Thursday, October 26, 2017

আমাদের দেশের ৯০% মুসলিম জানেনা বিদ'আত কাকে বলে!





আমাদের দেশের ৯০% মুসলিম জানেনা বিদ'আত কাকে বলে!
আমার গবেষণা মতে, বাংলাদেশের ৯০ % মুসলিম ই বিদ'আত বুঝেনা, তাহলে বিদ'আতের ভয়াবহতা বুঝবে কি করে?
আর এই জন্যেই মসজিদের ইমাম নিজেই যখন বিদ'আত করে তখন মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরা মনে করে ইবাদত ত ইবাদত ই, যেভাবে খুশি আল্লাহকে ডাকলেই হয়।
বিদ'আত হচ্ছে তরকারীতে পরিমিত লবণের মত। একটি তরকারি উপযুক্ত স্বাদ পাওয়ার জন্য যতটুকু লবণ দরকার ঠিক ততটুকু লবণ ই দিতে হবে, এর একটু কম বা বেশি হলে আপনার মুল্যবান খাবারটুকু অখাদ্য হয়ে যাবে, বেশি হলে তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। ঠিক তেমনি, আপনার ইবাদত যদি রাসুলের তরিকার বা নিয়মের বাইরে হয়, তা কোন কাজে আসবেনা।
আর এ কথাটি ই আল্লাহ তালায়া বার বার কোরআনে বলেছে, তোমরা শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত কর কেবলমাত্র রাসুলের তরিকায়, তোমরা তোমাদের আমল বাতিল করিও না। তার মানে, আপনার আমল বা ইবাদত রাসুলের তরিকায় না হলে, হাদিছ কোরআনে তার কোন দলিল না থাকলে, অথবা মাযহাবের নামে নতুন কোন ইবাদতের পদ্ধতি হলে সেটাই বিদ'আত (গোমরাহি) যার ফলাফল জাহান্নাম।
বিজ্ঞ পাঠক! 
মনে রাখা জরুরি শিরক ঈমান নষ্ট করে, আর বিদ'আত আমল নষ্ট করে। অথচ, আপনার জন্ম থেকে শুরু করে মরণ বা কবর পর্যন্ত সব কিছুতেই রয়েছে বিদআত (বাড়াবাড়ি এবং দলিলবিহিন ইবাদত) যার প্রচলন ঘটিয়েছে এক শ্রেণির পোশাকধারী আলেমসমাজ।

আভিধানিক অর্থে বিদ'আত হলো নব আবিস্কৃত ও নব উদযাপন। আর,পারিভাষিক অর্থে বিদআত হলো দ্বীনে ও ইবাদতের মধ্যে নতুন কোন কিছু সংযোজন করা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
যে ব্যক্তি আমাদের এ দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করেছে যা এতে নেই, তাহলে তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (কারণ ইসলাম একটি পুর্ণাংগ জীবন ব্যাবস্থা)
(সহীহুল বুখারী: ২৬৯৭ সহিহ মুসলিম: ৪৩৮৪)

সাবধান আবার দ্বীন বা ইবাদতের ক্ষেত্রে ‘বিদআতে হাসানাহ’ (ভাল বিদআত) বলে কোন বিদআত নেই। বরং প্রত্যেক বিদআতই ‘সাইয়্যিআহ’ (মন্দ)।
রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন;
আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হল দ্বীনের মধ্যে নতুন জিনিস সৃষ্টি করা আর সকল নতুন জিনিসই বিদআত আর সকল বিদআত-ই-গুমরাহী (পথভ্রষ্ট) আর সকল গুমরাহীর (পথভ্রষ্ট) পরিণাম জাহান্নাম। (নাসায়ী: ১৫৭৮)
রাসূল (ছাঃ) দ্বীনের মধ্যে বিদআতের কোন ভাগ করেন নাই বরং সকল বিদআতকে গুমরাহী বলছেন। তাই ভাল বিদআত, মন্দ বিদআত বলে কিছু নেই।
সহজ বাংলায় বিদ'আতের সংজ্ঞা হচ্ছে — মনগড়া ইবাদত। 
*…আর যারা কেতাবের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে নিশ্চয়ই তারা জেদের বশবর্তী হয়ে অনেক দূরে চলে গেছে।* 
( সূরা আল বাকারা ১৭৬ )

নবী মুহাম্মদ (ছাঃ) বলেন……. ”যে ব্যক্তি আমার সম্পর্কে এমন কথা প্রচার করলো যা আমি বলিনি, তবে সে নিজের জায়গা জাহান্নামে ঠিক করে নিলো”
– (হাদীস টি আছে: মিশকাত, রিয়াদুস সালেহিন, সিহাহ সিত্তার অন্যান্য বই তে)

রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
“ তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।”
(আবূ দাঊদ, তিরমিযী)

“ যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন করল- যা তাঁর মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য। 
(বুখারী ও মুসলিম)

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।
তবে বলা বাহুল্য, নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে, নিত্য প্রয়োজনীয় কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না।
একজন মুসলিম হিসেবে আমার দায়িত্ব কোরআন হাদিস এর দলিক মোতাবেক সত্যকে তুলে ধরা, কে কিভাবে গ্রহণ করবে সেটা যার যার বিবেকের কাছে।

No comments:

Post a Comment