তাবলিগ জামাতের মুল পাঠ্যসূচিতে কবর পুজার শিক্ষা:
''মিশরে একজন নেক বখত লোক ছিলেন। অভাবগ্রস্ত হইয়া কোন এক লোক তাহার নিকট আসিলে তিনি চাঁদা উসুল করিয়া তাহাকে দিয়া দিতেন। একদা জনৈক ফকির তাহার নিকট আসিয়া বলিল আমার একটা ছেলে হইয়াছে, তাহার এছলাহের ব্যবস্থার জন্য আমার নিকট কিছুই নাই। এই ব্যাক্তি উঠিল ও ফকিরকে অনেক লোকের নিকট লইয়া গিয়াও ব্যর্থ হইয়া ফিরিল। অবশেষে নৈরাশ হইয়া একজন দানবীর ব্যাক্তির কবরের নিকট গিয়া সমস্ত কথা তাহাকে শুনাইল। রাত্রি বেলায় সেই লোকটি কবরওয়ালাকে স্বপ্নে দেখিল যে, সে বলিতেছে ‘’আমি তোমার যাবতীয় অভিযোগ শুনিয়াছি কিন্তু বলিবার অনুমতি দেওয়া হয় নাই। তুমি আমার ঘরে গিয়া পরিবারস্থ লোকদিগকে বল ঘরের অমুক অংশে যেখানে চুলা রহিয়াছে, উহার নিচে একটা চিনা বরতনে পাঁচশত আশরাফী রহিয়াছে তাহারা যেন উঠাইয়া সেই ফকিরকে দিয়া দেয়। (সংক্ষিপ্ত)
ফাজায়েলে সাদাকাত- জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক ছাখাওয়াত উল্লাহ; ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নঃ ৩২২; তাবলিগী কুতুবখানা ১৪২৬ হিজরী
ফাজায়েলে সাদাকাত- জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক ছাখাওয়াত উল্লাহ; ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নঃ ৩২২; তাবলিগী কুতুবখানা ১৪২৬ হিজরী
এই ঘটনা দিয়ে জাকারিয়া সাহেব কি বুঝাতে চাচ্ছেন? এই ঘটনা দিয়ে আমরা যা বুঝি তা এই যে, যখন জীবিতদের থেকে নিরাশ হয়ে যাবে আর কোথাও কিছু না পাবে, তখন কোন দানশীল ব্যক্তির কবরে গিয়ে তোমার সমস্ত পেরেশানির কথা বর্ণনা কর। কারন দানশীল ব্যক্তি মৃত্যুর পরেও শুনতে পায় এবং তোমার আহবানে সারা দিতে সক্ষম। (নাউজুবিল্লাহ)
খণ্ডন ঃ
মৃত ব্যাক্তি জীবিতদের বিপদে সাহায্য-সহযোগিতা করতে সক্ষম নয়। কোন ব্যাক্তি যদি কারো কবর বা তথাকথিত মাযারে গিয়ে অথবা না গিয়ে মৃত ব্যাক্তির কাছে কিছু কামনা করা শিরকে আকবর। যা সেই ব্যাক্তিকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। যে ব্যাক্তি এমনটি করবে সে অবশ্যই কাফির ও মুশরিক হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
‘’আল্লাহ্ ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা কিছুই সৃষ্টি করে না, তারা নিজেরাই সৃষ্ট। তারা প্রানহীন, জীবিত নয়, তাদের কোনই চেতনা নেই কবে তাদেরকে (কিয়ামতের মাঠে পুনর্জীবিত করে) উঠান হবে'' নাহাল ২০-২১
''তার চেয়ে অধিক গুমরাহ আর কে, যে আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের ডাকে সাড়া দিবে না, এমনকি তাদের ডাকাডাকি সম্পরকেও তারা একদম বেখবর'' আহকাফ ৫
অথচ আমরা প্রত্যেক নামাযে আল্লাহ্ কে উদ্দেশ্য করে বলিঃ
আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি আর কেবলমাত্র তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি'' ফাতিহা ৫
আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি আর কেবলমাত্র তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি'' ফাতিহা ৫
‘’আল্লাহ্ই একমাত্র আশ্রয়স্থল’’
ইউসুফ ১৮/ কাহাফ ২৭/ জিন্ন ২১/
ইউসুফ ১৮/ কাহাফ ২৭/ জিন্ন ২১/
আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউ সাহায্য করতে অক্ষমঃ
''আল্লাহ্ ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তোমার মতই বান্দাহ''
আরাফ ১৯০
''আল্লাহ্ ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তোমার মতই বান্দাহ''
আরাফ ১৯০
''আল্লাহ্কে ছাড়া তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তোমাদেরকে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না, এমনকি তারা নিজেদেরকেও সাহায্য করতে পারে না'' আরাফ ১৯৭
''আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে আহবান করো না এমন কিছুকে যা না পারে তোমার কোন উপকার করতে , আর না পারে কোন ক্ষতি করতে'' ইউনুস ১০৬
''সত্যিকার আহবান-প্রার্থনা তাঁরই প্রাপ্য, যারা তাঁকে ছাড়া অন্যকে ডাকে, তারা তাদের কোনই জবাব দেয় না'' রা’দ ১৪
''তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে করো তাদেরকে ডাক, (ডাকলেও দেখতে পাবে) তারা তোমাদের দুঃখ-বেদনা দূর করতে সক্ষম নয়'' ইসরা আয়াত ৫৬
''আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে সে এমন কিছুকে ডাকে যা না পারে তার কোন ক্ষতি করতে আর না পারে কোন উপকার করতে; এটাই চরম আকারের গুমরাহী'' হাজ্জ ১২
''আল্লাহ্- তিনিই সত্য, আর তাঁকে বাদ তারা অন্য যাকে ডাকে তা অলীক, অসত্য; আর আল্লাহ্- তিনি তো সর্বচ্চ, সুমহান'' হাজ্জ ৬২
''হে মানুষ!একটা দৃষ্টান্ত পেশ করা হচ্ছে, সেটা মনযোগ দিয়ে শোন। আল্লাহ্র পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক তার একটা মাছিও সৃষ্টি করতে পারে না, এজন্য তারা সবাই একত্রিত হলেও। আর মাছি যদি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়, তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধারও করতে পারে না। প্রার্থনাকারী আর যার কাছে প্রার্থনা করা হয় উভয়ই দুর্বল'' হাজ্জ ৭৩
''আল্লাহ্ই সত্য এবং তাঁর পরিবর্তে তারা যাকে ডাকে তা মিথ্যা'' লুকমান ৩০
''আল্লাহ্র পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক তারা তো খেজুরের আটি সংলগ্ন (অত্যন্ত পাতলা ও দুর্বল) আবরণেরও মালিক নয়। তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনবে না, আর যদি শুনেও, তবুও তোমাদের ডাকে সাড়া দিতে পারবে না'' ফাতির ১৩-১৪
''তোমরা কি চিন্তা করে দেখেছ, আল্লাহ্ তোমার ক্ষতি করতে চাইলে আল্লাহ্র পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা কি সেই ক্ষতি দূর করতে পারবে?
যুমার ৩৮
যুমার ৩৮
''চিরঞ্জীব তিনি, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আনুগত্যকে বিশুদ্ধ করে একমাত্র তাঁকেই ডাক'' মুমিন ৬৫
হে আমার মুসলিম ভাই! হৃদয়ের সমস্ত সংকীর্ণতা দূর করে এবং হৃদয়কে উদার করে নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করো, তাহলে ইনশাআল্লাহ দেখতে পাবে তাবলিগ জামাতের কিতাবে প্রায় প্রত্যেক পাতায় শিরক ও কুফরি বিদ্যমান। এতগুলো স্পষ্ট আয়াত থাকার পরও কারো হয়তো অনেকের বিরোধিতা থাকবেই। তাদের উদ্দেশে বলছি ‘’তারা কি আল্লাহ্র দ্বীন ছাড়া অন্য দ্বীনের সন্ধান করছে?’’ সুরা আলে ইমরান আয়াত ন; ৮৩
No comments:
Post a Comment