুভ কুলক্ষণে মনে করো না , তবে শুভ লক্ষন আছে। ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন আরজ করলেন, শুভ লক্ষন কি ? তখন তিনি বললেন, উত্তম কথা, যা তোমাদের মধ্যে হতে কেউ শুনতে পায় !”
[ বুখারী শরীফ; মুসলিম শরীফ – কিতাবুস সালাম- ৩৩ নং অনুচ্ছেদ- হাদীস ৫৬০৪]
তবে ভালো লক্ষন সম্পর্কে ধরনা করার সুযোগ রয়েছে। বরং ভালো লক্ষন ধারনা মুস্তাহাব সুন্নত॥এ প্রসঙ্গে হাদীস বর্নিত আছে —
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি শুনেছি যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ” কোন বিষয়কে অশুভ কুলক্ষণে মনে করো না , তবে শুভ লক্ষন আছে। ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমগন আরজ করলেন, শুভ লক্ষন কি ? তখন তিনি বললেন, উত্তম কথা, যা তোমাদের মধ্যে হতে কেউ শুনতে পায় !”
[ বুখারী শরীফ; মুসলিম শরীফ – কিতাবুস সালাম- ৩৩ নং অনুচ্ছেদ- হাদীস ৫৬০৪]
No comments:
Post a Comment