প্রশ্নঃ অজুতে মাথা কি ১ বার না ৩ বার মাসেহ করতে হয় আর তা কি পুরা মাথা নাকি এক চতুর্থাংশ, দয়া করে সহি হাদিস দিয়ে জানাবেন।
---
উত্তর-অজুতে মাথা মাসাহ করার সঠিক নিয়মঃ
ইমানের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো “সালাত” বা নামায। অথচ, আমাদের ব্যক্তিগত উদাসীনতা, স্বল্পশিক্ষিত হুজুর আর “নূরানী নামায শিক্ষা” নামক বইয়ের ভুল শিক্ষার কারণে সালাতে আমাদের মাঝে কত ভুল বিদ্যমান। মাথা মাসাহ করা নিয়ে আমাদের মাঝে যে ভুল গুলো প্রচলিত সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
---
উত্তর-অজুতে মাথা মাসাহ করার সঠিক নিয়মঃ
ইমানের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো “সালাত” বা নামায। অথচ, আমাদের ব্যক্তিগত উদাসীনতা, স্বল্পশিক্ষিত হুজুর আর “নূরানী নামায শিক্ষা” নামক বইয়ের ভুল শিক্ষার কারণে সালাতে আমাদের মাঝে কত ভুল বিদ্যমান। মাথা মাসাহ করা নিয়ে আমাদের মাঝে যে ভুল গুলো প্রচলিত সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
#প্রথম কথা হলো, মাথা মাসাহ করতে হবে একবার, তিনবার না।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ওযুর অংগসমূহ কখনো একবার, কখনো দুইবার আবার কখনও তিনবারও ধৌত করতেন। কিন্তু মাথা মাসাহ করতেন একবার।
(দেখুন মিশকাত, হাঃ ৩৯৩-৩৯৪)
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ওযুর অংগসমূহ কখনো একবার, কখনো দুইবার আবার কখনও তিনবারও ধৌত করতেন। কিন্তু মাথা মাসাহ করতেন একবার।
(দেখুন মিশকাত, হাঃ ৩৯৩-৩৯৪)
#দ্বিতীয়ত, মাথা মাসাহ করার সময় ঘাড় মাসাহ করা বেদাত। ইমাম আন-নববী (রহঃ) বলেন, “এ ব্যপারে হাদীস জাল ও এটা করা সুন্নত নয় বেদাত।
নায়লুল আওতার ১/১৬৩ পৃষ্ঠা, মাজমু ফাতওয়া ১/৫৬, যাদুল মায়াদ ১/১৮৭।
রাসুল (সাঃ) কখনোই ঘাড় মাসাহ করতেন না, তাই ঘাড় মাসাহ করা রাসুল (সাঃ) তরীকার বিরোধী যা নিঃসন্দেহে পরিত্যাজ্য।
নায়লুল আওতার ১/১৬৩ পৃষ্ঠা, মাজমু ফাতওয়া ১/৫৬, যাদুল মায়াদ ১/১৮৭।
রাসুল (সাঃ) কখনোই ঘাড় মাসাহ করতেন না, তাই ঘাড় মাসাহ করা রাসুল (সাঃ) তরীকার বিরোধী যা নিঃসন্দেহে পরিত্যাজ্য।
#তৃতীয় ভুলঃ নূরানী নামায শিক্ষা বা মকসুদুল মুমিনীন এই সমস্ত বইয়ে একটা কথা লেখা থাকে, মাথার চার ভাগের এক ভাগ বা তিন ভাগের এক ভাগ মাসাহ করা ফরয। এই কথার কোনো ভিত্তি নেই, বরং রাসুল (সাঃ) সমস্ত মাথাই মাসাহ করতেন। সুতরাং সমস্ত মাথা মাসাহ করাই ফরয।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যেভাবে মাথা মাসাহ করতেনঃ
তিনি (সাঃ) দুই হাতের ভেজা আংগুল দিয়ে মাথার সামনে হতে পেছনে ও পুনরায় পেছন থেকে সামনে বুলিয়ে পুরো মাথা একবার মাসাহ করতেন। একই সাথে ভেজা শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে কানের ভেতর অংশ এবং বুড়ো আংগুল দিয়ে কানের বাইরের অংশ মাসাহ করতেন।
মনে রাখবেন, মাথায় পাগড়ি/স্কার্ফ থাকলে পাগড়ির উপরে ভেজা হাত দিয়ে সমস্ত মাথা মাসাহ করে নিতে হবে।এর জন্য মোজার মত ওযু অবস্থায় পাগড়ী /স্কার্ফ পড়া জরুরী না।
তিনি (সাঃ) দুই হাতের ভেজা আংগুল দিয়ে মাথার সামনে হতে পেছনে ও পুনরায় পেছন থেকে সামনে বুলিয়ে পুরো মাথা একবার মাসাহ করতেন। একই সাথে ভেজা শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে কানের ভেতর অংশ এবং বুড়ো আংগুল দিয়ে কানের বাইরের অংশ মাসাহ করতেন।
মনে রাখবেন, মাথায় পাগড়ি/স্কার্ফ থাকলে পাগড়ির উপরে ভেজা হাত দিয়ে সমস্ত মাথা মাসাহ করে নিতে হবে।এর জন্য মোজার মত ওযু অবস্থায় পাগড়ী /স্কার্ফ পড়া জরুরী না।
No comments:
Post a Comment