Friday, August 25, 2017

জিলহজ্ব মাসের ১ম দশকের গুরুত্ব ও করনীয়.........



Image may contain: text


জিলহজ্ব মাসের ১ম দশকের গুরুত্ব ও করনীয়.........
👉 আল্লাহ তা’আলা বলেন : কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের। (সূরা ফাজর : ১-২)
ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য জিলহজ্ব মাসের দশ দিন।

👉 আল্লাহ তাআলা বলেন : তারা যেন নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (হজ : ২৮)
ইবনে আব্বাস বলেছেন : অর্থাৎ জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন।

হযরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জিলহজ্বের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদত তুলনায় বেশী প্রিয়,প্রত্যেক দিনের রোযা এক বছরের রোযার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায় ।{তিরমিজী শরীফ,হাদীস নং-৭৫৮, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৭৫৭, কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১২০৮৮}
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অন্য দিনের আমল প্রিয় নয়। {বুখারী শরীফ,হাদীস নং-৯২৬}
আশারায়ে জিলহজ্বের বিশেষ আমল ........................
১. ‍
চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা। জিলহজ্বের চাঁদ দেখার পর হতে কুরবানীর আগ পর্যন্ত নিজের নখ, চুল, মোচ, নাভীর নিচের পশম ইত্যাদি না কাটা। এটা মুস্তাহাব।

হযবরত উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, “তোমরা যদি জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কুরবানী করতে ইচ্ছে করে তবে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।” (সহীহ মুসলীম ১৯৭৭, আবু দাওদ শরীফ ২৪৩৭)
যে ব্যাক্তি কুরবানী দিতে সক্ষম নয় সে ব্যাক্তিও এ আমল করলে তার ফজিলত পাবে। ফজিলত হল, ”যে ব্যাক্তি এই আমল করবে সে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে পূর্ন এরটি কুরবানীর সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ ৬৫৭৫, আবু দাউদ শরীফ ২৭৮৯, নাসায়ী শরীফ ৪৩৬৫)
২.
ঈদের দিন ছাড়া বাকি নয় দিন রোজা রাখা। আশারায়ে জিলহজ্বের আরেকটি আমল হল, ঈদুল আজহার দিন ছাড়া প্রথম নয় দিন রোজা রাখা।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে নবী (সাঃ) এই নয় দিবসে রোজা রাখতেন (আবু দাউদ শরীফ ২৪৩৭, নাসায়ী ২৪১৬)
এর ফজিলত হল, এই দিনগুলোর এক একটি রোজার পরিবর্তে এক বছরের রোজার সমান সওয়াব। (তিরমিজি শরীফ ৭৫৮, বায়হাকী শরীফ ৩-খন্ড পৃষ্ঠা-৩৫৬)
৩.
বিশেষভাবে নয় তারিখ রোজা রাখা সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ন। নবী করিম মোহাম্মদ (সাঃ) ইরশাদ করেন, “নয় তারিখ রোজার বিষয়ে আমি আশা করি যে, আল্লাহ তায়ালা এক বছর পূর্বের এবং এক বছর পরের গুনাহ মিটিয়ে দিবেন। (সহীহ মুসলীম ১১৬২, আবু দাউদ ২৪২৫)

৪.
যিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে তের তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর একবার তাকবীর বলা ওয়াজিব। পুরুষের জন্যআওয়াজ করে,আর মহিলাদের জন্য নীরবে।

তাকবীর হল-আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
৫.
১০, ১১ম ১২ যিলহজ্বের যে কোন একদিন,কোন ব্যক্তির মালিকানায় যদি নিত্য প্রয়োজন অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রোপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকে, {বর্তমান বাজার মূল্যে যা ৮৪,০০০/= প্রায়} তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।

পুরুষ-মহিলা সকলের উপরই এ বিধান প্রযোজ্য।

No comments:

Post a Comment