উত্তরঃ মুয়াজ্জিন আযানে যা যা বলবে তার সাথে সাথে তাই বলতে হবে, শুধুমাত্র হাইয়্যা আ’লাস সালাহ ও হাইয়্যা আ’লাল ফালাহ বললে জবাবে সেটা না বলতে বলতে হবে “লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ”।
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
এটা হচ্ছে আযানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি। আযানের জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাহ।
বিঃদ্রঃ ফযরের আযানে আস-সালাতু খায়রুম-মিনান-নাওম ও জামাতের ইকামাতের সময় ক্বাদকা মাতিস সালাহ – এই দুইটি বাক্যের জবাবে এইগুলোই বলতে হবে। অন্য কিছু বলতে এমন কোনো কিছু সহীহ হাদীসে নাই – তাই যা আছে তাই বলতে হবে।
“আস-সালাতু খায়রুম-মিনান-নাওম” এর জবাবে “সাদাক্বতা ওয়া বারারতা” বলার কোনো ভিত্তি নেই (জাল কথা)।
মিরআ’ত ২/৩৬৩, হা/৬৬২।
“ক্বাদকা মাতিস সালাহ” এর জবাবে “আক্বা-মাহাল্লা-হু ওয়া আদা-মাহা” বলা সম্পর্কে আবুদাউদে বর্ণিত হাদীছটি ‘যঈফ’।
আবু দাউদ হা/৫২৮, শায়খ আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/২৪১।
প্রশ্নঃ আযানের জবাব দিলে কি প্রতিদান পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
“যে ব্যক্তি খালেস অন্তরে আযানের জবাব দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়”।
সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৫।
সুবহা’ন-আল্লাহ! জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়!!
মাত্র ২-৩ মিনিটে এতো সহজে করা যায় এমন একটা আমল হেলাফেলা করে বাদ দেওয়া ঠিক হবেনা। আর এর জন্যতো আলাদা কোনো দুয়াও মুখস্থ করা লাগছেনা, শুধু মুয়াজ্জিনের সাথে সাথে অন্তরে বিশ্বাস ও খেয়াল রেখে কথাগুলো বলা
আপনি চেষ্টা করলে আজকে থেকেই এই আমল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন ইন শা’ আল্লাহ।
No comments:
Post a Comment