কোন বিপদ আপদ বা মুসিবতের সময় যখন কাউকে দু'আ করার পরামর্শ দেয়া হয়, অনেকেই বলে উঠেন,
- শুধু দু'আ করে কী লাভ? আর কিছু করা লাগবে না?
.
এ ধরনের কথা মূলত এই উদ্দেশে বলা হত যে, দু'আর পাশাপাশি চেষ্টা ও পরিশ্রমও করতে হবে। শুধু ঘরে বসে দু'আ করলাম আর কিছুই করলাম না, সাধ্যের ভিতর যা করনীয় ছিল সব ইগনোর করলাম, এটা ইসলামের শিক্ষা না।
.
শতভাগ ঠিক ও সঠিক ব্যাখ্যা। কিন্তু সমস্যা হল, উপরোল্লিখিত উক্তিটি প্রচুর পরিমাণে বলতে বলতে এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, অনেকের মনেই ধারনা জন্মেছে, দু'আর ভেতর তেমন কোন শক্তি নেই। বরং বাহ্যিক চেষ্টা ও পরিশ্রমটাই আসল। যদি সেটা কেউ করতে না পারে, তাহলে দু'আ করে কোন লাভ নেই। এটা যেন সম্পূর্ণ মূল্যহীন কিছু।
.
নাউযুবিল্লাহ!
___________
.
.
আর এ কারণেই লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যতটুকু দুআ করার দরকার ছিল, তার দশভাগের একভাগও হচ্ছে না। ফেসবুকে হা হুতাশ করছি, বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিচ্ছি, কিন্তু দু'আটুকু আর করা হচ্ছে না।
অথচ এই দু'আর ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -
إن الدعاء ينفع مما نزل ومما لم ينزل، فعليكم عباد الله بالدعاء.
“নিশ্চয়ই যে (বিপদ) নাযিল হওয়ার কথা ছিল, দুআর কারণে তা উঠিয়ে নেয়া হয়, যে (নিয়ামত) অবতীর্ণ হওয়ার কথা ছিল না, তা অবতীর্ণ করা হয়। হে আলাহর বান্দাগন। তোমরা বেশি বেশি দুয়া কর।” - সুনানে তিরমিযি, হাদিসের মান- সাহিহ।
.
আরেক বর্ণনায়, “কোন কিছুই তাকদিরকে পরিবর্তন করতে পারেনা, দুআ ব্যতীত।”
.
.
সুতরাং, আমরা যেন আল্লাহর কাছে দু'আ করাকে হাল্কা ভাবে না নেই। উম্মাতের এই ক্রান্তিলগ্নে, বিশেষ ভাবে রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইবোনদের উপর এই অমানুষিক নির্যাতনের মুহুর্তগুলোতে আমরা যেন এই বিশ্বাস রাখি - যে কোন একজন সাধারণ মুসলিমের গভীর রাতে আল্লাহর সামনে দুই ফোটা চোখের পানি ফেলতে পারা এমন এক অস্ত্র, পৃথিবীর যে কোন শক্তিশালী বাহিনীকে ধূলিসাৎ করে দিতে সক্ষম, যে কোন যালিমের যুলুমের হাত গুড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
______________
.
.
“আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।”
.
- [ সূরা বাকারাহ (২), আয়াত ২৮৬ ]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
No comments:
Post a Comment