আল্লাহ্র শপথ! নামাজ ত্যাগ করা - মদ, শুকর, জিনা ইত্যাদি থেকেও জঘন্যতম অপরাধ। অথচ আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপই নেই। দিনের পর দিন নামাজ ছেড়ে দেয়া অনেকের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন চাইলে ২ ওয়াক্ত পড়লাম, মন চাইলো না তাই ৩ ওয়াক্ত ছেড়ে দিলাম। এভাবে মহান আল্লাহ্র সবচেয়ে বড় হুকুম সালাতকে আমরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছি নিরন্তর।
অথচ আমাদের সালাফ আস সালেহিনদের (পূর্ববর্তী নেককার) কাছে নামাজ বাদ দেয়া মানে অমুসলিম হয়ে যাওয়া ছিল! ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল(রহঃ) এর মতে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগকারী ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। ইমাম আবু হানিফা(রহঃ) এর মতে কাজটা কুফুরি, কিন্তু সে অস্বীকার না করা পর্যন্ত ইসলাম থেকে খারিজ হবে না। কিন্তু তার এই সালাত ত্যাগের কাজটা কুফুরি। কতো বড় কথা! সুবহানাল্লাহ। কিন্তু মদ, শুকর, জিনা হারাম হলেও এইসব জঘন্য গুনাহের ব্যাপারে কুফরের কথা বলা হয়নি। যেমনটা বলা হয়েছে নামাজ ত্যাগকারীর উপর।
আবু যুবাইর (রহঃ) হতে বর্ণিত, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায বর্জন করাই হচ্ছে ব্যবধান।" (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়)
অর্থাৎ মানুষকে শিরক ও কুফর থেকে দূরে রাখার একমাত্র প্রাচীর হচ্ছে নামাজ। নামাজ তাকে এসব জঘন্য কাজে লিপ্ত হতে বাধা দেয়। যখন সে নামাজ ত্যাগ করে তখন তার মাঝে শিরকী কার্যকলাপ ও কুফরী ঢুকে যায়। যতই সে দাবি করুক না কেন তার ঈমান ঠিক আছে।
রসুলুল্লাহ(ﷺ) আরও বলেছেন, “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দাহর নামাযের হিসাব নেওয়া হবে। যদি এটা ঠিক থাকে তাহলে তার বাকি কাজগুলো গ্রহণযোগ্য বলে পরিগণিত হবে আর যদি এটা ঠিক না থাকে তাহলে বাকি কাজগুলো বাতিল বলে পরিগণিত হবে।"
(আত তাবারানী, আল জামী, হাদীসটি সহীহ)
No comments:
Post a Comment