Tuesday, October 24, 2017

তওবার জন্যে নামায/তওবার নামাযঃ-



Image may contain: text


তওবার জন্যে নামায/তওবার নামাযঃ-
কোন পাপ কাজ করে ফেললে যা বলবে এবং যা করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“একজন মুসলিম কোনো পাপ কাজ করার পরে ছয় ঘন্টা সময় পার না হওয়া পর্যন্ত বাঁ পাশের ফেরেশতা সেটা তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করেন না। সে যদি অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন বাঁ পাশের ফেরেশতা তা একপাশে ছুঁড়ে ফেলে দেয় (অর্থাৎ সেই পাপ তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করেন না)। আর সে যদি তোওবা না করে, তাহলে সেটা খারাপ কাজ হিসেবে তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়।”

হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম তাবারানী তার ‘আল-মাজমু আল কাবীর’ গ্রন্থে হাদীস নং ৮/১৫৮, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ, সহীহ আল-জামি’।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন,
“যদি কোনো বান্দা কোনো পাপ কাজ করে ফেলে, অতঃপর সে উত্তমরূপে ওযু করে পবিত্রতা অর্জন করে এবং দাঁড়িয়ে যায় ও দুই রাকআ’ত (নফল) সালাত আদায় করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।”
আবু দাউদঃ ১৫২১, তিরমিযীঃ ৪০৬,শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন।
তওবাহ করার জন্যে দুই রাকাত নফল নামাযের বিবরণঃ
(১) কৃত পাপের জন্য আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হতে হবে।
(২) উত্তমরুপে পূর্ণাংগ ওযু সম্পাদন করতে হবে।
(৩) "আমি তওবার জন্যে দুই রাকাত নফল নামায পড়ছি",অন্তরে এতোটুকু চিন্তা করে বা স্থির করে আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত বেধে নামায শুরু করতে হবে।এটাই হচ্ছে নিয়ত, মুখে উচ্চারণ করে আলাদা কোন নিয়তের দুয়া পড়তে হবেনা।
(৪) দুই রাকাতে যেকোন সুরা বা আয়াত কিরাত হিসেবে পড়া যাবে।
(৫) একমনে আল্লাহমুখী হয়ে নামায পড়তে হবে,নামাযে অন্য কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করা যাবেনা।
(৬) নামাযের সিজদাতে বা সালাম ফেরানোর পূর্বে আল্লাহর কাছে তোওবা ও ইস্তেগফারের দুয়াগুলো পড়তে হবে।
(৭) কুরান ও হাদীসের দুয়াগুলো আরবীতে মুখস্থ করে পড়া ভালো তবে আরবী না জানলে এই নামাযে বাঙলাতে দুয়া করা যাবে।
(৮) আর নামাযে দুয়া পড়তে না চাইলে সালাম ফিরিয়ে মুনাজাতে আল্লাহর কাছে তোওবা ও ইস্তেগফারের দুয়াগুলো পড়তে হবে।
মানুষ পাপ করবেই।
গরু ছাগল করবে না।
কিয়ামতের দিন শুধু মানুষ এবং জ্বীন জাতির বিচার হবে।
আর তাই বিচারের মুখোমুখি হবার আগে আমরা আমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হই।
আল্লাহর কাছে তওবা করে ক্ষমা চাই।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের জানা অজানায়,ইচ্ছা অনিচ্ছায় করা সকল প্রকার সগীরা এবং কবীরা গুনাহ মাফ করুক।
আমীন।

No comments:

Post a Comment