দুই সিজদার মাঝের বৈঠকে স্থিরতা ও দো'আঃ
গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্শির
অধ্যায়ঃ নামাযের নিয়মাবলি
দুই সিজদার মাঝের বৈঠকে স্থিরতার গুরুত্ব
দুই সিজদার মাঝে এই বৈঠকে আল্লাহর নবী (সাঃ) স্থির হয়ে বসে যেতেন এবং এতে তাঁর প্রত্যেক হাড় নিজের জায়গায় ফিরে যেত। (আবূদাঊদ, সুনান ৭৩৪ নং, বায়হাকী) তিনি নামায ভুলকারী সাহাবীকেও উক্তরুপে বসার আদেশ দিয়ে বলেছিলেন, “এভাবে সোজা ও স্থির হয়ে না বসলে কারো নামায সম্পূর্ণ হবে না।” (আবূদাঊদ, সুনান ৮৫৭,হাকেম, মুস্তাদরাক)
এই বৈঠকে তিনি প্রায় ততটা সময় বসতেন, যতটা সময় ধরে তিনি সিজদাহ করতেন। (বুখারী ৭৯২, মুসলিম, সহীহ) কখনো কখনো এত লম্বা বসতেন যে, সাহাবীগণ মনে করতেন, হয়তো তিনি (দ্বিতীয় সিজদাহ করতে) ভুলেই গেছেন। (বুখারী ৮২১ নং, মুসলিম, সহীহ)
গ্রন্থঃ স্বালাতে মুবাশ্শির
অধ্যায়ঃ নামাযের নিয়মাবলি
দুই সিজদার মাঝে বৈঠকের দুআ اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ (وَاجْبُرْنِيْ وَارْفَعْنِيْ) وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ।
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী (অজবুরনী অরফা’নী) অহ্দিনী অ আ-ফিনী অরযুক্বনী।
অর্থ- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, (আমার প্রয়োজন মিটাও, আমাকে উঁচু কর), পথ দেখাও, নিরাপত্তা দাও এবং জীবিকা দান কর। (আবূদাঊদ, সুনান ৮৫০, তিরমিযী, সুনান ২৮৪, ইবনে মাজাহ্, সুনান ৮৯৮নং,হাকেম, মুস্তাদরাক)
কোন কোন বর্ণনায় উক্ত দুআর শুরুতে ‘আল্লাহুম্মা’র পরিবর্তে ‘রাব্বি ‘ ব্যবহার হয়েছে। (ইবনে মাজাহ্, সুনান ৮৯৮ নং)
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ (রাব্বিগফিরলী, রাব্বিগফিরলী)
অর্থ- হে আমার প্রভু! আমাকে ক্ষমা কর, হে আমার প্রভু! আমাকে ক্ষমা কর। (আবূদাঊদ, সুনান ৮৭৪, ইবনে মাজাহ্, সুনান ৮৯৭নং)
উক্ত দুআ তিনি তাহাজ্জুদের নামাযে পড়তেন। অবশ্য ফরয নামাযেও পড়া চলে। কারণ, পার্থক্যের কোন দলীল নেই। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ১৫৩পৃ:)
প্রকাশ থাকে যে, এই বৈঠকে আঙ্গুল ইশারা করার হাদীস সহীহ নয়। (মুখালাফাত ফিত্বাহারাতি অসস্বালাহ্ ৮২পৃ:)
No comments:
Post a Comment