বিশ্বপ্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামীন সৃষ্টিলোককে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন কেবল একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, আর তা হচ্ছে তাঁর দাসত্ব ও গোলামী করা। এ দাসত্ব অনেক ভাবেই হয়ে থাকে। যেমনঃ নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, দান-সাদকাহ, কুরবানী ইত্যাদি।
___________________
এ গুলোর মধ্যে সর্বত্তোম ইবাদত হল নামায। নাযাম পড়ার জন্য প্রয়োজন পবিত্রতা অর্জন করা। পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহ তাআলার কাছে নামায গৃহীত হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
ﻻَ ﻳَﻘْﺒَﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺻَﻼَﺓَ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺣْﺪَﺙَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄَ
আল্লাহ তাআলা তোমাদের কারও নামায গ্রহণ করবেন না, যখন সে অপবিত্র হয়ে যায়,যতক্ষন না সে অযু করে। (বুখারী ও মুসলিম)
___________________
এ গুলোর মধ্যে সর্বত্তোম ইবাদত হল নামায। নাযাম পড়ার জন্য প্রয়োজন পবিত্রতা অর্জন করা। পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহ তাআলার কাছে নামায গৃহীত হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
ﻻَ ﻳَﻘْﺒَﻞُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺻَﻼَﺓَ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺣْﺪَﺙَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄَ
আল্লাহ তাআলা তোমাদের কারও নামায গ্রহণ করবেন না, যখন সে অপবিত্র হয়ে যায়,যতক্ষন না সে অযু করে। (বুখারী ও মুসলিম)
------------------------
►►ওযুর ফজিলত
------------------------
১) আল্লাহ তাআলার ভালবাসা লাভঃ অযু /ওযু হল পবিত্রতা, আর পবিত্রতা অর্জনকারীকে আল্লাহ তাআলা ভালবাসেন।
এরশাদ হচ্ছে:
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺑِﻴﻦَ ﻭَﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮِﻳﻦَ
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন। (সূরা বাকারাঃ ২২২)
___________________
মুসলমানদের জন্য ওজু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইবাদত। পবিত্রতা অর্জন এবং নামজ পড়ার জন্য প্রতিদিন বেশ কয়েকবার আমাদের ওজু করতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই এই ওজু নিয়ে তেমন সতর্কতা অবলম্বন করি না। অথচ এই ওজু ঠিকভাবে না করলে আমাদের নামাজ-ই হবে না।
___________________
২) পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ﺍﻟﻄُّﻬُﻮﺭُ ﺷَﻄْﺮُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ
পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।” (মুসলিম)
___________________
৩) জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার কারণঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
___________________
ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄُ ﻓَﻴُﺤْﺴِﻦُ ﻭُﺿُﻮﺀَﻩُ ﺛُﻢَّ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﻓَﻴُﺼَﻠِّﻲ
ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴْﻦِ ﻣُﻘْﺒِﻞٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻤَﺎ ﺑِﻘَﻠْﺒِﻪِ ﻭَﻭَﺟْﻬِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﺟَﺒَﺖْ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ
___________________
যে কোন ব্যক্তি সুন্দর ভাবে অযু করে, একনিষ্ঠতার সাথে দুরাকাআত নামায আদায় করে তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।” (মুসলিম)
___________________
৪) বেলাল (রাঃ) এর বিশেষ আমলঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেলাল (রাঃ) কে বললেনঃ তোমার সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে আমাকে বল, আমি জান্নাতে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি।
___________________
বেলাল (রাঃ) বললেন, আমার সর্বোত্তম আমল হল, আমি রাতে অথবা দিনে যখনই পবিত্রতা অর্জন করি তখনই তার দ্বারা সাধ্যমত নামায আদায় করে থাকি। (বুখারী)
___________________
৫) অযু এক নামায হতে অন্য নামাযের মধ্যে সংঘঠিত গুনাহের কাফফারাহ স্বরূপঃ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
___________________
ﻣَﻦْ ﺃَﺗَﻢَّ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮﺀَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﻣَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻓَﺎﻟﺼَّﻠﻮَﺍﺕُ
ﺍﻟْﻤَﻜْﺘُﻮﺑَﺎﺕُ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺍﺕٌ ﻟِﻤَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻦَّ
___________________
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী পরিপূর্ণ ভাবে অযু সম্পাদন করে, (তার জন্য) ফরয নামাযগুলোর মধ্যবর্তী সময়ে সংঘঠিত গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যায়। (মুসলিম)
_____________________
আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ।
সূরা আল মায়েদাহ : ৬
----------------------------------
►►ওজু সম্পাদনের পদ্ধতি
----------------------------------
►►ওযুর ফজিলত
------------------------
১) আল্লাহ তাআলার ভালবাসা লাভঃ অযু /ওযু হল পবিত্রতা, আর পবিত্রতা অর্জনকারীকে আল্লাহ তাআলা ভালবাসেন।
এরশাদ হচ্ছে:
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺑِﻴﻦَ ﻭَﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮِﻳﻦَ
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন। (সূরা বাকারাঃ ২২২)
___________________
মুসলমানদের জন্য ওজু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইবাদত। পবিত্রতা অর্জন এবং নামজ পড়ার জন্য প্রতিদিন বেশ কয়েকবার আমাদের ওজু করতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই এই ওজু নিয়ে তেমন সতর্কতা অবলম্বন করি না। অথচ এই ওজু ঠিকভাবে না করলে আমাদের নামাজ-ই হবে না।
___________________
২) পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ﺍﻟﻄُّﻬُﻮﺭُ ﺷَﻄْﺮُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ
পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।” (মুসলিম)
___________________
৩) জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার কারণঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
___________________
ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻳَﺘَﻮَﺿَّﺄُ ﻓَﻴُﺤْﺴِﻦُ ﻭُﺿُﻮﺀَﻩُ ﺛُﻢَّ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﻓَﻴُﺼَﻠِّﻲ
ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴْﻦِ ﻣُﻘْﺒِﻞٌ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻤَﺎ ﺑِﻘَﻠْﺒِﻪِ ﻭَﻭَﺟْﻬِﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﺟَﺒَﺖْ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ
___________________
যে কোন ব্যক্তি সুন্দর ভাবে অযু করে, একনিষ্ঠতার সাথে দুরাকাআত নামায আদায় করে তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।” (মুসলিম)
___________________
৪) বেলাল (রাঃ) এর বিশেষ আমলঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেলাল (রাঃ) কে বললেনঃ তোমার সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে আমাকে বল, আমি জান্নাতে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি।
___________________
বেলাল (রাঃ) বললেন, আমার সর্বোত্তম আমল হল, আমি রাতে অথবা দিনে যখনই পবিত্রতা অর্জন করি তখনই তার দ্বারা সাধ্যমত নামায আদায় করে থাকি। (বুখারী)
___________________
৫) অযু এক নামায হতে অন্য নামাযের মধ্যে সংঘঠিত গুনাহের কাফফারাহ স্বরূপঃ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
___________________
ﻣَﻦْ ﺃَﺗَﻢَّ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮﺀَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﻣَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻓَﺎﻟﺼَّﻠﻮَﺍﺕُ
ﺍﻟْﻤَﻜْﺘُﻮﺑَﺎﺕُ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺍﺕٌ ﻟِﻤَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻦَّ
___________________
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী পরিপূর্ণ ভাবে অযু সম্পাদন করে, (তার জন্য) ফরয নামাযগুলোর মধ্যবর্তী সময়ে সংঘঠিত গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যায়। (মুসলিম)
_____________________
আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ।
সূরা আল মায়েদাহ : ৬
----------------------------------
►►ওজু সম্পাদনের পদ্ধতি
----------------------------------
১) অন্তরে (মনে মনে) অযুর নিয়ত করবে। এই নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা যাবে না। কেননা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওজু, সালাত বা অন্য কোনো ইবাদতের শুরুতে নিয়ত উচ্চারণ করেননি। মুখে কোন বাক্য পাঠ করে নিয়ত করা বিদআত।
___________________
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন:
প্রথমে বিসমিল্লাহ্ বলতে হবে। (তিরমিযী হাঃ ২৫)
___________________
২) তারপর দুই হাতের তালুসহ কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৩) তিন বার কুলি করবে এবং নাকে পানি টেনে নিয়ে নাক ঝাড়বে (বাম হাত দ্বারা নাক ঝাড়তে হবে)। কুলি করার জন্য নেয়া পানি থেকে অর্ধেক দিয়ে কুলি করে বাকী অর্ধেক নাকে দিবে।
___________________
৪) মুখমন্ডলকে এক কান হতে অন্য কান পর্যন্ত এবং মাথার চুল গজানোর স্থান থেকে শুরু করে দাড়ীর নিচের থুতনী পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৫) হস্তদ্বয়কে আঙ্গুল থেকে কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে। প্রথমে ডান হাত পরে বাম হাত।
___________________
৬) নতুন করে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে ভিজা হাত দিয়ে একবার মাথা মাসেহ করবে। দুই হাত একত্র করে মাথার অগ্রভাগ থেকে আরম্ভ করে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে আবার অগ্রভাগে নিয়ে এসে শেষ করবে।
___________________
৭) উভয় কানে এক বার মাসেহ করবে। হাতের তর্জনী আঙ্গুলকে উভয় কানের ভিতরের অংশে প্রবেশ করিয়ে ভিতরের দিক এবং বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা উভয় কানের বাহিরের অংশ মাসেহ করবে। ঘাড় মাসে করবে না। কারণ ঘাড় মাসে করার ব্যাপারে যে হাদীস বর্ণিত আছে তা ঠিক নয়। এজন্য ঘাড় সাসেহ করা যাবে না।
___________________
৮) উভয় পা-কে তিনবার আঙ্গূলের মাথা থেকে আরম্ভ করে টাখনু সহ ধৌত করবে। প্রথমে ডান পা পরে বাম পা। তার পর অযুর দুআ পাঠ করবে।
___________________
বুঝতে সমস্যা হলে ভিডিওটি দেখুন - http://on.fb.me/1PC9Wtw
উল্লেখ্য ওযুর অঙ্গসমূহ দু'বার বা একবার করে ধোয়ার কথাও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী হাঃ ১৫৯-১৬৫)
----------------------------------
►►অযুতে কিছু ভুল ত্রুটি
----------------------------------
১) আবরী ও অন্য কোন ভাষাতে নিয়ত উচ্চারণ করে পাঠ করা।
২) প্রত্যেকটি অংগ ধৌত করতে আলাদা আলাদা দুআ পাঠ করা।
৩) প্রত্যেকটি অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ ভাল ভাবে ধৌত না করা।
৪) দুআ পাঠ করার সময় শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে আকাশের দিকে ইশারা করা। বা আকাশের দিকে তাকিয়ে দুআ পাঠ করা।
___________________
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন:
প্রথমে বিসমিল্লাহ্ বলতে হবে। (তিরমিযী হাঃ ২৫)
___________________
২) তারপর দুই হাতের তালুসহ কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৩) তিন বার কুলি করবে এবং নাকে পানি টেনে নিয়ে নাক ঝাড়বে (বাম হাত দ্বারা নাক ঝাড়তে হবে)। কুলি করার জন্য নেয়া পানি থেকে অর্ধেক দিয়ে কুলি করে বাকী অর্ধেক নাকে দিবে।
___________________
৪) মুখমন্ডলকে এক কান হতে অন্য কান পর্যন্ত এবং মাথার চুল গজানোর স্থান থেকে শুরু করে দাড়ীর নিচের থুতনী পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৫) হস্তদ্বয়কে আঙ্গুল থেকে কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে। প্রথমে ডান হাত পরে বাম হাত।
___________________
৬) নতুন করে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে ভিজা হাত দিয়ে একবার মাথা মাসেহ করবে। দুই হাত একত্র করে মাথার অগ্রভাগ থেকে আরম্ভ করে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে আবার অগ্রভাগে নিয়ে এসে শেষ করবে।
___________________
৭) উভয় কানে এক বার মাসেহ করবে। হাতের তর্জনী আঙ্গুলকে উভয় কানের ভিতরের অংশে প্রবেশ করিয়ে ভিতরের দিক এবং বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা উভয় কানের বাহিরের অংশ মাসেহ করবে। ঘাড় মাসে করবে না। কারণ ঘাড় মাসে করার ব্যাপারে যে হাদীস বর্ণিত আছে তা ঠিক নয়। এজন্য ঘাড় সাসেহ করা যাবে না।
___________________
৮) উভয় পা-কে তিনবার আঙ্গূলের মাথা থেকে আরম্ভ করে টাখনু সহ ধৌত করবে। প্রথমে ডান পা পরে বাম পা। তার পর অযুর দুআ পাঠ করবে।
___________________
বুঝতে সমস্যা হলে ভিডিওটি দেখুন - http://on.fb.me/1PC9Wtw
উল্লেখ্য ওযুর অঙ্গসমূহ দু'বার বা একবার করে ধোয়ার কথাও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী হাঃ ১৫৯-১৬৫)
----------------------------------
►►অযুতে কিছু ভুল ত্রুটি
----------------------------------
১) আবরী ও অন্য কোন ভাষাতে নিয়ত উচ্চারণ করে পাঠ করা।
২) প্রত্যেকটি অংগ ধৌত করতে আলাদা আলাদা দুআ পাঠ করা।
৩) প্রত্যেকটি অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ ভাল ভাবে ধৌত না করা।
৪) দুআ পাঠ করার সময় শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে আকাশের দিকে ইশারা করা। বা আকাশের দিকে তাকিয়ে দুআ পাঠ করা।
---------------------------------------
►►ওযু শেষ করার পর দোয়াঃ
---------------------------------------
উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত ; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পরিপূর্ণরূপে উযু করে যে ব্যক্তি এই দু'আ বলবে, [কালেমা শাহাদাত] পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। সে যেটা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।
___________________
«أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ..».
(আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)
___________________
►► আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল [ সহিহ মুসলিম ]।
___________________
মুসলিম,হাঃ২/৩৯,২৩৪; তিরমিযী,হাঃ৫৫; নাসাঈ,হাঃ ১৪৮, ১৫১; আবূ দাউদ,হাঃ১৬৯, ৯০৬; ইবনে মাজাহ,হাঃ৪৭০;আহমাদ,হাঃ১৬৯১২, ১৬৯৪২, ১৬৯৯৫;মিশকাত,হাঃ২৮৯, পবিত্রতা অধ্যায়ঃ-৩ ; রিয়াদুস সালেহীনঃ৯/১০৩৯;
___________________
তারপর বলবে,
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺑِﻴْﻦَ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲْ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮِﻱ ْﻥَ.
___________________
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ আ’লনী মিনাত তাওয়্যাবীনা ওয়াজ আ’লনী মিনাল মুতা-ত্বাহহিরীন।
___________________
►► অর্থঃ হে আল্লাহ, তুমি আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো।
___________________
মুসলিম,হাঃ ১/২০৯,২৩৪;তিরমিযী,হাঃ১/৭৯; নাসাঈ,হাঃ১৪৮, ১৫১;আবূ দাউদ,হাঃ১৬৯, ৯০৬; ইবনে মাজাহ,হাঃ৪৭০; আহমাদ,হাঃ১৬৯১২, ১৬৯৪২, ১৬৯৯৫;রিয়াদুস সালেহীনঃ৯/১০৩৯;
___________________
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অযুর সকল প্রকার ভুল-ত্রুটিতে থেকে দূরে থেকে সঠিক ভাবে অযু করার তাওফীক দান করুন।
আমীন।
►►ওযু শেষ করার পর দোয়াঃ
---------------------------------------
উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত ; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পরিপূর্ণরূপে উযু করে যে ব্যক্তি এই দু'আ বলবে, [কালেমা শাহাদাত] পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে। সে যেটা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।
___________________
«أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ..».
(আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)
___________________
►► আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল [ সহিহ মুসলিম ]।
___________________
মুসলিম,হাঃ২/৩৯,২৩৪; তিরমিযী,হাঃ৫৫; নাসাঈ,হাঃ ১৪৮, ১৫১; আবূ দাউদ,হাঃ১৬৯, ৯০৬; ইবনে মাজাহ,হাঃ৪৭০;আহমাদ,হাঃ১৬৯১২, ১৬৯৪২, ১৬৯৯৫;মিশকাত,হাঃ২৮৯, পবিত্রতা অধ্যায়ঃ-৩ ; রিয়াদুস সালেহীনঃ৯/১০৩৯;
___________________
তারপর বলবে,
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺑِﻴْﻦَ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲْ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮِﻱ ْﻥَ.
___________________
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ আ’লনী মিনাত তাওয়্যাবীনা ওয়াজ আ’লনী মিনাল মুতা-ত্বাহহিরীন।
___________________
►► অর্থঃ হে আল্লাহ, তুমি আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো।
___________________
মুসলিম,হাঃ ১/২০৯,২৩৪;তিরমিযী,হাঃ১/৭৯; নাসাঈ,হাঃ১৪৮, ১৫১;আবূ দাউদ,হাঃ১৬৯, ৯০৬; ইবনে মাজাহ,হাঃ৪৭০; আহমাদ,হাঃ১৬৯১২, ১৬৯৪২, ১৬৯৯৫;রিয়াদুস সালেহীনঃ৯/১০৩৯;
___________________
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে অযুর সকল প্রকার ভুল-ত্রুটিতে থেকে দূরে থেকে সঠিক ভাবে অযু করার তাওফীক দান করুন।
আমীন।
No comments:
Post a Comment