Wednesday, November 4, 2015

প্রেম ভালোবাসা‬, ‪পরকীয়া‬, ‪যিনা ব্যভিচার‬




____________
মহা জ্ঞানী স্রষ্টা আপনার চাইতে কম বুঝেন?
তিনি তো না বুঝেই এই সম্পর্ক গুলো
হারাম করেন নাই।
____________
তিনি যা হারাম করছেন তা আপনার যুক্তি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা
করা আর তলোয়ার দিয়ে সাগরের পানি দুইভাগ করার চেষ্টা করা,
একই রকম বোকামি।
____________
•শালী কখনো বোন হতে পারে না–
আড়ালে একা থাকলে বুঝবেন।
____________
•দেবর কখনো ভাই হতে পারে না –
একটু চান্স দিলেই বুঝবেন।
____________
•কাজিন কখনো আপনার মায়ের
সন্তান হতে পারে না – হাতে হাত
রাখলে বুঝবেন।
____________
•বিপরীত লিংগের ফ্রেন্ড কখনো
হালাল হয় না – চোখ কান খোলা
রাখলে বুঝবেন।
____________
•ধর্মের ভাই-বোন,মা- বাপ বলতে
কিছু নাই – স্বার্থের পরীক্ষায়
পড়লে বুঝবেন।
____________
এগুলো শুধুমাত্র শয়তানের কৌশল
ব্যাতিত কিছুই না।
আপনার মন মতো যুক্তি দিয়ে হারামকে
হালাল বানিয়ে আপনি আপনার
জাহান্নাম ঠেকাতে
পারবেন না।
____________
শয়তান আপনাকে দিয়ে প্রথমেই হারাম
কাজ করাবে না, সে ধীরে ধীরে
আপনাকে পাপের পথে ঠেলে দিবে।
____________
আল্লাহকে ভয় করুন,
হারাম হালাল মেনে চলুন।
____________
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ " তোমরা যিনার কাছেও যেওনা, কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ। (সুরা বনী ইসরাঈলঃ ৩২)
____________
রাসুল সাঃ বলেছেন, যেনাকার এবং যেনাকারিণী কেয়ামত পর্যন্ত উলঙ্গ অবস্থায় আগুনে জ্বলতে থাকবে। (বুখারীঃ ৪৬২১)
_________________
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা, খারাপ কথা শোনা কানের যিনা আর যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়।
__________
সহীহ আল-বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসায়ী।
____________
রাসুল সাঃ বলেছেন, কেয়ামতের লক্ষণ হচ্ছে মুসলমান সমাজের মধ্যেই যিনা-ব্যভিচার ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে, এমনকি মানুষ পশুর মতোই প্রকাশ্যে যিনাতে লিপ্ত হবে।
____________
রাসুল সাঃ আরো বলেছেন, "জিনাকারী যখন জিনা করে তখন তার ঈমান থাকেনা"। "জিনাকারী যখন যিনায় লিপ্ত থাকে তখন তার থেকে ঈমান উঠিয়ে নেওয়া হয়, যা আকাশে মেঘের মতো ভাসতে থাকে।" সে যখন যিনা থেকে ফিরে আসে তখন তার ঈমান ফেরত দেওয়া হয়। (আবু দাউদ, হাদীস সহীহ, শায়খ আলবানি)
____________
নারী ও পুরুষদের জন্য মাহরাম বলা হচ্ছে তাদেরকে, যাদের একে অপরের সহিত বিবাহ বন্ধন হারাম এবং তাদের পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ জায়েয। আর এই মাহরামগণ ব্যতীত অন্যদের সহিত অপ্রয়োজনীয় দেখা-সাক্ষাৎ, আড্ডা বা বাইরে-ভ্রমনে বের হওয়া ইসলামী শরীয়ত আনুযায়ি নিষেধ।
____________
হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাদেরকে হেদায়াত দান করুন এবং এইসব নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার তৌফীক দান করুন।
আমীন।


No comments:

Post a Comment