*কুরান তিলাওয়াতের এবং হাফেজে কুরআনের মর্যাদা এবং ফজিলত কি?।*
➖➖➖📖📖📖📖📖
• ওমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা এ কিতাবের দ্বারা এক জাতির উত্থান দান করেন এবং অপর জাতির নিশ্চিত করেন পতন। (মুসলিম : ১:৫৫৯, হা.৮১৭)
• ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার একটি নেকি হবে, আবার একটি নেকি দশটি নেকির সমান, আমার কথার উদ্দেশ্য এ নয় যে, الم একটি হরফ। বরং ألف একটি হরফ لام একটি হরফ ميم একটি হরফ। (তিরমিজি : ৫:৭৫, হা.২৯১,)
• আকবা বিন আমের থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা সুফ্ফাতে ছিলাম এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বের হন, অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কার ইচ্ছে হয়, প্রতি দিন বাতহা বা আকিক নামক স্থানে গমন করা এবং কোন অপরাধ বা সম্পর্ক ছিন্ন করা ছাড়াই বিনা পরিশ্রমে বড় ও লম্বা চুটি সম্পন্ন দুটি উট নিয়ে আসা? আমরা বললাম হে আল্লাহর রাসূল, আমরা সকলে তা পছন্দ করি। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা কি সকাল বেলা মসজিদে গমন করতে পার না? সেখানে গিয়ে দুটি আয়াত শিক্ষা কর বা তিলাওয়াত কর। এটাই তোমাদের জন্যে দুটি উটের চেয়ে উত্তম। তিনটি আয়াত তিনটি উটের চেয়ে উত্তম। চারটি আয়াত চারটি উটের চেয়ে উত্তম। তদ্রুপ অন্যান্য আয়াতের বিষয়টিও। (মুসলিম : ১:৫৫২, হা.৮,৩)
• আবু উমামা বাহিলি রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামকে বলতে শোনেছি, তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর, কারণ কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকারীর জন্যে সুপারিশ করবে। (মুসলিম : ১:৫৫৩, হা.৮,৪)
• আব্দুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, হাফেজে কুরআনকে বলা হবে, পড় এবং ওপড়ে উঠ। তারতিলসহ পড় অর্থাৎ ধীরে ধীরে আবৃতি কর, যেমন দুনিয়াতে করতে। কারণ, সর্বশেষ আয়াতের স্থানই হবে তোমার মর্যাদার স্থান। (আবু দাউদ ২:৫৩, হা.১৪৬৪)
• ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, কুরআনে পারদর্শী ব্যক্তিই নিজ কওমের ইমামতি করবে। (মুসলিম ১:৪৬৫, হা.৬৭৩)
• আয়েশা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, যে কুরআনে পারদর্শী এবং কুরআন পাঠ করে সে বিচরণকারী পুন্যবান ও সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গী। আর যে কষ্ট সত্ত্বেও বারবার কুরআন পাঠ করে, তার সওয়াব দ্বিগুন। (বুখারি+ফাতহুল বারি : ৮:৬৯১, হা.৪৯৩৭)
• আবু মুসা আশআরি রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে সে জামির ফলের ন্যায়, যার ঘ্রাণ চমৎকার, স্বাদও চমৎকার। আর যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে না, সে খেজুর ফলের ন্যায়, যার ঘ্রাণ নেই, তবে স্বাদ খুব চমৎকার। পক্ষান্তরে যে মুনাফেক কুরআন পাঠ করে সে রায়হান ফলের ন্যায়, যার ঘ্রাণ চমৎকার, স্বাদ খুব তিক্ত। আর যে মুনাফেক কুরআন পড়ে না সে হানযালা বা কেদাঁ ফলের ন্যায়, যার কোন ঘ্রাণ নেই, স্বাদ তিক্ত। (বুখারি, মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
নিশ্চয় যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে, সালাত কায়েম করে এবং আলাহ যে রিয্ক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির : ২৯)
➖➖➖➖➖➖📖📖
No comments:
Post a Comment