***((সাজদা করার ফযিলাত))***
=================
[১] সাজদাহর নিদর্শন ছাড়া আগুন বনী আদমের সব কিছুই গ্রাস করে ফেলবে।
(বুখারী/৭৬৪, আহমাদ/৭৯২৭, আস-সুন্নাহ/৪৫৩)
[২] বান্দা তার প্রতিপালকের সবচেয়ে নিকবর্তী হন যখন সে সাজদাহ অবস্থায় থাকে।
(মুসলিম/১১১১, আহমাদ/৯৪৬১, আবূ দাউদ ৮৭৫)
[৩] যে আল্লাহর জন্য একটি সাজদা করে, মহান আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে একধাপ মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন।
(মুসলিম/১১২১, নাসায়ী/১১৩৯, ইবনু মাজাহ/১৪২৩)
[৪] অন্য বর্ণনায় এসেছে যে আল্লাহর জন্য একটি সাজদা করে, মহান আল্লাহ এর বিনিময়ে একটি নেকী দেন, একটি গুনাহ মুছে দেন এবং তার মর্যাদা এক ধাপ বৃদ্ধি করে দেন।
(সহীহ আত-তারগীব/৩৭৯, ৩৮৫)
[৫] রাসূল (সা) বলেছেন, “হে আবূ ফাতিমাহ ! তুমি যদি আমার সাক্ষাত পেতে চাও তাহলে তুমি বেশী বেশী সাজদাহ করো।
(সহীহ আত-তারগীব ৩৮২)
[৬] রাসূল (সা) এর সাথে জান্নাতে সাহচার্য পাওয়ার জন্য তিনি বেশী বেশী আল্লাহর সাজদাহ করতে বলেছেন।
(মুসলিম/১১২২, আবূ দাউদ/১৩২০, আহামাদ/১৬৫৭৮)
[৭] মহান আল্লাহর কাছে দুটি ফোটা ও দুটি নিদর্শনের চাইতে প্রিয় বস্তু আর কিছু নাই। ফোটা দুটি হলো আল্লাহর ভয়ে নির্গত অশ্রুবিন্দু এবং আল্লাহর পথে প্রবাহিত রক্তবিন্দু। আর নিদর্শন দুটি হলো: আল্লাহর পথে জিহাদের ক্ষত এবং আল্লাহর ফরযসমূহের কোন ফরয আদায় করতে গিয়ে যে ক্ষত হয় (যেমন কপালে সাজদাহর দাগ)
(তিরমিযী/১৬৬৯, তালীকুর রাগীব/২/১৮০ সহীহ সনদ আলবানী )
[৮] মুমিন ব্যক্তি যখন সাজদাহ করে তখন তার গুনাহগুলো তার ডানে ও বামে ঝরে পড়ে।
(ইবনু শাহীন/৩৮, হাদীসের শব্দাবলী তার, ত্বাবারানী, মুনযিরীর তারগীব)
মহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র তার জন্য বেশী বেশী সাজদাহ করার তৌফিক দান করুন।
((আমিন))
No comments:
Post a Comment