Sunday, October 1, 2017

আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলতঃ



No automatic alt text available.


আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলতঃ
~~
আয়াতুল কুরসী ক্বুরানুল কারীমের শ্রেষ্ঠ বা সবচাইতে মর্যাদাবান আয়াত।

আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উপর নাযিলকৃত কোন আয়াতটি সবচাইতে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন?” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “আয়াতুল কুরসী।” নাসায়ী, আহমাদ। 
.
১-প্রত্যেক ফরয সালাত শেষে আয়াতুল কুরসী একবার পাঠ করার ফযীলত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে, মৃত্যু ছাড়া আর কোন কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।” (ইবনে সুন্নীঃ ১২০, নাসায়ী, ইবনু হিব্বান, হাদীস সহীহ, শায়খ আলবানী, সিলসিলা সহীহাহঃ ৯৭২।)
.
২-ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পাঠ করার ফযীলত
(১) সকাল পর্যন্ত তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাজতকারী (ফেরেশতা) তাকে নিরাপত্তা দেবে। 
(২) শয়তান তার কাছে আসতে পারবেনা।

সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, “যখন তুমি বিছানায় ঘুমুতে যাবে তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার উপর সব সময় একজন হেফাযতকারী (ফেরেশতা) নিযুক্ত থাকবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার ধারে কাছেও আসতে পারবে না।” (সহীহ বুখারীঃ ২৩১১।)
৩- রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে বেক্তি সকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে(সূরা বাকারা-২৫৫), সে বিকাল হওয়া পর্যন্ত জিন-সয়তান থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয়ে থাকবে, আর যে বেক্তি বিকালে তা পাঠ করবে সে সকাল হওয়া পর্যন্ত জিন-সয়তান থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয়ে থাকবে। 
(হাকিম, সহিহ তারগিব ওয়াত তারহিব)

৪- আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত :রাসুল (সা.) বলেছেন:সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। 
(মুসতাদরাকে হাকিম:২১০৩)

No comments:

Post a Comment