আমি খুব ভীত, শঙ্কিত। আমার যে কী হবে? আমি নিজেই জানি না, কেন জানেন? নিচের লিখাটি লিখতে যেয়ে। আমি তো ভীত, শঙ্কিত, আপনার কি ভয় করে না? যদি আপনার ভয় না করে তবে আপনি বিচার দিবস সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাসী নন। নিচের লিখাটি ভালভাবে পড়ুন, এখন না পড়ে পালাতে পারবেন, কিন্তু প্রতিদান দিবসে............
لِيَوْمٍ عَظِيمٍ يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
এক মহাদিবসে; যেদিন মানুষকে বিশ্বজগতের প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াতে হবে। মুতাফফিফীন, ৮৩/৫-৬
لِيَوْمٍ عَظِيمٍ يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
এক মহাদিবসে; যেদিন মানুষকে বিশ্বজগতের প্রতিপালকের সামনে দাঁড়াতে হবে। মুতাফফিফীন, ৮৩/৫-৬
يَقُولُ الإنْسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ
সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’? আল-কিয়ামা, ৭৫/১০
সেদিন মানুষ বলবে, ‘পালাবার স্থান কোথায়’? আল-কিয়ামা, ৭৫/১০
>>> ভাল-মন্দ সবকিছুই লিখা হচ্ছে <<<
كَلا سَنَكْتُبُ مَا يَقُولُ
কক্ষনো না, সে যা বলে, আমি তা লিখে রাখব। মারইয়াম, ১৯/৭৯
كَلا سَنَكْتُبُ مَا يَقُولُ
কক্ষনো না, সে যা বলে, আমি তা লিখে রাখব। মারইয়াম, ১৯/৭৯
إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
দু’জন গ্রহণকারী ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করছে। যে কথাই উচ্চারণ করে, তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত সংরক্ষণকারী রয়েছে। ক্বাফ, ৫০/১৭-১৮
দু’জন গ্রহণকারী ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করছে। যে কথাই উচ্চারণ করে, তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত সংরক্ষণকারী রয়েছে। ক্বাফ, ৫০/১৭-১৮
وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ كِرَامًا كَاتِبِينَ يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
আর নিশ্চয় তোমাদের উপর রয়েছে সংরক্ষকগণ; সম্মানিত লেখকবৃন্দ; তারা জানে, তোমরা যা কর। আল-ইনফিতার, ৮২/১০-১২
আর নিশ্চয় তোমাদের উপর রয়েছে সংরক্ষকগণ; সম্মানিত লেখকবৃন্দ; তারা জানে, তোমরা যা কর। আল-ইনফিতার, ৮২/১০-১২
وَكُلَّ إِنْسَانٍ أَلْزَمْنَاهُ طَائِرَهُ فِي عُنُقِهِ وَنُخْرِجُ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كِتَابًا يَلْقَاهُ مَنْشُورًا اقْرَأْ كِتَابَكَ كَفَى بِنَفْسِكَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ حَسِيبًا
আর আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার কাঁধেই সংযুক্ত করে দিয়েছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করব একটি কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত। (আমি বলব) তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর; আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব নিকাশের জন্য যথেষ্ট। আল-ইস্রা, ১৭/১৩-১৪
আর আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার কাঁধেই সংযুক্ত করে দিয়েছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করব একটি কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত। (আমি বলব) তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর; আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব নিকাশের জন্য যথেষ্ট। আল-ইস্রা, ১৭/১৩-১৪
أَمْ يَحْسَبُونَ أَنَّا لا نَسْمَعُ سِرَّهُمْ وَنَجْوَاهُمْ بَلَى وَرُسُلُنَا لَدَيْهِمْ يَكْتُبُونَ
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন কথা ও গোপন পরামর্শ শুনি না? অবশ্যই শুনি, আর আমার ফেরেশতাগণ তাদের নিকটে থেকে লিপিবদ্ধ করছে। আয্-যুখরুফ, ৪৩/৮০
তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন কথা ও গোপন পরামর্শ শুনি না? অবশ্যই শুনি, আর আমার ফেরেশতাগণ তাদের নিকটে থেকে লিপিবদ্ধ করছে। আয্-যুখরুফ, ৪৩/৮০
لَقَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ فَقِيرٌ وَنَحْنُ أَغْنِيَاءُ سَنَكْتُبُ مَا قَالُوا
অবশ্যই আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন যারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ দরিদ্র আর আমরা ধনী’; তারা যা বলছে, আমি তা লিখে রাখব। আলে‘ইমরান, ৩/১৮১
অবশ্যই আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন যারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ দরিদ্র আর আমরা ধনী’; তারা যা বলছে, আমি তা লিখে রাখব। আলে‘ইমরান, ৩/১৮১
فَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلا كُفْرَانَ لِسَعْيِهِ وَإِنَّا لَهُ كَاتِبُونَ
সুতরাং যে মুমিন হয়ে সৎকাজ করে তবে তার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করা হবে না আর আমি তা লিখে রাখি। আল-আম্বিয়া, ২১/৯৪
সুতরাং যে মুমিন হয়ে সৎকাজ করে তবে তার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করা হবে না আর আমি তা লিখে রাখি। আল-আম্বিয়া, ২১/৯৪
>>> আমলনামায় সব কিছুই রয়েছে <<<
وَكُلُّ شَيْءٍ فَعَلُوهُ فِي الزُّبُرِ وَكُلُّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ مُسْتَطَرٌ
আর তারা যা কিছু করেছে সব কিছুই রয়েছে আমলনামায়। আর ছোট ও বড় সবকিছুই লিপিবদ্ধ রয়েছে। আল-কামার, ৫৪/৫২-৫৩
وَكُلُّ شَيْءٍ فَعَلُوهُ فِي الزُّبُرِ وَكُلُّ صَغِيرٍ وَكَبِيرٍ مُسْتَطَرٌ
আর তারা যা কিছু করেছে সব কিছুই রয়েছে আমলনামায়। আর ছোট ও বড় সবকিছুই লিপিবদ্ধ রয়েছে। আল-কামার, ৫৪/৫২-৫৩
إِنَّا نَحْنُ نُحْيِي الْمَوْتَى وَنَكْتُبُ مَا قَدَّمُوا وَآثَارَهُمْ وَكُلَّ شَيْءٍ أحْصَيْنَاهُ فِي إِمَامٍ مُبِينٍ
নিশ্চয় আমি মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা আগে পাঠিয়ে দেয় এবং যা পিছনে ছেড়ে যায় আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত করে রেখেছি। ইয়া-সীন, ৩৬/১২
নিশ্চয় আমি মৃতকে জীবিত করি আর লিখে রাখি যা তারা আগে পাঠিয়ে দেয় এবং যা পিছনে ছেড়ে যায় আর প্রতিটি বস্তুকেই আমি সুস্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত করে রেখেছি। ইয়া-সীন, ৩৬/১২
وَلا نُكَلِّفُ نَفْسًا إِلا وُسْعَهَا وَلَدَيْنَا كِتَابٌ يَنْطِقُ بِالْحَقِّ وَهُمْ لا يُظْلَمُونَ
আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব দেই না এবং আমার নিকট এমন এক কিতাব আছে যা সত্য ব্যক্ত করে আর তাদের প্রতি কোন যুল্ম করা হবে না। মুমিননুন, ২৩/৬২
আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব দেই না এবং আমার নিকট এমন এক কিতাব আছে যা সত্য ব্যক্ত করে আর তাদের প্রতি কোন যুল্ম করা হবে না। মুমিননুন, ২৩/৬২
>>> প্রতিদান দিবসে মানুষ জানতে পারবে তার আমলনামায় কী আছে? <<<
وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ وَإِذَا السَّمَاءُ كُشِطَتْ وَإِذَا الْجَحِيمُ سُعِّرَتْ وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ عَلِمَتْ نَفْسٌ مَا أَحْضَرَتْ
আর যখন আমলনামা প্রকাশ করা হবে, আর যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে, আর যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করা হবে, আর যখন জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে, তখন প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কী নিয়ে উপস্থিত হয়েছে? আত-তাকভীর, ৮১/১০-১৪
وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ وَإِذَا السَّمَاءُ كُشِطَتْ وَإِذَا الْجَحِيمُ سُعِّرَتْ وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ عَلِمَتْ نَفْسٌ مَا أَحْضَرَتْ
আর যখন আমলনামা প্রকাশ করা হবে, আর যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে, আর যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করা হবে, আর যখন জান্নাত নিকটবর্তী করা হবে, তখন প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কী নিয়ে উপস্থিত হয়েছে? আত-তাকভীর, ৮১/১০-১৪
وَتَرَى كُلَّ أُمَّةٍ جَاثِيَةً كُلُّ أُمَّةٍ تُدْعَى إِلَى كِتَابِهَا الْيَوْمَ تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ هَذَا كِتَابُنَا يَنْطِقُ عَلَيْكُمْ بِالْحَقِّ إِنَّا كُنَّا نَسْتَنْسِخُ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
আর তুমি প্রতিটি সম্প্রদায়কে দেখবে ভয়ে নতজানু অবস্থায়, প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের আমলনামা অনুযায়ী আহবান করা হবে। (বলা হবে) তোমরা যা আমল করেছো আজ তোমাদের তার প্রতিফল দেয়া হবে। আমার এই (তৈরীকৃত) কিতাব তোমাদের ব্যাপারে সত্য সাক্ষ্য দেবে, তোমরা যা করতে আমি অবশ্যই তা লিপিবদ্ধ করিয়েছিলাম। আল-জাসিয়া, ৪৫/২৮-২৯
আর তুমি প্রতিটি সম্প্রদায়কে দেখবে ভয়ে নতজানু অবস্থায়, প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের আমলনামা অনুযায়ী আহবান করা হবে। (বলা হবে) তোমরা যা আমল করেছো আজ তোমাদের তার প্রতিফল দেয়া হবে। আমার এই (তৈরীকৃত) কিতাব তোমাদের ব্যাপারে সত্য সাক্ষ্য দেবে, তোমরা যা করতে আমি অবশ্যই তা লিপিবদ্ধ করিয়েছিলাম। আল-জাসিয়া, ৪৫/২৮-২৯
>>> পাপাচারীদের আমলনামা <<<
كَلا إِنَّ كِتَابَ الْفُجَّارِ لَفِي سِجِّينٍ وَمَا أَدْرَاكَ مَا سِجِّينٌ كِتَابٌ مَرْقُومٌ
কক্ষনো না, নিশ্চয় পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জীনে আছে। তুমি কি জান, সিজ্জীন কী? লিপিবদ্ধ কিতাব। মুতাফফিফীন, ৮৩/৭-৯
كَلا إِنَّ كِتَابَ الْفُجَّارِ لَفِي سِجِّينٍ وَمَا أَدْرَاكَ مَا سِجِّينٌ كِتَابٌ مَرْقُومٌ
কক্ষনো না, নিশ্চয় পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জীনে আছে। তুমি কি জান, সিজ্জীন কী? লিপিবদ্ধ কিতাব। মুতাফফিফীন, ৮৩/৭-৯
وَوُضِعَ الْكِتَابُ فَتَرَى الْمُجْرِمِينَ مُشْفِقِينَ مِمَّا فِيهِ وَيَقُولُونَ يَا وَيْلَتَنَا مَالِ هَذَا الْكِتَابِ لا يُغَادِرُ صَغِيرَةً وَلا كَبِيرَةً إِلا أَحْصَاهَا وَوَجَدُوا مَا عَمِلُوا حَاضِرًا وَلا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا
আর যেদিন আমলনামা উপস্থিত করা হবে, তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে আতংকগ্রস্ত, তাতে যা লিপিবদ্ধ রয়েছে তার কারণে; আর তারা বলবে, হায় দুর্ভাগ্য আমাদের! এ কেমন কিতাব! এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি, বরং সব কিছুই হিসাব করে রেখেছে, আর তারা যা করেছিল তা উপস্থিত পাবে, আর আপনার প্রতিপালক কারো প্রতি জুলুম করবেন না। আল-কাহাফ, ১৮/৪৯
আর যেদিন আমলনামা উপস্থিত করা হবে, তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে আতংকগ্রস্ত, তাতে যা লিপিবদ্ধ রয়েছে তার কারণে; আর তারা বলবে, হায় দুর্ভাগ্য আমাদের! এ কেমন কিতাব! এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি, বরং সব কিছুই হিসাব করে রেখেছে, আর তারা যা করেছিল তা উপস্থিত পাবে, আর আপনার প্রতিপালক কারো প্রতি জুলুম করবেন না। আল-কাহাফ, ১৮/৪৯
وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِشِمَالِهِ فَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي لَمْ أُوتَ كِتَابِيَهْ وَلَمْ أَدْرِ مَا حِسَابِيَهْ يَا لَيْتَهَا كَانَتِ الْقَاضِيَةَ مَا أَغْنَى عَنِّي مَالِيَهْ هَلَكَ عَنِّي سُلْطَانِيَهْ
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, তখন সে বলবে, ‘হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেয়া হত। আর আমি যদি আমার হিসাব কী তা না জানতাম! হায়! মৃত্যুই যদি আমার চূড়ান্ত হতো! আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজেই আসল না। আমার ক্ষমতাও আমার থেকে নিঃশেষ হয়ে গেল। আল-হাক্কাহ, ৬৯/২৫-২৯
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, তখন সে বলবে, ‘হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেয়া হত। আর আমি যদি আমার হিসাব কী তা না জানতাম! হায়! মৃত্যুই যদি আমার চূড়ান্ত হতো! আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজেই আসল না। আমার ক্ষমতাও আমার থেকে নিঃশেষ হয়ে গেল। আল-হাক্কাহ, ৬৯/২৫-২৯
وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا وَيَصْلَى سَعِيرًا إِنَّهُ كَانَ فِي أَهْلِهِ مَسْرُورًا إِنَّهُ ظَنَّ أَنْ لَنْ يَحُورَ
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেয়া হবে; অতঃপর অচিরেই সে মৃত্যুকে ডাকবে; আর সে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। নিশ্চয় সে তার স্বজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল। নিশ্চিত সে মনে করেছিল যে, তাকে কখনো আল্লাহর নিকটে ফিরে যেতে হবে না। আল-ইনশিক্বাক্ব, ৮৪/১০-১৪
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেয়া হবে; অতঃপর অচিরেই সে মৃত্যুকে ডাকবে; আর সে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। নিশ্চয় সে তার স্বজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল। নিশ্চিত সে মনে করেছিল যে, তাকে কখনো আল্লাহর নিকটে ফিরে যেতে হবে না। আল-ইনশিক্বাক্ব, ৮৪/১০-১৪
>>> নেকলোকদের আমলনামা <<<
كَلا إِنَّ كِتَابَ الأبْرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ وَمَا أَدْرَاكَ مَا عِلِّيُّونَ كِتَابٌ مَرْقُومٌ يَشْهَدُهُ الْمُقَرَّبُونَ
কক্ষনো না, অবশ্যই নেক লোকদের আমলনামা ইল্লিয়্যীনে আছে। তুমি কি জান, ইল্লিয়্যীন কী? লিপিবদ্ধ কিতাব। আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা তার তদারক করছেন। মুতাফফিফীন, ৮৩/১৮-২১
كَلا إِنَّ كِتَابَ الأبْرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ وَمَا أَدْرَاكَ مَا عِلِّيُّونَ كِتَابٌ مَرْقُومٌ يَشْهَدُهُ الْمُقَرَّبُونَ
কক্ষনো না, অবশ্যই নেক লোকদের আমলনামা ইল্লিয়্যীনে আছে। তুমি কি জান, ইল্লিয়্যীন কী? লিপিবদ্ধ কিতাব। আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা তার তদারক করছেন। মুতাফফিফীন, ৮৩/১৮-২১
يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ فَمَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَأُولَئِكَ يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلا يُظْلَمُونَ فَتِيلا
স্মরণ কর, সেই দিনকে যখন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাদের আমলনামাসহ ডাকব, অতঃপর যাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম হবে না। আল-ইস্রা, ১৭/৭১
স্মরণ কর, সেই দিনকে যখন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাদের আমলনামাসহ ডাকব, অতঃপর যাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম হবে না। আল-ইস্রা, ১৭/৭১
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَيَقُولُ هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ إِنِّي ظَنَنْتُ أَنِّي مُلاقٍ حِسَابِيَهْ
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, তখন সে বলবে, ‘নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ’।‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে’। আল-হাক্কাহ, ৬৯/১৯-২০
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, তখন সে বলবে, ‘নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখ’।‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে’। আল-হাক্কাহ, ৬৯/১৯-২০
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا وَيَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে। অতঃপর দ্রুত তার হিসাব-নিকাশ নেয়া হবে অত্যন্ত সহজভাবেই। আর সে তার আপনজনের নিকটে আনন্দিত হয়ে ফিরে যাবে। আল-ইনশিক্বাক্ব, ৮৪/৭-৯
অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে। অতঃপর দ্রুত তার হিসাব-নিকাশ নেয়া হবে অত্যন্ত সহজভাবেই। আর সে তার আপনজনের নিকটে আনন্দিত হয়ে ফিরে যাবে। আল-ইনশিক্বাক্ব, ৮৪/৭-৯
উপসংহারঃ আল্লাহর সুস্পষ্ট কুরআনের বাণীর পরে আমার কোন মন্তব্য করার প্রয়োজন মনে করি না। তাই আল্লাহর বাণী দিয়েই শেষ করব-
لِي عَمَلِي وَلَكُمْ عَمَلُكُمْ أَنْتُمْ بَرِيئُونَ مِمَّا أَعْمَلُ وَأَنَا بَرِيءٌ مِمَّا تَعْمَلُونَ
আমার কর্মফল আমি পাব আর তোমাদের কর্মফল তোমরা পাবে; তোমরা আমার কৃতকর্মের জন্য দায়ী নও, আর আমিও তোমাদের কর্মের জন্য দায়ী নই। ইউনুস, ১০/৪১
لِي عَمَلِي وَلَكُمْ عَمَلُكُمْ أَنْتُمْ بَرِيئُونَ مِمَّا أَعْمَلُ وَأَنَا بَرِيءٌ مِمَّا تَعْمَلُونَ
আমার কর্মফল আমি পাব আর তোমাদের কর্মফল তোমরা পাবে; তোমরা আমার কৃতকর্মের জন্য দায়ী নও, আর আমিও তোমাদের কর্মের জন্য দায়ী নই। ইউনুস, ১০/৪১
আল্লাহ আরও বলেন- كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ প্রত্যেক ব্যক্তিই তার নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী। আত-তূর, ৫২/২১
তথ্যসূত্র :
বই: ওয়াহীর জ্ঞান। সংকলন: মোহাম্মদ সাইদুর রহমান; সম্পাদনা: অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক; প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স। অষ্টম অধ্যায়ঃ সত্য-মিথ্যার স্বরূপ বিশ্লেষণ; পৃষ্ঠাঃ ৩০৯ হতে ৩১২ পর্যন্ত।
বই: ওয়াহীর জ্ঞান। সংকলন: মোহাম্মদ সাইদুর রহমান; সম্পাদনা: অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক; প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স। অষ্টম অধ্যায়ঃ সত্য-মিথ্যার স্বরূপ বিশ্লেষণ; পৃষ্ঠাঃ ৩০৯ হতে ৩১২ পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment