বিদআত হচ্ছে ইসলামে ভীতর 'আমল মনে করে কোন নতুন কাজ করা যেটা রাসুল (সঃ) থেকে অনুমদিত নয়।' অথবা কুরআন হাদিসের কোথাও পাওয়া যায় না এমন আমল করা সওয়াবের আশায়। নিচে এমন কয়েকটা উধাহরন হিসেবে বিদআত পেষ করা হল।
- মিলাদ কিয়াম করা ও পড়া বিদআত
- প্রত্যেক ফরয নামাজের পর সম্মেলিত মুনাজাত করা বিদআত
- তাজবিহ দানায় তাজবিহ গননা করা বিদআত (রাসুল সঃ হাতের আঙ্গুলে তাজবিহ গুনার আদেশ করেছেন)
- মাগরিবের সলাতের পরে ৬ রাকআত সালাতুল আওয়াবিন পড়া বিদআত
- রাসুল সঃ এর নাম শুনে দুই চোখে আঙ্গুল দিয়ে মোছা বিদআত
- দুই হাতে মুছাফাহ করা (হাত মিলানো) বিদআত
- হাত মিলানোর পরে হাত বুকে লাগানো বিদআতা
- প্রত্যেক ফরয নামাজের পর সম্মেলিত মুনাজাত করা বিদআত
- তাজবিহ দানায় তাজবিহ গননা করা বিদআত (রাসুল সঃ হাতের আঙ্গুলে তাজবিহ গুনার আদেশ করেছেন)
- মাগরিবের সলাতের পরে ৬ রাকআত সালাতুল আওয়াবিন পড়া বিদআত
- রাসুল সঃ এর নাম শুনে দুই চোখে আঙ্গুল দিয়ে মোছা বিদআত
- দুই হাতে মুছাফাহ করা (হাত মিলানো) বিদআত
- হাত মিলানোর পরে হাত বুকে লাগানো বিদআতা
কয়েকটা বিদআত বললাম, সমাজে এমন শত শত বিদআত চালু আছে। জেনেশুনে আজকেই বর্জন করুন নয়তো কোন ফরয ও নফল ইবাদাত কবুল হবে না। এবং রাসুল (সঃ) বলেছেন বিদআত যারা করবে তারা জাহান্নামে যাবে। কারন তারা রাসুল (সঃ) এর রেখে জাওয়াত দ্বীন পরিবর্তন করে ফেলেছে।
বিঃদ্রঃ অনেকেই বিদআত কি সেটা বুঝতে ভুল করে। এর মদ্ধে অনেক আলেমগণও বিদআত এর বিষয়টা বুঝতে পারেনা। তাই তারা বলে থাকে, প্লেন এ হজ্জ করতে চাওয়াও তো তাহলে বিদআত, কারন এইটা রাসুলের (সঃ) সময় ছিল না। তেমনি মাইকে আজান দেয়াও তাহলে বিদাত,কারন আগে মাইক ছিল না, এমন নতুন সব কিছুি তাহলে বিদআত ? যারা এমন মনে করে তাদের এইটা মনে রাখতে হবে বিদআত মানে আসলে নতুন কিছু নয়। বরং বিদআত হচ্ছে এমন নতুন আমল যা সওয়াবের আশায় আমল মনে করে করা হয়। যেমন মাইকে আজান দেয়ার সময় কিন্তু কেউ এইটা মনে করেনা যে আমি মাইকে আজান দিচ্ছি বলে এত নেকি হবে ! অথবা কেউ প্লেন এ হাজ্জ করতে গেলে এইটা মনে করেনা যে প্লেন এ জাচ্ছি বলে এত নেকি হবে ! তাইনা ? কিন্তু যদি এমন মনে করে যে প্লেন এ হজ্জ করতে জাচ্ছি বলে এত এত নেকি হবে , তাহলে বিদআত হবে। কন্তু এইটা কেউ মনে করেনা। আপনি ফেসবুকে দ্বীন প্রচার করছেন , এইটাও নতুন, কিন্তু এইটা বিদআত নয়। বিদআত হবে তখনই যখন আপনি মনে করবেন যে ফেসবুকে দ্বীন প্রচার করা নেকির কাজ। তাহলেই বিদআত হবে। কিন্তু কেউ এমন মনে করেনা যে ফেসবুকে দ্বীন প্রচার মানে আলাদা একটা নেকি হবে ! বরং আমরা মনে করি দ্বীন প্রচারের কারনে আমাদের ইনশা আল্লাহ্ নেকি হবে। ফেসবুক সুধুই একটা মাদ্ধম। তেমনি প্লেন, মাইক একটা মাধ্যম, এর বেশী কিছু নয়। কিন্তু যারা তাজবিহ দানায় তাজবিহ গননা করে তারা এইটাকেই ইসলাম এর একটা নিয়ম মনে করে তাই এইটা বিদআত হবে, আর যেহেতু এই ব্যাপারে রাসুল (সঃ) আদেশ করেছেন যে আঙ্গুলে তাজবিহ গুনতে হবে তাই এইটা অনেক বড় একটা বিদআত এবং গুনাহের কাজ। কারন এইটা রাসুল (সঃ) কে অবমাননা করা হচ্ছে। তেমনি যারা মিলাদ কিয়াম করে তারাও এইটাকে সওয়াব মনে করে থাকে। এইটাকে আমল মনে করে। তাই নতুন দোকান চালু করলে মিলাদ পরে, নতুন বাড়িতে মিলাদ পরে। এগুলা সবই ধর্মের বিভর নতুন সৃষ্টি আমল বিদআত। বিদআত যারা করে তাদেরকে বলছি, তারা কি ইসলামে নতুন আমল করে এইটা প্রমান করছে না যে রাসুল (সঃ) আমাদের কাছে পরিপূর্ণ দ্বীন পৌঁছে দেয়নি ? অবশ্যই দিয়েছেন। কারন হাদিসে আছে রাসুল সঃ বলেছেন, জান্নাতে যেতে পারে এমন সব কিছু আমি তোমাদের বলে দিয়েছি এবং জাহান্নাম থেকে বাচতে কিভাবে পারবে এমন সব কিছু আমি তোমাদের বলে দিয়েছি। সুতরাং যারা ইসলাম এর ভীতর এইসব নতুন নতুন আমল প্রবেশ করাবে তারা রাসুল (সঃ) কে অপমান করছে। আর বিদআত করার ব্যাপারে রাসুল (সঃ) এর অনেক হাদিস আছে যাতে বলা হয়েছে বিদআত যারা করবে তারা রাসুল সঃ এর সাফায়াত পাবে না, এবং তারা জাহান্নামে যাবে। তারা হাউজে কাওছার এর পানি পান করতে পারবে না। লিখা বড় হবে বলে আর হাদিসগুলা দিলাম না।
No comments:
Post a Comment