Monday, September 5, 2016

হাটের কাদা/ ময়লা/ গোবরের পানির ভয়ে পেন্ট উপরে উঠে,আল্লাহর জাহান্নামের ভয়ে টাখনুর উপরে পেন্ট উঠে না !!




হাদিস : 
------
>আবু যর রা. বলেন, রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম- বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির সাথে কথা তো বলবেনই না বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। এমনকি তিনি তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? তবে এরা তো ধ্বংশ, তাদের বাঁচার কোন রাস্তা নাই। রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম- এ কথা তিনবার বলেছেন। তারা হলঃ 
১) যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরে। 
২) যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম খেয়ে ব্যাবসার পণ্য বিক্রি করে।
৩) যে ব্যক্তি কারো উপকার করে আবার খোটা দেয়। (মুসলিম - 106, তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইব্‌ন মাজাহ্‌)।

আবু হুরায়রা নবী -সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম- থেকে বর্ণনা করে বলেন, “লুঙ্গির যে অংশ টাখনুর নিচে থাকবে তা আগুনে প্রজ্জলিত হবে।” (বুখারী - 5787)
.
.
এই দূইটা হাদিস থেকে তারা যুক্তি দেখান যে যারা টাখনুর নিচে কাপড় পরবে তারা জানান্নামী। এ দুইটা হাদিসে অহংকার করার কথা উল্লেখ নাই। এই দুইটা হাদিস ছাড়া আরো অনেক হাদিস আছে যাতে বেশীর ভাগই উল্লেখ করা হয়েছে যে, যারা অহংকার করে টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করে তারা জাহান্নামী। যেমন কয়েকটা হাদিস উল্লেখ করলামঃ

যে ব্যক্তি গর্বভরে নিজের পোশাক ভুলুন্ঠিত করে পরিধান করে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না” (সহীহ বুখারী ৩/১৩৪০; সহীহ মুসলিম ৩/১৬৫১)
যে ব্যক্তি সালাতের মধ্যে অহংকারের সাথে তার পোশাক ভুলুন্ঠিত করে পরিধান করবে আল্লাহর সাথে তার হালাল বা হারাম কোন সম্পর্ক থাকবে না” ( আবু দাউদ ১/১৭২)
“একজন লোক হাঁটছিল, সে নিজের পরিধেয় পোশাক গর্বের সাথে মাটিতে হেঁচড়ে নিয়ে চলছিল, তার চুল ছিলো পরিপাটি করে আঁচড়ানো, আল্লাহ মাটিকে আদেশ করলেন তাকে গিলে ফেলতে এবং শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত সে এইভাবে মাটির নিচে ডুবতে থাকবে ”। [সহীহ আল বুখারি, ৩২৯৭,মুসলিম ২০৮৮]
রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “যে ব্যক্তি তার পরিধানের কাপড়কে অহংকারের সাথে মাটিতে হেঁচড়ে নিয়ে চলে, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না”। আবু বকর(রা) উপস্থিত ছিলেন, তিনি জানতে চাইলেন, “মাঝে মাঝে অসতর্কতার কারণে আমার পরিধেয় কাপড় একদিকে ঝুলে পড়ে”। রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “তুমি তা অহংকার থেকে করোনি”। (বুখারি,৩৪৬৫)

No comments:

Post a Comment