(১) বলা হয়ে থাকে, “হাওয়া (কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ) বাদশাহকে পথের ভিখারী বানায়, আর সবর (ধৈর্য ধারণ) ভিখারীকে দেশের রাজা বানায়। তুমি কি জানোনা, ইউসুফ আ’লাইহিস সালাম ও জুলাইখা (তৎকালীন মিশরের বাদশাহর চরিত্রহীনা স্ত্রীর) ঘটনা?”
(২) আলী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, “তোমার জন্যে দুনিয়ার সবচাইতে বড় নিয়ামত হচ্ছে ইসলাম।”
(৩) জ্ঞানী ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন, “তিনটি জিনিস অন্তরের কষ্ট দূর করে দেয়ঃ ১. যিকির (আল্লাহর স্মরণ), ২. আল্লাহর অলি-আওলিয়াদের সাহচর্য এবং ৩. জ্ঞানী ব্যক্তিদের উপদেশ বাণী।”
(৪) কা’ব বিন আহবার রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, “(মসিবত থেকে বাঁচার জন্যে) মুসলমানদের দুর্গ তিনটিঃ ১. মসজিদ, ২. আল্লাহর যিকির এবং ৩. ক্বুরআন তেলাওয়াত।”
(৫) ওহাব বিন মুনাব্বিহ ইয়ামানী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। তাওরাতে লিখিত আছে, “লোভী ব্যক্তি দরিদ্র, যদিও সে দুনিয়ার বাদশাহ হয়। সৎ ব্যক্তি অনুসরণযোগ্য, যদিও সে গোলাম হয়। অল্পে তুষ্ট ব্যক্তি ধনী, যদিও সে ক্ষুদার্থ হয়।”
(৬) আলেমরা বলেন, “প্রকৃত ‘ইয়াক্বীন’ (দৃঢ় বিশ্বাস, যা ঈমানের চাইতে উঁচু স্তর) হচ্ছে তাক্বওয়া এবং তাক্বদীরের উপর সন্তুষ্ট থাকা।”
(৭) কথিত আছে, “ইবাদত একটি পেশা, তার দোকান হচ্ছে নির্জনতা, তার মূলধন হচ্ছে তাক্বওয়া, আর তার লাভ হচ্ছে জান্নাত।”
(৮) মালেক বিন দিনার রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “তিনটি বস্তু দ্বারা তিনটি বস্তুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করো, তাহলে তুমি সত্যিকারের মুমিন হতে পারবেঃ ১. অহংকারকে নম্রতা দ্বারা, ২. লালসাকে অল্পে তুষ্টি দ্বারা এবং ৩. হিংসাকে দ্রবীভূত করো অপরের কল্যাণ কামনা দ্বারা।”
(৯০ জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেছেন, “পুরুষের লজ্জা উত্তম, কিন্তু নারীদের লজ্জা অধিক উত্তম।”
(১০) জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি হতে বর্ণিত, ঈমানের আলামত চারটিঃ ১. তাক্বওয়া, ২. লজ্জা-শরম, ৩. শুকরিয়া, ৪. সবর।”
(১১) জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন, “যে ব্যক্তি ভোগ-বিলাসে লিপ্ত হতে চায়, তার জন্যে নারী অপরিহার্য। যে ব্যক্তি ধন-সম্পদ সংগ্রহ করতে চায়, তার জন্যে হারাম পথ অবলম্বন করা অপরিহার্য। যে ব্যক্তি মুসলমানদের উপকারে মত্ত হতে চায়, তার জন্যে শিষ্টাচার অপরিহার্য। যে ব্যক্তি ইবাদতে মত্ত হতে চায়, তার জন্যে ইলম অপরিহার্য।”
(১২) “যে ব্যক্তি ওলামাদেরকে তুচ্ছ মনে করবে, সে তার দ্বীনকে নষ্ট করবে।”
(১৩) “চরিত্রহীন জালিম পুরুষের অধীনে সতী মুসলিম নারী অবহেলিত। অসৎ চরিত্র ও দুষ্টমতি মহিলার কাছে সৎ মুসলিম পুরুষ অবহেলিত।”
(১৪) আবু যুর জিমহির রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “ছয়টি গুণ সমস্ত দুনিয়ার সমকক্ষঃ ১. রুচিকর খাবার, ২. সু-সন্তান, ৩. একমনা স্ত্রী, ৪. দৃঢ় বাক্য, ৫. বুদ্ধির পূর্ণতা, ৬. সুস্থ শরীর।”
(১৫) “যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে তুচ্ছ করবে, সে দুনিয়ার সুখ নষ্ট করবে।”
_________________________
উৎস গ্রন্থঃ সবগুলো কথা ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ সংকলিত “আল-ইসতিদাদ লি-ইয়াওমিল মাআ’দ” বা “পরকালের পাথেয়” নামক বই থেকে সংগৃহীত।আলহামদুলিল্লাহ “পরকালের পাথেয়” বইটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, অনুবাদ করেছেন ড. শায়খ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাদানী।
No comments:
Post a Comment