“মানুষ হয়েও যারা পশুর মতো”
দুনিয়াপূজারী, প্রবৃত্তির অনুসারী লোকেরা, যারা ক্বুরানুল কারীমের আয়াতের অনুসরণ করেনা, তাদের উপমা হচ্ছে “পিপাসায় হাঁপানো কুকুরের” মতো।
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা বলেন, “অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে (ক্বুরানের) এই আয়াতসমূহ দিয়ে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম। কিন্তু সে এই দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হলো এবং নিজের প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তাহলে সে জিহবা বের করে হাঁপাবে, আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবুও সে হাঁপাবে। এ হল সেসমস্ত লোকদের উদাহরণ; যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে। অতএব, আপনি তাদের কাছে এই কাহিনীগুলো বর্ণনা করে দিন, যাতে করে তারা এইগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে।” [সুরা আল-আ'রাফঃ আয়াত ১৭৬]
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা বলেন, “অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে (ক্বুরানের) এই আয়াতসমূহ দিয়ে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম। কিন্তু সে এই দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হলো এবং নিজের প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তাহলে সে জিহবা বের করে হাঁপাবে, আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবুও সে হাঁপাবে। এ হল সেসমস্ত লোকদের উদাহরণ; যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে। অতএব, আপনি তাদের কাছে এই কাহিনীগুলো বর্ণনা করে দিন, যাতে করে তারা এইগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে।” [সুরা আল-আ'রাফঃ আয়াত ১৭৬]
যে সমস্ত লোকেরা আল্লাহর কথা, নবী-রাসুলদের কথা শোনেনা এবং মানেওনা, তাদের উপমা হচ্ছে “চতুষ্পদ জন্তুর” মত।
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেন, “আর আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তার দ্বারা তারা চিন্তা-ভাবনা করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা দেখেনা, আর তাদের কান আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চাইতেও নিকৃষ্টর। তারাই হল উদাসীন ও শৈথিল্যপরায়ণ।” [সুরা আল-আ’রাফঃ আয়াত ১৭৯]
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেন, “আর আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তার দ্বারা তারা চিন্তা-ভাবনা করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা দেখেনা, আর তাদের কান আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চাইতেও নিকৃষ্টর। তারাই হল উদাসীন ও শৈথিল্যপরায়ণ।” [সুরা আল-আ’রাফঃ আয়াত ১৭৯]
আসমানী কিতাব যাদেরকে দেওয়া হয়েছে (ইহুদীদেরকে তাওরাত, নাসারাদেরকে ইঞ্জিল এবং মুসলিমদেরকে ক্বুরআ’ন), তাদের মধ্য থেকে যারা কিতাবের যথাযথ অনুসরণ করেনা, তাদের উপমা হচ্ছে “পুস্তক বহনকারী গাধার” মতো।
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেন, “যাদেরকে তওরাত দেওয়া হয়েছিল, অতঃপর তারা তার অনুসরণ করেনি, তাদের উপমা হচ্ছে সেই গাধার মতো, যে পুস্তক বহন করে (কিন্তু সেই পুস্তকের জ্ঞান তার কোন উপকারে আসেনা), যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তাদের উপমা কত নিকৃষ্ট! আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।” [সুরা আল-জুমুয়া’হঃ আয়াত ৫]
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেন, “যাদেরকে তওরাত দেওয়া হয়েছিল, অতঃপর তারা তার অনুসরণ করেনি, তাদের উপমা হচ্ছে সেই গাধার মতো, যে পুস্তক বহন করে (কিন্তু সেই পুস্তকের জ্ঞান তার কোন উপকারে আসেনা), যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে, তাদের উপমা কত নিকৃষ্ট! আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।” [সুরা আল-জুমুয়া’হঃ আয়াত ৫]
কুরআন হাদীস না মেনে, হালাল হারাম পার্থক্য না করে যে ব্যক্তি শুধুমাত্র নিজের ‘হাওয়া’ বা কামনা-বাসনা ও কুপ্রবৃত্তি দ্বারা পরিচালিত হবে তার উপমা হচ্ছে চতুষ্পদ জন্তুর মতো নির্বোধ, যারা উত্তম কথা শুনেওনা, বুঝেওনা। মহান আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেন, “আপনি কি তাকে দেখেন না, যে ব্যক্তি তার প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন? আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ কথা শোনে অথবা বুঝতে পারে? তারা তো চতুষ্পদ জন্তুর মতোই; বরং তার চাইতেও পথভ্রষ্ট।” [সুরা আল-ফুরক্বানঃ আয়াত ৪৩-৪৪]
No comments:
Post a Comment