এর চেয়ে বেশি ফজিলতের কোন হাদিস কি জানা আছে ?
===========================================
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তাহলে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য একটি করে সওয়াব আল্লাহ তার আমল নামায় লিখে দেবেন (ত্বাবরানী, শাইখ আলবানী হাদীছটিকে হাসান সহিহ বলেছেন, সহীহুল জামে হা/৬০২৬)
#হাদিসটা নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখুন, বর্তমান পৃথিবীতেই ২০০ কোটির উপরে মুসলিম রয়েছে আর আদম (আঃ) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিমের সংখ্যা কত হবে সেটা ১মাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তা’লা ছাড়া আর কারো পক্ষেই জানা সম্ভব নয় অথচ তাদের জন্য ১ বার ক্ষমা চাইলেই আপনি সেই সংখ্যক নেকী পেয়ে যাবেন যার পরিমাণ কোন মানুষের কল্পনায়ও আসবে না। ইসলামের সৌন্দর্য দেখুন, ইসলাম শুধু নিজের কথা চিন্তা করতে বলে না বরং অন্যদের কল্লান কামনা, তাদের প্রতি বিদ্বেষ না রাখা, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এটাও শরীয়তে বিরাট ইবাদত হিসাবে বিবেচিত আর সেই কারনেই দেখা যাচ্ছে মুসলিম ভাই বোনদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়াতে তিনি এমন পরিমাণ সওয়াব নির্ধারণ করেছেন যেটা আর কোথাও পাওয়া যায় না।
#কিভাবে তাদের জন্য ক্ষমা চাইবেন-
আল্লাহ তা’লা নিজেই সুন্দর বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন তাই চাইলেই এভাবে নিজের জন্য নিজের পিতামাতার জন্য এবং সমস্ত মু’মিনদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন কিংবা নিজের ভাষায়ও তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন-
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
উচ্চারণঃ রব্বানাগ-ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি-দাইয়্যা ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হি’সাব।
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! যেদিন হিসাব হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীদেরকে ক্ষমা করো।’ (সুরা ইব্রাহিম- আয়াত ৪১)
#কোন সময় দোয়া করবেন-
যে কোন সময় দোয়া করতে পারেন তবে নামাজের সিজদায় সবচেয়ে বেশি দোয়া কবুল হয় তাই ফরজ হোক আর সুন্নাত নফল হোক যে কোন নামাজের সিজদায় সিজদার তাসবিহ পড়ার পর উপরোক্ত দোয়াটা করতে ভুলবেন না আর এটা বারবার আল্লাহর কাছে চাইলে ইন শা আল্লাহ ১দিকে যেমন আপনি আল্লাহর ক্ষমা লাভ করবেন অন্যদিকে প্রতিবারের জন্য এতো বিশাল পরিমাণ সওয়াবের অধিকারি হবেন যেটা লক্ষ কোটি দিয়েও বুঝানো সম্ভব নয়। অনেকের ধারনা সিজদায় কুরআনিক দোয়া করা যায় না, এটা তাদের ভুল ধারনা, সিজদায় কুরআন তিলায়াত নিষেধ কিন্তু কুরআন হাদিসের দোয়া পড়াতে কোন নিষেধ নেই বরং দোয়া করতে রাসুল (সাঃ) উৎসাহিত করেছেন, সিজদায় দোয়া সবচেয়ে বেশি কবুল হয় জানিয়েছেন।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “সিজদাহ অবস্থায় বান্দা আপন প্রভুর সবচেয়ে অধিক নিকটতম হয়ে থাকে। সুতরাং ঐ অবস্থায় তোমরা বেশী-বেশী করে দুআ কর।” (মুসলিম, সহীহ ৪৮২, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৪৫৬নং)
সিজদাতে কুরআনিক দোয়া করাতে কোন সমস্যা নেই, শাইখ উসাইমিন (রঃ) এর ফতওয়া দেখুন-
সিজদায় কুরআন পাঠ নিষিদ্ধ হলেও দুআ হিসাবে কোন কুরআনী আয়াত দ্বারা প্রার্থনা করা নিষেধের আওতাভুক্ত নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/১৮৪-১৮৫)
সুতরাং প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে আমলটি করতে থাকুন যেহেতু সওয়াবের পাল্লা ভারি না করতে পারলে আমাদের জান্নাত যাওয়া সম্ভব নয় তাই আমলকে গুরুত্ব দিন, ঈমানের সাথে নেক আমলই আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। আল্লাহ তা’লা এই লেখনীকে বরকতময় করুন, অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিন যাতে করে আমার মুসলিম ভাই বোনেরা উপকৃত হতে পারে।
(সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment