Sunday, July 23, 2017

ফাজায়েলে আমলের সেই ঈমান বিধংসী গল্পটি !



No automatic alt text available.


ফাজায়েলে আমলের সেই ঈমান বিধংসী গল্পটি !
হাফেজ আবু নাঈম হজরত ছুফিয়ান ছূরী হইতে বর্ণনা করেন যে আমি এক সময় কোথাও বাহিরে যাইতেছিলাম, তখন দেখিলাম যে একজন যুবক কোন কদম উঠাইতেছে অথবা রাখিতেছে তখনই পড়িতেছে- “আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মোহাম্মাদিন অ আলা আ-লে মোহাম্মাদিন”। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম,
-তুমি কি এই আমল কোন কিতাবী প্রমাণের দ্বারা করিতেছ, না নিজের ইচ্ছামত করিতেছ? যুবক বলিল,
--আপনি কে? আমি বলিলাম,
-ছুফিয়ান ছুরী, সে বলিল, 
--ইরাকওয়ালা ছুফিয়ান? আমি বলিলাম, 
-হাঁ। যুবক বলিল, 
--আপনার আল্লার মারফত হাছেল আছে কি? আমি বলিলাম,
-হাঁ আছে। সে বলিল,
--কিভাবে আছে। আমি বলিলাম,
-রাত্র হইতে দিন বাহির করে, দিন হইতে রাত্র, মায়ের পেটে বাচ্চার ছুরত দান করে। সে বলিল,
--আপনি কিছুই চিনেন নাই। আমি বলিলাম,
-তা হইলে তুমি কিভাবে আল্লার মারফত হাছিল করিলে? যুবক বলিল,
--কোন কাজের জন্য দৃঢ় আশা পোষণ করি কিন্তু তবুও উহা ত্যাগ করিতে হয়। আর কোন কাজ করিবার ইচ্ছা করি কিন্তু উহা করিতে পারি না। ইহা দ্বারা আমি বুঝিয়া লইলাম যে নিশ্চয় একজন আছেন। যিনি আমার কাজ সম্পাদন করেন।
আমি বলিলাম,

-তোমার এই দরূদ পড়ার ভেদ কি? সে বলিল,
--আমার মায়ের সহিত হজ্বে গিয়াছিলাম। পথিমধ্যে আমার মা মারা যান। তাহার মুখ কালো হইয়া যায় এবং পেট ফুলিয়া যায়। মনে হইল তিনি বহুত বড় পাপ করিয়াছেন। তাই আমি আল্লার দরবারে হাত উঠাইলাম। তখন দেখিলাম যে হেজাজের দিক হইতে একটা মেঘ খণ্ড আসিল আর সেখান হইতে একজন লোক জাহের হইল। তিনি আমার মায়ের মুখে হাত ফিরাইলেন যদ্বারা তাহার মুখ রওশন হইয়া গেল এবং পেটে হাত ফিরাইলেন যদ্বারা ফুলা একেবারেই চলিয়া গেল। আমি আরজ করিলাম,
“আপনি কে যাহার উছিলায় আমার মায়ের মছিবত কাটিয়া গেল?” তিনি বলিলেন,
“আমি তোমার নবী মোহাম্মদ ﷺ।” আমি আরজ করিলাম,

“হুজুর আমাকে কিছু অছিয়ত করুন।” হুজুর বলিলেন,
“যখন কদম উঠাইবে এবং রাখিবে তখনই পড়িবে, -‘আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মোহাম্মাদি ও আ-লা আলে মোহাম্মাদিন।’
[ফাজায়েলে দরুদ পৃঃ ১০৫]
!
-
■তাহক্বীকঃ

১। এটা কি ধরণের ভয়াবহ মিথ্যা ও অপমান আমাদের প্রিয় নবী ﷺ এর নামে! যাকারিয়া কান্ধ্‌লভী কি আমাদেরকে এটি বিশ্বাস করাতে চায় যে রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ এখনও জীবিত এবং লোকজনদের সাহায্য করে বেড়ান ?
এটা কি নির্লজ্জ মিথ্যা কাহিনী চিন্তা করুন। আল্লাহ্‌র রাসূল ﷺ যাকে তাঁর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, “পর্দাচ্ছন্ন কুমারীর চেয়েও বেশি লাজুক” (মুসলীম ৫৭৩৯), সেই মহামানব একজন নারীর মুখে ও পেটে হাত ফিরিয়ে দিবেন?
আস্তাগ্‌ফিরুল্লাহ্‌! আস্তাগ্‌ফিরুল্লাহ্‌!! আস্তাগ্‌ফিরুল্লাহ্‌!!!
২। দেওবন্দি আলেমগণ ও সমগ্র তাবলীগ জামাতের নিকট আমার প্রশ্নঃ-
☞ নবী ﷺ এর এই উদ্ধারকর্ম কি শেষ হয়ে গেছে? যদি শেষ নাই বা হবে তবে কেন তিনি কাশ্মীর, ফিলিস্তিন ও চেচ্‌নিয়ার মুসলিমদের রক্ষার্থে তিনি বের হয়ে আসছেন না? 
☞ নবী ﷺ কোথায় ছিলেন যখন উমর (রাঃ) শহীদ হয়েছিলেন?
☞ নবী ﷺ কোথায় ছিলেন যখন উসমান (রাঃ) শহীদ হয়েছিলেন?
☞ নবী ﷺ কোথায় ছিলেন যখন যখন আলী (রাঃ) শহীদ হয়েছিলেন?
☞ নবী ﷺ কেন কবর থেকে সাহায্য করেন নাই যখন তার আদরের কন্যার ঘরে দিনের পর দিন চুলা জলে নাই?
☞ নবী ﷺ কেন কবর থেকে হাত বের করে সাহায্য করলেন না যখন তাঁর আদরের নাতী বিষপান করছিলেন?
☞ নবী ﷺ কেন কবর থেকে হাত বের করে সাহায্য করলেন না যখন তাঁর আদরের নাতী পানির জন্য ছটফট করছিলেন?
কেন, কেন? কেন?
এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে নবী ﷺ তার এই সব প্রিয় মানুষদের সাহায্য করতে কবর হতে উঠে আসতে পারলেন না, কিন্তু ফাজায়েলের গল্পে ঠিকই উপস্থিত হয়েছেন।
.
■মন্তব্যঃ

প্রিয় তাবলীগী ভাইগণ!
রাসূল ﷺ এর নামে এমন ডাহা মিথ্যা বর্ণনা শুনে আপনার কি খারাপ লাগে না?
আপনার শরীরে কি রক্ত নেই?
আপনার বিবেক কি পঁচে গেছে?
এই মিথ্যার পরিনাম যে জাহান্নাম সেটা কি ভুলে গেছেন?
রাসূল ﷺ কে অপমান করতে আপনার একটুও ভয় হচ্ছে না?

এখনও সময় আছ, আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন।
গোমড়াহীর যে তালা আপনার বিবেককে অন্ধ করে দিয়েছে, তা ভেংগে ফেলুন। রসূল ﷺ এর নামে ১ টা মিথ্যা বর্ণনাই যথেষ্ট আপনাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারন তিনি বলেন,
‎مَنْ تَقَوَّلَ عَلَىَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
-যে ব্যক্তি আমার নামে মনগড়া কথা রচনা করলো, যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারন করলো। [বুখারী হা/১১০; মুসলীম হা/৩; সুনান ইবনু মাজাহ হা/৩৪; আহমাদ হা/৮০৬৭, ৮৫৫৮, ৯০৬১, ৯০৮৬, ৯৭১৩, ১০১৩৫, ১০৩৫০]

No comments:

Post a Comment