Sunday, November 8, 2015

মেয়ের অভিভাবকরা একটু পড়ে দেখবেন কি?




আসসালামুআলাইকুম।
মেয়ের অভিভাবকরা একটু পড়ে দেখবেন কি?
-----------------
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ، فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ
হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের দায়িত্ব পালন করার যোগ্যতা রাখে, তাদের উচিত বিবাহ করা। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাযত রাখে। আর যে বিবাহের দায়িত্ব পালন করার যোগ্যতা না রাখে, তার উচিত সিয়াম পালন করা। (সহীহুল বুখারী: ৫০৬৫, ৫০৬৬, ও সহীহ মুসলিম: ৩২৮৯, ৩২৯১)
আপনি বিয়ে করতে পারছেন না কিংবা মেয়ের অভিভাবক চিন্তা করছে এই ছেলে মেয়েকে খাওয়াবে কি? মনে হচ্ছে যেন রিযিকের দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবকের। রিযিকের দায়িত্ব আপনার বা মেয়ের অভিভাবকের না; রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর। আল্লাহ বলেন-
وَأَنْكِحُوا الأيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিতদের তোমরা বিবাহ দাও আর তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল তাদেরও; যদি তারা অভাবগ্রস্ত হয় তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন; এবং আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (আন-নূর, ২৪/৩২)
আল্লাহ বলছেন, “যদি তারা অভাবগ্রস্ত হয় তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন”; তার মানে রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর। আসলে আল্লাহর উপরে আপনাদের ভরসা নেই। যদি আল্লাহর উপর ভরসা থাকতো তাহলে এইসব চিন্তা করতেন না। দেখুন কতগুলি আয়াতে আল্লাহ বলছেন- وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
আর মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপরই ভরসা করা। (৩/১২২, ১৬০, ৫/১১, ৯/৫১, ১৪/১১, ৫৮/১০, ৬৪/১৩)
তাই যদি মুমিন হন তাহলে আল্লাহর উপর ভরসা করুন আর এইসব ফালতু চিন্তা বাদ দিন এবং দ্বীনদার ছেলের সাথে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন।

No comments:

Post a Comment