জন্মদিন পালন করা কি ইসলাম সম্মত ???
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ আমাদের সমাজে জন্মদিন পালন একটি ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ ইসলামে জন্মদিন পালন করা সম্পূর্ন হারাম। ইসলামে জন্মদিন পালন বলতে কিছুই নেই। শুধু জন্মদিন নয়, কোন ম্যারিজ ডে, মৃত্যুদিবস ইত্যাদি যা-ই হোক না কেন, কোন দিবস-ই পালন করা জায়েজ নয়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ আমাদের সমাজে জন্মদিন পালন একটি ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ ইসলামে জন্মদিন পালন করা সম্পূর্ন হারাম। ইসলামে জন্মদিন পালন বলতে কিছুই নেই। শুধু জন্মদিন নয়, কোন ম্যারিজ ডে, মৃত্যুদিবস ইত্যাদি যা-ই হোক না কেন, কোন দিবস-ই পালন করা জায়েজ নয়।
===========
প্রথম কারনঃ
===========
এই সমস্ত দিবস পালনের মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করা হয়। আর সমস্ত কল্যাণের মালিক একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীন। তাই মহান রাব্বুল আলামীন যা নির্ধারণ করেননি তা কোন ভাবেই কেউ অর্জন করতে পারবে না। যদি কোন দিনকে কল্যাণের আশায় পালন করা হয় তবে শির্ক হবে।
_____________________
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- অশুভ আলামত বা দুর্ভাগ্যের ধারণা যে ব্যক্তিকে তার স্বীয় প্রয়োজন, দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে দূরে রাখল সে মূলত শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদঃ ২/২২০)
_____________________
আর যদি কেউ বলে- কল্যাণ কামনার জন্য আমরা এই সমস্ত দিবস পালন করি না। তাহলে তাদের নিকটে প্রশ্ন- কেন তাহলে এই সমস্ত দিবস পালন করেন ?? একটাই উত্তর আসবে- বিজাতীয় সংস্কৃতি দেখে তাদের অনুকরন করে।
_____________________
আর রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১)।
_____________________
অর্থাৎ জন্মদিন পালন করার অর্থ হচ্ছে আপনি খ্রিষ্টানদের অনুসরন করছেন। কারণ তারাই প্রথম যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিন পালন করা শুরু করেছে এবং এখনো করে। আর আপনি তাদের অনুসরন করে নিজের জায়গা জাহান্নামে করে নিচ্ছেন, না জেনে-না বুঝেই!
প্রথম কারনঃ
===========
এই সমস্ত দিবস পালনের মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করা হয়। আর সমস্ত কল্যাণের মালিক একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীন। তাই মহান রাব্বুল আলামীন যা নির্ধারণ করেননি তা কোন ভাবেই কেউ অর্জন করতে পারবে না। যদি কোন দিনকে কল্যাণের আশায় পালন করা হয় তবে শির্ক হবে।
_____________________
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- অশুভ আলামত বা দুর্ভাগ্যের ধারণা যে ব্যক্তিকে তার স্বীয় প্রয়োজন, দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে দূরে রাখল সে মূলত শির্ক করল। (মুসনাদে আহমাদঃ ২/২২০)
_____________________
আর যদি কেউ বলে- কল্যাণ কামনার জন্য আমরা এই সমস্ত দিবস পালন করি না। তাহলে তাদের নিকটে প্রশ্ন- কেন তাহলে এই সমস্ত দিবস পালন করেন ?? একটাই উত্তর আসবে- বিজাতীয় সংস্কৃতি দেখে তাদের অনুকরন করে।
_____________________
আর রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১)।
_____________________
অর্থাৎ জন্মদিন পালন করার অর্থ হচ্ছে আপনি খ্রিষ্টানদের অনুসরন করছেন। কারণ তারাই প্রথম যীশুখ্রিষ্টের জন্মদিন পালন করা শুরু করেছে এবং এখনো করে। আর আপনি তাদের অনুসরন করে নিজের জায়গা জাহান্নামে করে নিচ্ছেন, না জেনে-না বুঝেই!
===========
দ্বিতীয় কারনঃ
===========
ইসলামে দুটি দিবস ব্যতীত অন্য তৃতীয় কোন দিবস পালন করা তো এমনেতেই নিষেধ।
_____________________
আনাস (রা) বলেন, "রাসুল (সা) মদীনায় আগমন করে দেখলেন যে, মদীনাবাসীরা দুটি ঈদ (আনন্দের দিন) পালন করছে ৷ তা দেখে রাসূল (সা) বললেন, জাহীলিয়াতের যুগে তোমাদের দুটি দিন ছিল যাতে তোমরা খেলাধূলা, আনন্দ-ফুর্তি করতে এখন ঐ দিনগুলির পরিবর্তে আল্লাহ্
তোমাদেরকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন। (আবূ দাউদ: ১০০৪, নাসাই: ১৫৫৫ হাদীস সহীহ)
_____________________
যেহেতু আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) মানব রচিত দিনগুলোর পরিবর্তন করে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন তাই অন্য যে কোন দিবস পালন করা এমনেতেই বাতিল হয়ে যায়।
_____________________
তাই কোন মুসলিমদের জন্য অন্য কোন প্রকার দিবস পালন করা বৈধ নয়, হোক সেটা জন্মদিন, শোক দিবস, মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস, নববর্ষ ইত্যাদি যা-ই হোক না কেন, তা পালন করা যাবে না।
============
আর তৃতীয় কারনঃ
============
এই ধরণের যত প্রকার দিবস রয়েছে সেগুলোর কোনটাই মুসলিমদের সংস্কৃতি নয়। যদি এগুলো মুসলিমদের সংস্কৃতি হত তবে এগুলো সাহাবাদের যুগ থেকেই পালিত হয়ে আসতো। তাই যেহেতু এগুলো মুসলিমদের সংস্কৃতি নয় তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে এগুলো কাফের-মুশরিক বিজাতীয়দের সংস্কৃতি থেকে এসেছে।
_____________________
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি মুশরিকদের দেশে বাড়ী তৈরি করল, তাদের উৎসব দিবস পালন করল এবং এ অবস্থায় মারা গেল তবে তার হাশর তাদের সাথেই হবে। (সূনানে বাইহাকীঃ ২৩৪)
_____________________
নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি বিজাতির তরীকা অনুযায়ী আমল করে, সে আমাদের কেউ নয়।” (ত্বাবারানী, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪নং)
“আমাদের তরীকা ওদের (মুশরিকদের) তরীকা থেকে ভিন্ন।”(বাইহাকী ৫/১২৫, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪)
_____________________
সাওবান (রা:) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "আমি সবচেয়ে যাদের বেশী ভয় করি তারা হচ্ছে নেতা ও এক শ্রেনীর আলেম সমাজ। অচিরেই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে। আর অতি শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক বিজাতিদের সাথে মিশে যাবে।" [ইবনে মাজাহঃ ৩৯৫২। হাদ সহি]
_____________________
আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। নাবী (স.) বলেছেন, “অবশ্য অবশ্যই তোমরা তোমাদের আগের লোকদের নীতি-পদ্ধতিকে বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তে ঢুকে, তাহলে তোমরাও তাদের অনুকরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল (স.)! এরা কি ইয়াহুদী ও নাসারা? তিনি (স.) বললেন, আর কারা?” –[সহীহুল বুখারী ৭৩২]
দ্বিতীয় কারনঃ
===========
ইসলামে দুটি দিবস ব্যতীত অন্য তৃতীয় কোন দিবস পালন করা তো এমনেতেই নিষেধ।
_____________________
আনাস (রা) বলেন, "রাসুল (সা) মদীনায় আগমন করে দেখলেন যে, মদীনাবাসীরা দুটি ঈদ (আনন্দের দিন) পালন করছে ৷ তা দেখে রাসূল (সা) বললেন, জাহীলিয়াতের যুগে তোমাদের দুটি দিন ছিল যাতে তোমরা খেলাধূলা, আনন্দ-ফুর্তি করতে এখন ঐ দিনগুলির পরিবর্তে আল্লাহ্
তোমাদেরকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন। (আবূ দাউদ: ১০০৪, নাসাই: ১৫৫৫ হাদীস সহীহ)
_____________________
যেহেতু আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) মানব রচিত দিনগুলোর পরিবর্তন করে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন তাই অন্য যে কোন দিবস পালন করা এমনেতেই বাতিল হয়ে যায়।
_____________________
তাই কোন মুসলিমদের জন্য অন্য কোন প্রকার দিবস পালন করা বৈধ নয়, হোক সেটা জন্মদিন, শোক দিবস, মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস, নববর্ষ ইত্যাদি যা-ই হোক না কেন, তা পালন করা যাবে না।
============
আর তৃতীয় কারনঃ
============
এই ধরণের যত প্রকার দিবস রয়েছে সেগুলোর কোনটাই মুসলিমদের সংস্কৃতি নয়। যদি এগুলো মুসলিমদের সংস্কৃতি হত তবে এগুলো সাহাবাদের যুগ থেকেই পালিত হয়ে আসতো। তাই যেহেতু এগুলো মুসলিমদের সংস্কৃতি নয় তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে এগুলো কাফের-মুশরিক বিজাতীয়দের সংস্কৃতি থেকে এসেছে।
_____________________
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি মুশরিকদের দেশে বাড়ী তৈরি করল, তাদের উৎসব দিবস পালন করল এবং এ অবস্থায় মারা গেল তবে তার হাশর তাদের সাথেই হবে। (সূনানে বাইহাকীঃ ২৩৪)
_____________________
নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি বিজাতির তরীকা অনুযায়ী আমল করে, সে আমাদের কেউ নয়।” (ত্বাবারানী, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪নং)
“আমাদের তরীকা ওদের (মুশরিকদের) তরীকা থেকে ভিন্ন।”(বাইহাকী ৫/১২৫, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪)
_____________________
সাওবান (রা:) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "আমি সবচেয়ে যাদের বেশী ভয় করি তারা হচ্ছে নেতা ও এক শ্রেনীর আলেম সমাজ। অচিরেই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে। আর অতি শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক বিজাতিদের সাথে মিশে যাবে।" [ইবনে মাজাহঃ ৩৯৫২। হাদ সহি]
_____________________
আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। নাবী (স.) বলেছেন, “অবশ্য অবশ্যই তোমরা তোমাদের আগের লোকদের নীতি-পদ্ধতিকে বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে অনুকরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তে ঢুকে, তাহলে তোমরাও তাদের অনুকরণ করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল (স.)! এরা কি ইয়াহুদী ও নাসারা? তিনি (স.) বললেন, আর কারা?” –[সহীহুল বুখারী ৭৩২]
=========================
এরপরেও কি আমরা সতর্ক হবো না??
=========================
একবার ভেবে দেখুন তো, জন্মদিন পালন করলে কিয়ামতের দিন কাদের সাথে আপনার হাশর হবে ??? আপনি কাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন???
নিঃশ্চয় বিধর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন ।। আর বিধর্মীদের দলভুক্ত হলে আপনার ঠিকানা অবশ্যই জাহান্নামের জালানি ।।
_____________________
তাই সবার প্রতি অনুরোধ! আমরা বিধর্মীদের অনুসরন না করে যেন একজন মুসলমান হিসেবে রসূলুল্লাহ ( সঃ) - এর অনুসরন করি। আমরা যেন দুনিয়ার ধোকায় পড়ে নিজেকে জাহান্নামের জালানি না বানাই।
_____________________
আল্লাহ তায়ালা বলেন---" তোমাদের জন্য রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" [ সূরা আহযাব, আয়াত নং- ২১ ]
_____________________
তাই আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিজাতীয়দের সংস্কৃতি বর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। অতএব মুসলিমরা যদি জান্নাতের আশা করে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে চায় তবে তারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের দিকে ফিরে আসুক।
_____________________
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে পূর্ন হেদায়েত দান করুন, পরিপূর্ণ রূপে ইসলাম মেনে চিরস্থায়ী সুখের জান্নাত দান করুন ।।
এরপরেও কি আমরা সতর্ক হবো না??
=========================
একবার ভেবে দেখুন তো, জন্মদিন পালন করলে কিয়ামতের দিন কাদের সাথে আপনার হাশর হবে ??? আপনি কাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন???
নিঃশ্চয় বিধর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন ।। আর বিধর্মীদের দলভুক্ত হলে আপনার ঠিকানা অবশ্যই জাহান্নামের জালানি ।।
_____________________
তাই সবার প্রতি অনুরোধ! আমরা বিধর্মীদের অনুসরন না করে যেন একজন মুসলমান হিসেবে রসূলুল্লাহ ( সঃ) - এর অনুসরন করি। আমরা যেন দুনিয়ার ধোকায় পড়ে নিজেকে জাহান্নামের জালানি না বানাই।
_____________________
আল্লাহ তায়ালা বলেন---" তোমাদের জন্য রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।" [ সূরা আহযাব, আয়াত নং- ২১ ]
_____________________
তাই আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিজাতীয়দের সংস্কৃতি বর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। অতএব মুসলিমরা যদি জান্নাতের আশা করে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে চায় তবে তারা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের দিকে ফিরে আসুক।
_____________________
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে পূর্ন হেদায়েত দান করুন, পরিপূর্ণ রূপে ইসলাম মেনে চিরস্থায়ী সুখের জান্নাত দান করুন ।।
No comments:
Post a Comment