Thursday, August 17, 2017

পালক সন্তান গ্রহণ করা যাবে কি?



Image may contain: text


পালক সন্তান গ্রহণ করা যাবে কি?
-----
ইসলামের দৃষ্টিতে যে কারও সন্তানকে পালক সন্তান হিসেবে গ্রহন করা ও লালন-পালন করা বৈধ। বিশেষ করে মাতৃহীন, এতিম ও অযত্ন-অবহেলার শিকার শিশুর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা বা প্রতিপালন করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।
উক্ত শিশু আপনাকে ‘মা’ আর আপনার স্বামীকে ‘বাবা’ হিসেবে সম্বোধন করতে পারে। তবে সামাজিকভাবে সে তার নিজস্ব পিতা-মাতার পরিচয়ে পরিচিত হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
دْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِندَ اللَّـهِ ۚ فَإِن لَّمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ
“তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে।" (সূরা আহযাব: ৫)
রাসুল সা. যায়দ বিন হারেসাকে পালকপূত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তবে প্রথম পর্যায়ে তাকে যায়েদ বিন মুহাম্মদ বলে ডাকা হত। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত আয়াত নাজিল মাধ্যমে তা নিষেধ করে নিজস্ব পিতার দিকে সম্মন্ধ করাকে আবশ্য করা হয়। তাই এর পর থেকে তাকে যায়েদ বিন হারেসা রা. বলে ডাকা হত।

অনুরূপভাবে এর মাধ্যমে শিশুর মূল পিতা-মাতার যাবতীয় অধিকার ও বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ সে কেবল তার নিজ পিতা-মাতার মীরাস (উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ) এর অধিকারী হবে; আপনাদের মীরাসের কোন অংশ পাবে না। তবে আপনারা পালক সন্তানকে সবোর্চ্চ এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দান করে দিতে পারেন বা ওয়াসিয়ত করতে পারেন।
অনুরূপভাবে আপনি যদি উক্ত কন্যা শিশুকে দুধ পান করিয়ে থাকেন তাহলে সে আপনার স্বামী ও অন্যান্য ছেলে সন্তানদের জন্য মাহরাম হিসেব গণ্য হবে। আর দুধ পান না করালে মাহরাম সাব্যস্ত হবে না। অর্থাৎ বড় হলে তাদের নিকট অবশ্যই পর্দা করতে হবে।
আল্লাহু আলাম।

*******
পেইজ- সঠিক পথের দিশা
*আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল*
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।

No comments:

Post a Comment