লোকসমাজে প্রচলিত অনেক খেলাধূলার সাথেই হারাম জড়িত আছে। দাবা এমনই একটি খেলা। দাবা থেকে আরো অনেক রকম খেলার প্রতি ঝোঁক সৃষ্টি হয়। যেমন পাশা খেলা প্রভৃতি। জুয়া ও বাজির দ্বার উন্মোচনকারী এই দাবা সম্পর্কে নবী করীম (ছাঃ) সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন,
مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيرِ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِى لَحْمِ خِنْزِيرٍ وَدَمِهِ-
‘যে ব্যক্তি দাবা খেলে সে যেন শূকরের রক্ত-মাংসে স্বীয় হাত রঞ্জিত করে’।[1]
আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَرَسُولَهُ -
‘যে ব্যক্তি দাবা খেলে সে আল্লাহ ও তার রাসূলের বিধানকে অমান্য করে’।[2]
সুতরাং দাবা ও তার আনুসঙ্গিক খেলা যেমন তাস, পাশা, ফ্লাশ ইত্যাদি সম্বন্ধে অবশ্যই শরী‘আতের আদেশ মানতে হবে।
________________________________
[1]. মুসলিম; মিশকাত হা/৪৫০০।
[2]. আহমাদ, আবুদাঊদ; মিশকাত হা/৪৫০৫।
যে সকল হারামকে মানুষ হালকা মনে করে
যা থেকে বেঁচে থাক ওয়াজিব
মূল : মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদ : মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
No comments:
Post a Comment