আসসালামুআলাইকুম।
জিহবার ১৫টিরও বেশী দোষ আছে। সেগুলো জিহবা ছাড়া সংগঠিত হতে পারে না। সেগুলো হচ্ছে:
১. মিথ্যা বলা
২. খারাপ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা
৩. অশ্লীল ও খারাপ কথা বলা
৪. গালি দেওয়া
৫. নিন্দা করা
৬. অপবাদ দেওয়া
৭. চোগলখুরী করা
৮. বিনা প্রয়োজনে গোপনীয়তা ফাঁস করে দেওয়া
৯. মোনাফেকী করা ও দুই মুখে কথা বলা
১০. ঝগড়া-ঝাটি করা
১১. হিংসা করা
১২. বেহুদা ও অতিরিক্ত কথা বলা
১৩. বাতিল ও হারাম জিনিস নিয়ে আলোচনা করে আনন্দ লাভ করা
১৪. অভিশাপ দেওয়া
১৫. সামনা-সামনি প্রশংসা করা।
মুমিনদেরকে সাধারণভাবে এবং রোযাদার মুমিনকে বিশেষভাবে জিহবার এ সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে দূরে থাকতে হবে। তাই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«من لم يدع قول الزور والعمل به فليس لله حاجة بأن يدع طعامه وشرابه»
‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ ত্যাগ করে না, তার খানাপিনা বন্ধ রাখতে আল্লাহর কোনো প্রয়োজনে নেই।’[ তিরমিযী,খ.৩,পৃ.৮৭,হাদীস নং ৭০৭।]
অর্থাৎ আল্লাহ এই জাতীয় রোযা কবুল করবেন না এবং সওয়াব দেবেন না। অতএব কেবল খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকার নামই রোযা নয়, বরং রোযা হচ্ছে, বেহুদা কথা ও গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকা।’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযাকে জিহবার অনিষ্ট থেকে বিশুদ্ধ রাখার পদ্ধতি বাতলিয়ে দিয়েছেন:
«إذا كان يوم صوم أحدكم فلا يرفث ولا يصخب وفي رواية: ولا يجهل، فإن سابه أحد أو قاتله فليقل إني امرؤ صائم مرتين»
‘তোমাদের কেউ রোযা রাখলে সে যেন গুনাহ, অজ্ঞতা ও জাহেলি কাজ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় কিংবা তার সাথে লড়তে আসে সে যেন বলে দেয়, আমি রোযা রেখেছি, আমি রোযাদার।’[বুখারী,খ.২,পৃ.৬৭৩,হাদীস নং১৮০৫।]
No comments:
Post a Comment