মুহাররম মাসের গুরুত্ব/ফযিলত
যে বিষয়গুলো এ মাসের গুরুত্ব বহন করে তা হলঃ
(১) বারটি মাসের মধ্যে মুহাররম মাস হচ্ছে সর্বপ্রথম।
(২) এই মাসটিকে আল্লাহর দিকে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে, হাদীসে বলা হয়েছে “আল্লাহর মাস হচ্ছে মুহাররম মাস”।
(৩) স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন যে চারটি মাসকে সম্মানিত হিসেবে অভিহিত করেছেন তার মধ্যে মুহাররম একটি, যা এই মাসের গুরুত্ব প্রমাণ করে।
(৪) হারাম মাসগুলোর সম্মানার্থে ইসলাম আসার পূর্ব যুগেও মুশরিকরা এই মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকত। যা ইসলামের প্রথম দিকে ঠিক ছিল, কিন্তু তা পরবর্তিতে রহিত হলেও এই মাসগুলো সম্মান করা বর্তমানেও জারী আছে।
(৫) এই মাসের মধ্যে এমন একটি দিন আছে যাকে “আশূরার দিন” বলা হয়। যে দিনটিতে রোজা রাখলে বিগত এক বছরের পাপরাশি মোচন হয়। আর সেটি হচ্ছে ১০-ই মুহাররম, আগামী ১ তারিখ, রবিবার।
এই মাসে যা করণীয়ঃ
এই মাসে রোযা রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "রমজান মাসের রোযার পরেপরেই শ্রেষ্ঠ রোযা হল আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পরেপরেই শ্রেষ্ঠ নামায হল রাত্রের (তাহাজ্জুদের) নামায।" সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজা।
No comments:
Post a Comment