দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত শাস্তি থেকে নিরাপদে থাকতে এই দোয়ার কোন বিকল্প নেই-
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আ-খিরাহ।
হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা পার্থনা করছি। (ইবনু মাজাহ-হা/৩৮৭১-হাদিস সহিহ)
দুনিয়াতে কতো রকমের বিপদে পড়ছে মানুষ, কেও রোড এক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছে, কাউকে হত্যা করা হচ্ছে, কেও বা কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করছে আবার কোন জনপদের উপর আল্লাহর আযাব নেমে আসছে ভুমিকম্প বা বিভিন্নভাবে কিন্তু এই শাস্তিগুলো আমাদের নিজেদেরই ২ হাতের কামাই-
আল্লাহ তা’লা বলেন, ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺻَﺎﺑَﻜُﻢْ ﻣِﻦْ ﻣُﺼِﻴﺒَﺔٍ ﻓَﺒِﻤَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖْ ﺃَﻳْﺪِﻳﻜُﻢْ ﻭَﻳَﻌْﻔُﻮ ﻋَﻦْ ﻛَﺜِﻴﺮٍ তোমাদের ওপর যে মসিবতই এসেছে তা তোমাদের কৃতকর্মের কারণে এসেছে। আর বহু সংখ্যক অপরাধের শাস্তি না দিয়েই আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন। (শূরা: ৩০)
রাসুল (সাঃ) বলেন, এই উম্মতের মধ্যে ভুমিকম্প, চেহারা বিকৃতি এবং উপর থেকে নিক্ষেপ করে ধ্বংস করার শাস্তি আসবে। জনৈক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল(সাঃ), কখন এরুপ হবে? নবী (সাঃ) বললেন, যখন ব্যাপক হারে গায়িকা, বাদ্যযন্ত্র এবং মদ্য পানের প্রসার ঘটবে।(তিরমিজি, সহিহ আসসাগির-৪১১৯)
আমরা কি করে আল্লাহর এই শাস্তি থেকে মুক্তি পাবো, যেখানে আমরা আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পর্যন্ত নাচ গানের শিক্ষক রেখে দেই। নিশ্চয় আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদী কেউ নেই, মহান আল্লাহ তার রাসুল (সাঃ)-এর মাধ্যমে বলেছেন- গায়িকা, বাদ্যযন্ত্র এবং মদ্য পানের প্রসার ঘটলে তিনি ভুমিকম্প দিয়ে ধ্বংস করবেন সুতরাং কার সাধ্য এই দুর্যোগ ঠেকাবে। এই দুর্যোগ কি আমাদের নিজের হাতের কামাই নয়?
আমাদের ফিরে আসতে হবে ইসলামের ছায়াতলে তাহলে দুনিয়াতে শাস্তি থেকে বাচতে পারবো আর আখিরাতের শাস্তি সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
জাহান্নামিদের মধ্যে সবচেয়ে কম শাস্তি হবে রাসুল (সাঃ)-এর চাচা আবু তালিবের। তার ২ পায়ের তালুর নিচে আগুনের ১ টা অঙ্গার রাখা হবে এবং তাতে তার মস্তিস্ক টগবগ করে ফুটতে থাকবে। সে মনে করবে, তার চাইতে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি আর কেও হয়নি। অথচ সেই জাহান্নামিদের মধ্যে সবচেয়ে হাল্কা শাস্তি প্রাপ্ত। (বুখারি-৬৫৬১)
একটু ভেবে দেখুন আপনাকে যদি ১ সেকেন্ডের জন্য জাহান্নামে প্রবেশ করানো হয় তাহলে কি অবস্থা হবে, মহান রবের কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের জন্য, আল্লাহ তা’লা যেন আমাদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তার সাথে দুনিয়াতে রাখেন এবং আখিরাতে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন, আমীন। দোয়াটা অবশ্যই মুখস্ত করে নিন এবং আল্লাহ তা"লার কাছে প্রতিদিন অন্তত ১ বার নিরাপত্তা প্রার্থনা করুণ দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতের জন্য ইন শা আল্লাহ, সলাতের মধ্যে সেজদাতে গিয়েও সেযদার তাসবিহ পড়ার পর দোয়াটা করতে পারেন যেহেতু সেযদার সময় দোয়া কবুলের সবচেয়ে উপযোগী সময়।
No comments:
Post a Comment